আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানবজীবনে নীলছবির ভূমিকা

একটি ভীষণ না থাকাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাই

রোজার মাসে ব্লগে ১৮+ এমনিতেই কম আসে। গত রোজায় হালকা একটা (কাঙালের জীবনে প্রথম নারী স্পর্শ) দিছিলাম, সেই ধারাবাহিকতায় আরেকটা হালকা ১৮+ দিয়া দিলাম। এইটা মূলত একটা ঘটনা সংকলন পোস্ট। প্রথম কাহিনীটা আমাদেরই একজন ব্লগারের। ঘরে ফ্যামিলি থাকায় সে কম্পুটার ছাইড়া হেডফুন লাগিয়ে পর্ন দেখার বাসনা পোষন করতেছিলো।

তো সে করলো কি; দরজাটা একটু চাপিয়ে, হেডফুনটা কানে লাগিয়ে, সাউন্ডটা একটু বাড়িয়ে কিছু সময় নীল জগত থেকে বেড়িয়ে আসলো। আসার পর যখন হেডফুন খুলে রাখতে যাবে, তখন তার খিয়াল হলো যে সে স্পিকার আউট পোর্টে হেডফুন লাগায় নাই। এতক্ষন সকল শব্দ লাউড স্পিকার দিয়ে বাইর হইছে দ্বিতীয় কাহিনী আমার স্কুল ফ্রেন্ডের। ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় তার বাসায় ক্লাস টু/থ্রি এর কয়েকটা কাজিন আসলো বেড়াইতে। সে তাদেরকে কম্পিউটারে গেম খেলতে দিয়া স্কুলে গেলো।

বাচ্চালোক কি টিপতে কি টিপে ফেল্লো, বের করে ফেল্লো পর্নের ফোল্ডার। ডাবল ক্লিকের খেলায় যখন পর্নো ভিডিও চলা শুরু হইছে, তখন পুলাপানগুলো তাড়স্বরে চেচাতে লাগলো। এমন সময় অন্য রূম থেকে দৌড়িয়ে এলেন তাদেরই এক মামা। এই মামা গ্রামে থাকে এবং সামান্য মূর্খ টাইপের। তো মামা এসে টিভি(!!) তে এই সিনারি দেখে কি করবে বুঝতে না পেরে কোমর থেকে গামছা খুলে মনিটরটা আচ্ছামত ঢেকে দিলো।

আর বাচ্চালোকদের ঝাড়ি দিয়ে রূম থেকে বিদায় করে দিলো। বন্ধুর মা এইসব দেখে ডাক দিলেন তার এক টেকি ভাইকে। টেকি ভাই এসে সব পর্নো ডিলিট করে দিলো আর শাস্তি হিসাবে বন্ধুর রূম থেকে কম্পু সরানো হলো। তৃতীয় কাহিনীটা আমাদের কয়েক স্কুল ফ্রেন্ডদের। কলেজে থাকতে আমরা সবাই অনেক বাইছা বুইছা স্টেডিয়াম থেকে নীল সিডি কিনা আনছিলাম দেখার জন্য।

এরপর ছাড়ার পর দেখি, ৩টার মধ্যে ২টাই আমাদের আগের দেখা। আমার এক বন্ধু হতাশ হইয়া কইলো, "এত্তগুলা অংক কইরা হলে যাই, তাও অংক কমন পড়ে না....আর শ্লার এক্স কমন পইড়া গেলো!" শেষ কাহিনীটা আমার। স্কুলে থাকতে যখন হালকা পাতলা জিনিস বুঝা শুরু করছিলাম তখন আমার লেংটাকালের বন্ধু Concept ক্লিয়ার করতে আমাকে Cosmopolitan এর একটি সংখ্যা পড়তে দিছিলো। এইটা একটা মেয়েদের ম্যাগাজিন যেইখানে বিউটি টিপস, মেয়েলী সমস্যা-সমাধান আর পূর্ন পৃষ্ঠাব্যাপী মেয়েদের হাফ-ন্যাকেড রঙিন ছবি থাকে। তো সেই বয়সে এই জিনিস হাতে পেয়ে আমি আকাশে উড়তেছিলাম।

খুবই সযত্নে সেটা আমার বিছানার নিচে রেখে মাঝে মাঝে দেখতাম আর কনসেপ্ট ক্লিয়ার করতাম । তো হঠাৎ একদিন দেখি ঐটা বিছানার নিচে নাই। আমি ভাবলাম হয়তো অন্য কোথাও রাখছি। একটু পর আম্মা ডাক দিয়া বল্লো, "এইটা কি?" আম্মার হাতে কসমোপলিটন!! জীবনেও এই সিচুয়েশনে পড়ি নাই। কান দিয়া গরম ধূমা বইর হইতেচিলো আর কি বলবো বুঝতেছিলাম না।

কইলাম, "ইংরেজিটা প্র্যাকটিস করার জন্য ঐটা আনছি " এরপর আম্মা ঐটা গোল পাকাইয়া সিধা পিঠের উপর বাড়ি দিয়া কয়, "আমারে ইংলিশ শিখাও?" এরপর ঐটা চোখের সামনে টুকরাটুকরা কইরা ডাস্টবিনে ফালায় দিলো। ভাবছিলাম পরিস্থিতি ঠান্ডা হইলে ডাস্টবিন থেকে ঐটা তুইলা আইনা জোড়া দিমু। কিন্তু গভীর রাতে কমান্ডো অপারেশন চালাইয়া দেখি ডাস্টবিন ক্লিয়ার!! "দিমু, দিমু" বলার অনেকদিন হয়ে যাবার পরেও যখন ম্যাগাজিন ফেরত দিতেছিলাম না, বন্ধু আমারে চাপা দিয়া ধরলো। আসল কাহিনী শুইনা তো বন্ধুর হার্টফেল করার দশা! আমি কইলাম, "সামান্য একটা ম্যাগাজিনই তো, নিলক্ষেত থিকা কিনা দিমু নে"। তখন বন্ধু কইলো,"ঠিক এই সংখ্যাটাই কিন্না দেওন লাগবো।

" আমি কই, "কেন? এখন এইডা যদি না পাই? এইডার চেয়ে ভালা কিন্না দিলে হইবো না?" তখন সে যা কইলো এরপর আমি আর কিছু কওয়ার পাই নাই। "এইটা আমার নানার কালেকশনের ম্যাগাজিন। উনার ট্রাংক থেইকা চুরি কইরা আনছি। উনি টের পাইলে আমি শেষ!"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।