আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানবজীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম

তাকওয়া শব্দের অর্থ : বিরত থাকা, বেঁচে থাকা, ভয় করা, নিজেকে রক্ষা করা। এককথায় বলতে গেলে আত্দশুদ্ধি বা খোদাভীতি। ইসলামী পরিভাষায়, আল্লাহর ভয়ে যাবতীয় অন্যায়, অত্যাচার ও পাপকাজ থেকে বিরত থাকাকে তাকওয়া বলা হয়। আর যিনি তাকওয়া অনুযায়ী জীবনধারণ করেন তাকে বলা হয় মুত্তাকী। তাকওয়া অর্জনের প্রধান উপায় হলো আত্দশুদ্ধি।

আত্দশুদ্ধি হলো অন্তর সংশোধন, খাঁটি করা পাপমুক্ত করা। আল্লাহতায়ালার স্মরণ, আনুগত্য ও ইবাদত ব্যতীত অন্য সমস্ত কিছু থেকে অন্তরকে পবিত্র রাখাকে আত্দশুদ্ধি বলা যায়। মানুষের আত্দিক প্রশান্তি, উন্নতি ও বিকাশ সাধনের জন্যও আত্দশুদ্ধির গুরুত্ব অপরিসীম। আত্মশুদ্ধি মানুষকে বিকশিত করে। মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আত্মাকে পূতপবিত্র রাখল সেই সফলকাম হবে, আর সে ব্যক্তিই ব্যর্থ হবে যে নিজেকে কলুষিত করবে।

(সূরা শাম্স : ৯-১০) মহান আল্লাহতায়ালা সূরা শু-আরার ৮৮-৮৯ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করেছেন সেদিন ধনসম্পদ কোনো কাজে আসবে না, আর না কাজে আসবে সন্তান-সন্ততি। বরং সেদিন সে ব্যক্তিই মুক্তি পাবে, যে আল্লাহর কাছে বিশুদ্ধ অন্তঃকরণ নিয়ে আসবে। মহান আল্লাহতায়ালা আরও বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হওয়ার ভয় করবে ও কুপ্রবৃত্তি হতে বেঁচে থাকবে, তার স্থান হবে জান্নাতে। (সূরা নায়িয়াত : ৪০-৪১) আল্লাহতায়ালার কাছে তাকওয়ার গুরুত্ব অত্যধিক। তাই ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত সেই ব্যক্তি যে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাকওয়াবান।

(সূরা হুজরাত : ১৩) মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে আল্লাহ তোমাদের ন্যায়-অন্যায় পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ অতিশয় মঙ্গলময়। (সূরা আনফাল : ২৯) রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, জেনে রেখ; শরীরের মধ্যে একটি গোশত পিণ্ড রয়েছে, যদি তা সংশোধিত হয়ে যায়, তবে গোটা শরীরই সংশোধিত হয়। আর যদি তা কলুষিত হয় তবে গোটা শরীরই কলুষিত হয়ে যায়। মনে রেখ তা হল কলব বা অন্তর।

(বুখারি ও মুসলিম) মহান আল্লাহতায়ালা আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনের তৌফিক দান করুন।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।