rtnn স্পোর্টস ডেস্ক, ২৯ আগস্ট (আরটিএনএন ডটনেট)-- টানা দুই টেস্টে পরাজয়ের পর মোহাম্মাদ ইউসুফের প্রত্যাবর্তন টেস্টে অলরাউন্ড পারফর্মেন্সে ওভালে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। চার উইকেটের জয়ের পরে ফের লর্ডসে শেষ টেস্টে ধরাশায়ী অবস্থা।
ইতিমধ্যে বৃষ্টির একদিন বাদে চলতি টেস্টের তৃতীয় দিনে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস শেষ ৭৪ রানে। ফলোঅনের ধাক্কা কাটতে না কাটতেই দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১ রানে নেই চার উইকেট। এমন করুণ অবস্থায় চলতি টেস্টে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের জুয়ার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এক জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের তথ্যের ভিত্তিতে ৩৫ বছর বয়সী জুয়াড়ি মাজহার মজিদ এক লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে পাকিস্তানি বোলারদের দিয়ে তিনি খেলায় ‘পূর্বপরিকল্পিত’ নো বল করিয়েছেন।
জুয়াড়িদের চাহিদা অনুসারে ‘চোখে পড়ার মতো’ তিনটি নো বল করায় মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ রয়েছে সন্দেহের উপরের তালিকায়।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, লন্ডনভিত্তিক জুয়াড়ি মাজহার মজিদ বাজি ধরছেন, ইংল্যান্ডের ইনিংসের প্রথম ওভারেই একটি নো বল করবেন আমির। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেও নো বল করবেন এই বোলার। ক্রিক ইনফোর পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দশম ওভারের শেষ বলে করা আসিফের নো বলটিও আগে থেকে অনুমান করেছিলেন মাজহার।
মাজহার মজিদের ভাই আজহারও জুয়ার সঙ্গে জড়িত। তবে, কেবল মাজহারকেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। তবে পাকিস্তানি খেলোয়াররা ওই দুই জুয়াড়ি ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের খবর অস্বীকার করেছেন।
কিন্তু নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড নিজেদের দাবির সত্যতার প্রমাণ হিসেবে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। একটি ছবিতে দেখা যায়, একজন মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন দলনায়ক সালমান বাট।
পত্রিকাটির দাবি, এ ঘটনায় পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান বাট, উইকেটরক্ষক কামরান আকমলসহ আরও তিনজনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা চুক্তি সম্পাদনের স্থান (লন্ডন হোটেল) পরিদর্শন করেছেন। হোটেল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও কয়েকটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানের ক্রিকেটারদেরকেও প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এ ঘটনার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে।
পাকিস্তান দলের ম্যানেজার ইয়াওয়ার সাঈদ স্কাই নিউজ টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
’
জুয়ার অভিযোগ উঠলেও এখন পর্যন্ত পাকিস্তানি কোন খেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ইংল্যান্ডের সঙ্গে চতুর্থ টেস্ট চলার কারণে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।