অনেক পাওয়ার মাঝে মাঝে কবে কখন একটুখানি পাওয়া, সেইটুকুতেই জাগায় দখিন হাওয়া । ।
অনেএএএক বছর পরে একটা পুরোনো সুন্দর টিভি এ্যাড দেখলাম । আহামরি কিছু নয়, কিন্তু ছোটবেলার কথা মনে পরে গেল। আর ঠিক তার সাথে সাথে বর্তমানে প্রচলিত নতুন বিজ্ঞাপনগুলোর সাথে তুলনা চলে এলো।
এখন যে বিজ্ঞাপন গুলো চলছে তার বেশীরভাগই খুব ভালো, কিন্তু তারপরও কিছু দৃষ্টিকটু ব্যাপার এড়িয়ে যাওয়া যায় না। যেমন, গতকাল রাতেই একদল তরুন-তরুনী নেচে-গেয়ে বোঝাতে চাইছে তারা কোনো একটি বিশেষ "মুঠোফোন" কম্পানীর বদৌলতে খুব সুখে আছে। খুব ভালো কথা, যে যেভাবে সুখ খুঁজে পায় সেটা তাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার। দৃষ্টিকটু বিষয়টি তখনই হলো যখন তরুনীদের গাত্রবর্ন খুবই অস্বাভাবিক লাগতে থাকলো, মনে হচ্ছিলো যেন ধবলরোগগ্রস্ত একপাল তরুনী।
শ্যামলাবরন বাংগালী বরাবরই গাত্রবর্ন নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে।
কিন্তু ইদানিংকালে যেন ব্যাপারগুলো অস্বাভাবিক হয়ে দাড়াচ্ছে। বেশ কিছুদিন আগে, আমার মা তার পরিচিত এক আত্মিয়ার বাসায় নিয়ে গেলেন। সেখানে পরিচিত হলাম আরো একজন মহিলার সাথে যিনি আমার মায়ের চেয়ে হ্য়তো বছর পাঁচ-সাতেকের ছোট হবেন, ৪০ এর কিছু বেশী। খুবই সদালাপী মহিলা, বেশ সুন্দরী। কিছুক্ষন পর, একটু অসস্তি নিয়ে লক্ষ্য করলাম যে কি যেন একটা অস্বাভাবিকতা আছে ঐ মহিলার মাঝে।
পরে যখন বাড়ি ফিরছি, মা-বোনের সাথে কথা হচ্ছিল, এবং দেখা গেল সবাই এই ব্যাপারটি লক্ষ্য করেছে। সেই ভদ্রমহিলার মুখমন্ডল আর গলার রং এর সাথে হাতের বা পায়ের রং এ বিস্তর ফারাক দেখা গেল। এই পার্থক্যটা এতই প্রকোট যে কারোরই চোখ এড়িয়ে যেতে পারেনি। যাই হোক, এ ঘটনা সেখানেই ভূলে গেলাম। আরো কয়েক মাস পর, কোনো শপিং মলে একদল মহিলাদের দেখা পেলাম যাদের মধ্যে সেই একই ব্যাপার লক্ষ্য করলাম।
এবার সাথে ছিলো এক বন্ধু, তাকে বলার সাথে সাথে সে বিজ্ঞের মত বলে উঠলো যে, এরকম তো আজকালই সবাই করছে, লেজার ফেয়ারনেস এর বদৌলতে শ্যামলাবরণ বঁধুরা বিলাতী মেম হয়ে যাচ্ছেন অনায়াসে। সব শুনে খুবই সংকিত বোধ করলাম। যতটুকু জানি, লেজার ট্রিটমেন্টের ভয়াবহ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে এবং এটা বেশ ব্যায়বহুল। আমরা কি তাহলেই এতটাই হতাশ নিজেদের নিয়ে?
যেই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে আলাপ শুরু করেছিলাম তার লিংকটি দিয়ে দিলাম।
বি:দ্র: বানান ভুলের জন্য অগ্রীম ক্ষমাপ্রার্থী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।