আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সানগ্লাসের আড়ালে চোখ দুটি তোমার!!!



গ্রিক বীর অডিসিউস ট্রয়নগরী ধ্বংস করে ফেরার পথে দ্বীপ দেশের দানব সাইকোপসের এক চোখ নষ্ট করে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেই থেকে সাইকাপস একচোখা দানবের অপবাদ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে দেশ-দেশান্তরে। বহু বছর পরে আডিসিউসের সাথে আবার দেখা হয়ে গেল সাইকোপসের। কিন্তু আডিসিউস অবাক হয়ে দেখলেন, সাইকপসের এখন আর আগের মত একচোখা নেই। দুটো চোখ মেলে দিব্যি ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে তার দিকে।

আডিসিউস কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কি ব্যাপার তোমার চোখ একটা থেকে দুটো হয়ে গেল কি করে?’ সাইকোপ দাঁত বের করে হেসে বললো, ‘আর বলো না, মাত্র বাংলাদেশ থেকে ঘুরে এলাম। সেখানে এত মানুষের চোখ উঠছে যে, সেই চোখ ওঠার ধাক্কায় আমারও আরেকটা চোখ গজিয়ে গেছে। ’ সম্প্রতি চোখের অদ্ভুত রকমের রোগটিতে সংক্রামিত হতে শুরু করেছে। রাত-দিন বিরামহীনভাবে অনেকের চোখে সানগ্লাস ঝুলে থাকতে দেখেই সেটা টের পাওয়া যাচ্ছে। প্রচলিত অর্থে ‘চোখ ওঠা’ নামের এই চুরোগ সর্ম্পকে বেশিরভাগ মানুষের বাস্তবতা বিবর্জিত এবং ভ্রান্ত অথচ চমৎকার একটি ধারণা হচ্ছে, রোগাক্রান্ত ব্যাক্তির চোখের দিকে দৃষ্টি ফেরানো মাত্র এই রোগে আক্রান্ত হতে হবে।

ভয়াবহমাত্রিক ছোঁয়াচে এই রোগটির সংক্রমিত হবার প্রিতা দেখে অবশ্য সেটা ধারণা করে বসা দোষের কিছু নয়। কিন্তু চোখের এই সিজনাল অসুখটির নাম ‘চোখ ওঠা’ কেন? এই রোগে আক্রান্ত হবার পর সত্যি সত্যিই কি আরেকটি চোখ ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে? হলেও হতে পারে! পৃথিবী বড়ই রহস্যময়! ‘চোখ ওঠা’ রোগটি অল্প সময়ের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায় বলে হয়তো এই ব্যাপারটি আমরা টের পাই না। দীর্ঘদিন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে কি হতো বলা যায় না! কিন্তু বিপত্তিটা ঘটে গেছে অন্যখানে। মেঘলা আকাশ থেকে শুরু করে সন্ধ্যার আলোছায়া পর্যন্ত আগে যারা চোখ থেকে সানগ্লাস নামাতেই চাইতেন না তারা ইদানিং আর সেটা চোখে রাখতে রাজি হচ্ছেন না। কি কারণে রাজি হচ্ছেন না-সেটাও স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কিংবা বলতে চাইছেন না।

সম্ভবত তারা অস্পষ্টবাদী! আগে চোখে সানগ্লাস থাকার কারণে স্পষ্টভাবে কিছু দেখতে পেতেন না আর এখন সানগ্লাস চোখে না থাকায় স্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না। বিষয়টি সত্যিই দূঃখজনক!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।