মধ্যবিত্ত ছাঁ-পোষা জীবন খানিকটা তেলাপোকার মতন। পায়ের তলায় পরে গেলে পরে যেম্নি মরি মরি ভাব; আমাদেরও রয়েছে তদরূপ আহ্লাদ! যার পিছে উকি মেরে চেয়ে আছে প্রগতির অন্তরালের দূর্গতি-ভূত। না কি কোনো অমিমাংসিত রহস্যগাঁথা রয়ে গেছে, যা আমরা স্বাভাবিক বলে ভাবি?
তোমাদের হাঁটে যাবো বলে সংসার আমায় করেছে অভিশপ্ত! দিয়েছে ঝুলিয়ে হাতে নরকের চাবি আর পেটোয়া বাহিনী করেছে ধাওয়া মদ্যোৎসবের রাত্রে। চাঁদ কেঁদেছিলো সেই রাতে আর সমুদ্রের ঢেউ হেসেছিলো বৈপরীত্বের নিমিত্তে। জল ও চাঁদ তোদের দু’জনকেই ভালোবাসি আমি, যাকে ঘৃণাও বলা যেতে পারে।
শব্দ কি চাষ করি আমি? যেমনটা কৃষক মাঠে-ঘাটে, পথে-প্রান্তরে ফলায় ফলজ ফসল। অথবা ঘটে না কোথায় কোনো চাষাবাদ, চারিদিকে মরুভূমি। টেস্টটিউব বেবী কোলে নিয়ে সেইসব জননীরা কাঁপাবে কি এই অবদমনের অলি-গলি। না কি ঘুঙুর বাজবে শব্দ হবে না কোনও।
কোথাও না গেলেও কতো কিছু চলে আসে দ্রুত।
ইট ভাঙা আর বোমার শব্দে আমার কানে বেজে ওঠে শীৎকার ধ্বণি! মানব-মানবীর প্রেম আর গণহত্যা দেখে আমার চোখের পাপড়ীতে জাগে কুয়াশা। ঘর ছোয়া ড্রেন হতে উৎসারিত উৎকট গন্ধ আর অতিথি আপ্যায়নের ইলশে ভাজির যৌথগন্ধে আমি বমি করে দেই। সেই বমির মধ্যে দেখা যায় গোটা কতেক মমি। তারপর তারা সেই ক্লেদাক্ত পথ ধরে প্রাচীন পোষাক ছেড়ে নতুন রূপে যেইখানে এসে দাড়ালো সেই খানে থেমে গেছে আমার পা।
আর চোখের সামনে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে সাগরের রক্তস্রোত; যেইখানে এসে আমি মৃত্যু শব্দটির উল্লেখ পাই; যা কি না নীলাভ সানগ্লাসের তলায় লুকিয়ে রয়েছে।
২৭.১১.০৯
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।