গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় প্রেম নিয়ে দ্বন্দ্বে সহপাঠীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দশম শ্রেণীর এক ছাত্র। ত্রিমোহনী বিডি উচ্চবিদ্যালয় চত্বরে গতকাল দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে হামলাকারী ছাত্রটিকে গণপিটুনির সময় উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছেন ইউএনওসহ কয়েকজন।
নিহত ছাত্রের নাম সুমন মিয়া (১৪)। সে বরকুল গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
হামলাকারী ছাত্রের নাম সাগর (১৫)। ছুরিকাঘাতে সুমনের দুই সহপাঠী নান্দিয়াসাঙ্গুণ গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে তুষার মিয়া (১৫) ও আফসার উদ্দিনের ছেলে দীপু মিয়া (১৫) আহত হয়েছে। একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম নিয়ে সাগর ও সুমনের দ্বন্দ্ব চলছিল বলে সহপাঠীরা জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রেম নিয়ে বিরোধের জেরে সাগর আগে থেকেই ছুরি নিয়ে প্রস্তুত ছিল। বেলা ১টার দিকে সে সুমনের ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।
সহপাঠীরা রক্ষা করতে এলে সাগর তাদেরও ছুরিকাঘাত করে। সাগরের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায়। সে নান্দিয়াসাঙ্গুণ গ্রামে নানাবাড়ি থেকে পড়াশোনা করত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজীজ হায়দার ভুঁইয়া জানান, আহত সুমনকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েনেওয়ার পথে মারা যায়। আহত অন্য দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাগরকে বিকাল ৩টার দিকে গণপিটুনি দেওয়ার সময় পুলিশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, সাগরকে উদ্ধারের সময় গ্রামবাসীর এলোপাতাড়ি লাঠির আঘাতে ইউএনও, সহকারী পুলিশ সুপার আক্তারুজ্জামান, ওসি আমির হোসেন ও এসআই রোকন ইসলাম আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার পর বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রীপুর থানার ওসি আমির হোসেন জানান, সাগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও কয়েকজনকে নিয়ে সে হামলার পরিকল্পনা করে বলে জানিয়েছে।
উত্তরায় ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা : রাজধানীর উত্তরা ইউনিভার্সিটির বিবিএর ছাত্র মোহাম্মদ আবদুর রহমান ওরফে রিয়াদকে (২৫) চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় টঙ্গী থানা পুলিশ অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্য রেজাউল কবির সাগর, শাহাবুদ্দিন ও জামালকে গতকাল ভোরে উত্তরা থেকে গ্রেফতার করেছে। নিহত রিয়াদ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর গ্রামের খাজা মাঈনুদ্দীনের ছেলে। তিনি টঙ্গীর আউচপাড়ার মাতবরবাড়ি রোডের জনৈক নেয়ামত উল্লাহর বাড়ির তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন।
অপহরণের ঘটনায় ৩০ জুলাই টঙ্গী থানায় একটি মামলা হয়।
পুলিশ জানায়, ২৩ জুলাই রিয়াদকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ইন্টারভিউ দিতে উত্তরার মাসকট প্লাজায় যেতে বলেন মূল পরিকল্পনাকারী সাগর। সেখানে শাহাবুদ্দিন ও জামাল ভাড়া করা একটি এলিয়ন গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তারা সাগরের সঙ্গে রিয়াদকে সাক্ষাৎ করানোর কথা বলে প্রথমে ময়মনসিংহ শহরে নিয়ে যান। সেখান থেকে সাগরকে উঠিয়ে জামালপুর সদর উপজেলার নুরুন্দী গ্রামের নির্জন স্থানে নিয়ে রিয়াদকে হত্যা করা হয়।
জামালপুর সদর থানা পুলিশ ২৪ জুলাই লাশ উদ্ধার করে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করে। ৩০ জুলাই নিহতের ফুফাত ভাই মো. জাকির বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় অপহরণ মামলা করেন। এই ঘটনার পর টঙ্গী থানা পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে গতকাল ভোরে তিনজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে রিয়াদকে হত্যার কথা স্বীকার করে তারা জানান, রিয়াদকে অপহরণ ও হত্যার জন্য শাহাবুদ্দিন ও জামালকে অর্থের বিনিময়ে সাগর ভাড়া করে এনেছিলেন। টঙ্গী মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, হত্যা করে পরে ৩০ লাখ টাকা দাবি করার বিষয়টি শুধু মুক্তিপণ আদায়ের জন্য নয়, পূর্বশত্রুতার জেরেও রিয়াদ খুন হতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।