পূর্ণিমার জোয়ার ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, নোয়াখালী ও লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এসব এলাকার ছয় লক্ষাধিক মানুষ। রাস্তা, ব্রিজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেক এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শত শত একর জমির ফসল।
ভোলা : জোয়ারের পানিতে সদর, চরফ্যাশন ও ইলিশার দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানিবন্দী হয়ে পড়েছে তিন লক্ষাধিক মানুষ। ভোলা-চরফ্যাশন-ইলিশা সড়কের ৮ থেকে ১০টি পয়েন্টে দেড় থেকে দুই ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। বন্ধ হয়ে গেছে ভোলা-চট্টগ্রাম রুটে সড়ক যোগাযোগ। প্রায় দুই মাস ধরে এ অবস্থা বিরাজ করলেও দুর্গতদের জন্য নেই ত্রাণের ব্যবস্থা।
পটুয়াখালী : মহাসেনে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে জেলার ৪০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এসব এলাকার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। দফায় দফায় এসব গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় গবাদি পশু ও মালামাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
বরিশাল : নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন চর ও নদী তীরবর্তী বস্তি এলাকা। নগরীর বিভিন্ন রাস্তায়ও জমে গেছে পানি।
লালমনিরহাট : তিস্তার পানি ফের বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ৬৩টি চরের তিন লক্ষাধিক মানুষ। ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা পানির তোড়ে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান ব্যারাজের উপপ্রকৌশলী মাইনুদ্দিন মণ্ডল। চরে আটকে পড়া মানুষের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সাত দিন থেকে পানিবন্দী থাকলেও পর্যন্ত সেখানে পেঁৗছেনি কোনো সাহায্য।
নোয়াখালী : হাতিয়া উপজেলার আটটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা পাঁচ দিন ধরে প্লাবিত হচ্ছে।
পানিবন্দী ওই সব এলাকায় পৌঁছেনি কোনো সরকারি সাহায্য।
রাজশাহী : পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে রাজশাহীর ভারতীয় সীমান্ত। ইতোমধ্যেই কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মা ঢুকে পড়েছে ভারতে। পরিত্যক্ত ঘোষণা করে মালামাল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বিজিবির খিদিরপুর বিওপি স্থানীয় ক্যাম্পের। হুমকির মুখে রয়েছে চারখানপুর ও চারমাঝাড়দিয়া বিওপি ক্যাম্পও।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।