অবশেষে পর্নো ছবি তৈরির অভিযোগে লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর আলিয়া মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও চিত্র ধারণ ও তা বাজারজাত করার অভিযোগে বুধবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি পর্নো ছবির সিডি উদ্ধার করা হয়। আবুল কালাম আজাদকে পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর দুই সন্তানের জনক আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করছেন।
এদিকে ছাত্রী-শিক্ষকের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও সিডি করে প্রকাশ হওয়ার পর এলাকায় তোলপাড় হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণার্থী ছাত্রীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সম্ভ্রম লুটে নিয়ে ভিডিও চিত্র ধারণ ও বাজারজাত করে আসছিলেন।
লোহাগড়া থানার পিএসআই জুলফিকার জানান, আবুল কালাম আজাদ স্থানীয় লোহাগড়া বাজারের কাসেম সুপার মার্কেটের ‘এমএম কম্পিউটার’ সেন্টারের মালিক। নড়াইল সদর উপজেলার পাইকমারী গ্রামের একজন কলেজ ছাত্রী তার দোকানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিতে যেতেন। কম্পিউটার প্রশিক্ষণকালে ছাত্রী ও শিক্ষকের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
একপর্যায়ে আবুল কালাম আজাদ ওই কলেজছাত্রীকে নিয়ে যশোর মনিহার হোটেল ও খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাত কাটান এবং আপত্তিকর দৃশ্য নিজেই ডিজিটাল ক্যামেরায় ধারণ করে ছাত্রীকে ব্ল্যাক মেইল করার চেষ্টা করেন। ভিডিও চিত্রসহ ছাত্রী-শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনাটি ওই শিক্ষকের স্ত্রী উদ্ধার করে স্বামীকে সম্প্রতি বাড়ি থেকে বের করে দেন। ছাত্রী শিক্ষকের খোলামেলা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দৃশ্য ফাঁস হওয়ার পর ওই শিক্ষক ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাজনৈতিক ক্যাডারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করে।
এদিকে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার বদরুল আলম জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ না করায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যাবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।