আমেরিকান, রাশান ও এক বঙ্গ-সন্তান। একসাথে বসে গল্প করছেন তারা।
আমেরিকানঃ জানেন, আমাদের দেশে এখন যে-সুপারসৌনিক বিমান হয়েছে, তা বায়ুমন্ডলের উপর দিয়ে চলে।
রাশানঃ বায়ুমন্ডলের উপর দিয়ে মানে? মধ্যাকর্ষণ শক্তি ভেদ করে? বলেন কী! তার জন্য তো রকেট টেকনোলজী দরকার। আপনি কি শিওর, বায়ুমন্ডলের উপর দিয়ে এই বিমান চলে?
আমেরিকানঃ সরি!ঠিক বায়ুমন্ডলের উপর দিয়ে নয়।
তার, একটু নিচ দিয়ে। জাস্ট এক ইঞ্চি নিচ দিয়ে।
রাশানঃ ও!তাই বলুন।
আমেরিকানঃ রাশিয়াতে এ-রকম কিছু আছে কি?
রাশানঃ থাকতেই হবে। আমদের হলো সাবমেরিন।
আমাদের লেইটেস্ট সাবমেরিন চলছে সাগর তলের নিচ দিয়ে।
আমেরিকানঃ বলেন কী! সী-বটম মানে হচ্ছে কঠিন ভূপৃষ্ঠ। সাবমেরিন তার নিচ দিয়ে চলবে কীভাবে? আপনি কি শিওর, ভূপৃষ্ঠর নিচ দিয়ে সাবমেরিন চলে?
রাশানঃ সরি! ভূপৃষ্ঠের ঠিক নিচ দিয়ে নয়। তার এক ইঞ্চি উপর দিয়ে - জাস্ট এক ইঞ্চি উপর দিয়ে চলে সাবমেরিনগুলো।
আমেরিকানঃ ও! তাই বলুন।
বঙ্গ-সন্তানটি চুপ করে শুনছিলো। তাদের চাঁপা শুনে তার মেজাজ ৪২০ হয়া রইছে। তার উপর তার কিছু বলার ছিলো না। কারণ, বাংলাদেশে এতো হাই টেকনোলজী নাই, যার কথা বলে আমেরিকান ও রাশানদের মধ্যে স্থান পাওয়া যাবে।
বঙ্গ-সন্তানকে নীরব দেখে আমেরিকান ও রাশান জিজ্ঞেস করলো, 'বাংলাদেশে কি আমাদের মতো এরকম অভিনব কিছু আছে?'
বাঙালীঃ নিশ্চয় আছে।
আমেরিকান ও রাশানঃ (ভীষণ অবাক হয়ে) কী?কী আছে?বলুন তো!
বাঙালীঃ আমাদের দেশের সব মানুষ ভাত খায় নাক দিয়ে।
আমেরিকান ও রাশান আরও অবাক হয়ে পরস্পরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে প্রায় একত্রে জিজ্ঞেস করলো, 'বলছেন কী মশায়!নাক দিয়ে ভাত খায়?' কি করে সম্ভব? আপনি কি শিওর যে, ঠিক নাক দিয়েই খায়? নিজ হাতে?'
বাঙালীঃ অবশ্যই নিজ হাতে। তবে এক ইঞ্চি নিচ দিয়ে - নাকের জাস্ট এক ইঞ্চি নিচ দিয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।