স্ক্যানডিনেভিয়ার দেশগুলোতে প্রায় প্রত্যেকের ওপর পরিচালিত দীর্ঘ ৩০ বছরের গবেষণায় দেখা গেছে, সেলফোন ব্যবহারের সঙ্গে ব্রেন টিউমারের কোনও সম্পর্ক নেই। গবেষকরা বৃহস্পতিবার একথা বলেছেন।
১৯৯০ এর দশক ও তৎপরবর্তী সময়ে মোবাইল টেলিফোনের ব্যবহার বাড়লেও এ সময় ব্রেন টিউমার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়েনি। গবেষকরা 'ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউট' জার্নালে এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।
কয়েকটি ক্রিয়াশীল গ্র"প এবং গুটিকয়েক গবেষক সেলফোনের সঙ্গে ব্রেন টিউমারসহ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
যদিও বছরের পর বছরের গবেষণায় এ ধরনের কোনও সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ডেনমার্ক ক্যান্সার সোসাইটির গবেষক ইসাবেল ডেলট্যুর ও তার সহকর্মীরা বলেছেন, আমরা ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে দীর্ঘদিনের ব্রেন টিউমারের প্রবণতায় সুস্পষ্ট কোনও পরিবর্তন দেখিনি।
ইসাবেলের গবেষকদল দু'ধরনের (গ্লিওমা, মেনিনজিওমা) ব্রেন টিউমারের বার্ষিক হার বিশ্লেষণ করেছে। ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেনে ১৯৭৪-২০০৩ সালের মধ্যে ২০ থেকে ৭৯ বছর বয়সীদের ওপর এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
এসব দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
৩০ বছরে এ দেশগুলোতে প্রায় ৬০ হাজার রোগীর ব্রেন টিউমার ধরা পড়েছে।
গবেষকরা লেখেন, ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেনে হঠাৎ করে মোবাইল ফোনের ব্যবহার অনেক বেশি বেড়ে যায়।
১৯৯৮ সালের পর ব্রেন টিউমারের প্রবণতা থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে এর সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়।
তবে গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন, ব্রেন টিউমারের সংখ্যা কম এবং ধীরে ধীরে বেড়েছে। কিন্তু এটি শুরু হয়েছে ১৯৭৪ সালে, সেলফোনের ব্যবহার শুরু হওয়ার অনেক আগে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।