ফারুক নামের এক পাকিস্তানি আর হালিমাতুন নামের মালয়েশিয়ান মহিলার সন্তান সুফিয়া ইউসুফ। ছোট বেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী আর প্রতিভাবান মেয়ে। অবিশাস্য হলেও সত্য মাত্র ১৩ বছর বয়সে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে প্রবেশ করেন যা সেই সময়ে পত্র পত্রিকার বদৌলতে প্রচুর সাড়া জাগিয়েছিলো। ১৯ বছর বয়সে ট্রেইনী ল'য়ার জনথাম মারশালকে বিয়ে করেন, এবং এর একবছর পর অর্থাৎ ২০ বছর বয়সে পরস্পর আলাদা হয়ে যান। সে বছরই পরিবারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন সুফিয়া, পরিবার থেকে একাধিকবার ঘরে ফেরার কথা বলা হলেও সুফিয়া আর ফিরে আসে নি।
বর্তমানে সুফিয়া ইউসুফের বয়স ২৩ বছর, নিজেকে একজন কল-গার্ল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, সম্প্রতি পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন তার নাম এখন আর সুফিয়া ইউসুফ নয়, নতুন নাম শিল্পা লী। তিনি নিজেকে যৌনআবেদনময়ী, কৃতি ছাত্রী বলে দাবী করেন, এবং ম্যনচেষ্টারে তার নিজস্ব ফ্ল্যটে ঘন্টায় ১৯০ পাউন্ড মুল্যে খদ্দেরের চাহিদা পুরন করেন বলে জানান।
অনেকেই ভাবছেন এতো মেধাবী একটা মেয়ে কিভাবে এধরনের সমাজবহির্ভুত কাজ করছে, প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে সুফিয়া তার বাবা-মায়ের কাছে প্রেরিত এক মাইলের মাধ্যমে, সুফিয়া তার মেইলের শিরোনাম দেয়েছে "নরক বাস"। সে লিখেছে সে তার বাবার অন্যায় অত্যাচার মেনে নিতে পারেনি। পড়াশুনার জন্য প্রতিনিয়তই তাকে মানসিকভাবে চাপের মধ্যে রেখেছিল তার পরিবার।
মেয়ে সন্তান বলে অবহেলাও করেছে অনেক। অল্প কিছুতেই শাস্তি দিত তার বাবা-মা।
অ.ট. আমদের সমাজে শিক্ষাদানে সন্তানদের বাবা-মা, শিক্ষকরা শাররীক নির্যাতন এবং মানসিক ভাবে চাপের মধ্যে রাখে, যার ফলশ্রুতিতে তারা তখন তার প্রতিবাদ না করলেও একটা সময় যখন বড় হয়, কিছুটা স্বাধীনতা পায়, তখন এর অপব্যবহার শুরু করে, যার অন্যতম হচ্ছে উদাহরন হল "নেশাগ্রস্থতা"। সন্তানদের সাথে অভিবাবক হয়ে নয় বন্ধুসুলভ আচরনের মাধ্যমে আমরা রুখতে পারি ভবিষ্যতের শিল্পা লী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।