মিশরের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, আদালত মুক্তি দিতে বললেও আপাতত মুবারককে গৃহবন্দি করে রাখা হবে। আর এটা করা হবে জরুরি আইনের আওতায়।
বুধবার দেশটির একটি আদালত মুবারকের মুক্তির আদেশ দেয়ার পর প্রসিকিউশন জানায় তারা এর বিরুদ্ধে আপিল করবে না। ফলে ৮৫ বছর বয়সী মুবারক বৃহস্পতিবারই মুক্তি পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
তবে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, জরুরি অবস্থার প্রেক্ষাপটে হোসনি মুবারককে গৃহবন্দি রাখার আদেশ জারি করেছেন উপসেনা প্রধান।
২০১১ সালে গণবিক্ষোভের মুখে হোসনি মুবারকের ৩০ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। পরের বছর মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে ক্ষমতায় আসেন মৌলবাদী দল মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত মোহাম্মদ মুরসি।
তারপরও চলতে থাকা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে গত মাসে সামরিক অভ্যুত্থানে মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত।
মুরসি সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে সহস্রাধিক নিহত হওয়ার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি হয়, চলছে সান্ধ্য আইনও।
চলমান এই অস্থিরতার মধ্যে মুবারক মুক্তি পেলে আরব এ দেশটির সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে বলে ধারণা করছিলেন বিশ্লেষকরা। তবে অশীতিপর মুবারক মুক্তি পেলেও রাজনীতিতে তার সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে মিশরের রাজধানী কায়রোর কাছের তোরা কারাগারে দিন কেটেছে মুবারকের। ওই কারাগারেই মুবারকের সমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বন্দি আছেন মুসলিম ব্রাদারহুডের কয়েকজন শীর্ষ নেতা।
মুবারককের আইনজীবী ফরিদ আল দিবের আবেদনে তার বিরুদ্ধে চলা একমাত্র দুর্নীতি মামলার শুনানি শেষে বুধবার আদালত তাকে জামিন দেয়।
মুবারকের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলায় পুনর্বিচার চলছে। তবে তিনি ওই মামলার চূড়ান্ত রায় পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ সাজা ভোগ করায় তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে বুধবার জানিয়েছিলেন আইনজীবী দিব।
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কোয়ারের শুরু হওয়া গণবিক্ষোভের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে হতাহতের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
মুবারক বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিরত রাখতে পারেননি বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
ওই মামলায় মুবারকসহ তার কয়েকজন মন্ত্রীর যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার পর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তার আইনজীবী।
তবে চূড়ান্ত রায়ের আগেই দুই বছরেরও অধিক সময় সাজা ভোগ করায় এই মামলায় তাকে আর কারাগারে থাকতে হবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।