আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পোশাককর্মীদের জন্য মোবাইল অ্যাকাউন্ট

এক্ষেত্রে শ্রমিকদের প্রত্যেকের মোবাইল নম্বরকে ব্যাংক হিসাব নম্বরে পরিণত করা হবে, যা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেনের কাজে ব্যবহার করা যাবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত সভায় তৈরি পোশাক শ্রমিকদের জন্য ব্যাংক হিসাব খুলতে ব্যাংকগুলোর নির্বাহীদের প্রতি আহ্বান জানান গভর্নর আতিউর রহমান।
তিনি বলেন, “সাভার ট্রাজেডির পর চলমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বলা যায়, আপদকালীন জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসাবে পোশাকশিল্প-শ্রমিকদের ব্যাংক হিসাব থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ”
ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মজুরি ও ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে হতাহত শ্রমিকদের মনোনীতরা প্রাপ্য মজুরি ও সাহায্যের অর্থ সহজেই নিতে পারতেন বলে মনে করেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে কৃষক, সমাজের দুস্থ মানুষ ও স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্যও ব্যাংক হিসাব খোলা হয়।


গভর্নর বলেন, “কৃষকের ১০ টাকার হিসাবের মত অল্প জমা গ্রহণের মাধ্যমে পোশাকশিল্প শ্রমিকদের ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ দিয়ে জাতীয় অর্থনীতির মূলধারায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে আপনাদের (ব্যাংকারদের) উদ্যোগী ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানাচ্ছি।
যাদের মোবাইল ব্যাংক ব্যবস্থা রয়েছে, তারা দ্রুত এই পোশাকশিল্প শ্রমিকদের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খুলে দেয়ার উদ্যোগ নেবে বলে আশা করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ৪৭টি তফসিলি ব্যাংকে কৃষকদের ১০ টাকার প্রায় ১ কোটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এছাড়া স্কুল পড়ুয়ারা এক লাখ ৩২ হাজার ৫৩৭টি আমানত হিসাব খুলেছে। আর সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধাভোগীদের (মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ইত্যাদি) ব্যাংক হিসাবের সংখ্যাও কয়েক লাখ।


বর্তমানে সারাদেশে ৭ হাজারের বেশি তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় সার্ভিস বুক না থাকলেও এগুলোতে ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করে বলে দাবি করে আসছে পোশাক শিল্পমালিকদের দুটি সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
সভা শেষে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যাংকগুলো তাদের সিএসআরের আওতায় তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য হিসাব খুলতে পারে কি না সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। গভর্নর মহোদয় ব্যাংকারদের অনুরোধ করেছেন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।


মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অধীনে এটা করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন ডেপুটি গভর্নর।
তবে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান ও এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আমিন বলেন, “গার্মেন্টস শ্রমিকরা স্বল্প টাকা আয় করে। এর থেকে সামান্য খরচ করে বাকীটা পরিবারকে দেয়। তাদের কোনো সঞ্চয় থাকে না। এটা অনেকটা একমুখী ব্যবস্থা।

এজন্য তাদের ব্যাংক হিসাবের চেয়ে মোবাইল ব্যাংকিং ভালো হবে। ”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।