দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগই এখন ছাত্রলীগের প্রধান প্রতিপ। এক গ্রুপের কর্মীরা প্রতিপরে কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক। সমর্থকরা প্রতিনিয়ত মার খা”েছ প্রতিপরে নেতা-কর্মীদের হাতে। শিকার হ”েছ নানা নির্যাতনেরও । গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শিবির, বিএনপিসহ অন্যান্য দলের ক্যাডাররা ক্যাম্পাসের বাইরে ও নিরাপদে অব¯’ান করায় গত ৬ মাসে ছাত্রলীগের দুইগ্রুপের মধ্যে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, প্রেমঘটিত বিষয়, ক্যাম্পাসে শিবির তোষণ এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।

এতে আহত ও নিহত নেতা-কর্মীদের পূর্ন তালিকা জানা যায়নি। প্রতিপ ছাত্র শিবির এবং ছাত্রদলের উপ¯ি’তি না থাকায় বেশীরভাগ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চাঁদা আদায়সহ নানা ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যা”েছ। গত ১৮ এপ্রিল মোটা অংকে চাঁদা না দেয়ায় ছাত্রলীগ কর্মী পারভেজ অপর কর্মী জনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের একটি কে সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়িয়ে দেয়। ছাত্র শিবিরকে প্রশ্রয় দেয়ার বিরোধিতা করায় গত ২৬ জুন ¯’ানীয় যুবলীগ কর্মীদের হামলায় রাবির ৪ ছাত্রলীগ কর্মীসহ ১০ জন সাধারণ ছাত্র আহত হয়। প্রেমঘটিত কারণে গত ৩ জুলাই রাবি শাখা ছাত্রলীগ-ছাত্রমৈত্রী সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের তিন কর্মী আহত হয়।

রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। শুধু ছাত্রলীগের কর্মীই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রাধ্য, প্রক্টর, শিক, সাংবাদিক, ডাইনিং কর্মচারী, ছাত্রীসহ ক্যাম্পাসের সাধারণ শিার্থীরাও ছাত্রলীগের হাতে নিরাপদ নয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সহকারী প্রক্টরসহ আট সাংবাদিক আহত হয়। প্রেমের প্রস্তারেব রাজি না হওয়ায় গত ১ এপ্রিল ছাত্রলীগ ক্যাডার কাউসার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করে। এর আগে একই ছাত্রীকে প্রহার করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছ থেকে মুচলেকা দিয়ে ছাড় পায় ওই ছাত্রলীগ কর্মী।

রাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আউয়াল কবির জয়কে হলে প্রবেশ করতে না দেয়ায় গত ৮ এপ্রিল শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং হলে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কে ভালো মানের খাবার পরিবেশন না করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক ডাইনিং কর্মচারিকে পিটিয়ে হল ছাড়ার আল্টিমেটাম দেয় হলের ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আওয়াল কবির জয় এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এর সাথে জড়িতরা ছাত্রলীগ কর্মী নয়। এভাবেই চলছে ছাত্রলীগের সাথে ছাত্রলীগের সম্পর্ক। ভুল হলে ক্ষমা করবেন................
।