হার্ট ঠিক আছে কিনা চেক করে নিন
পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ইমরান(২২) নামে এক কর্মচারী মারা গেছেন।
পাটুয়াটুলীর ঘড়ি ব্যবসায়ী রানা জানান, সংঘর্ষে ছুরিকাহত ইমরান দুপুর সাড়ে তিনটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিটফোর্ড হাসপাতালে মারা যান।
এর আগে পুরান ঢাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।
ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় নেমে এলে অচল হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। চলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ ছাড়া বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।
সংঘর্ষের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই এলাকার সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, সংঘর্ষে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরো জানান, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তবে অনেক ক্ষেত্রে পুলিশকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জানা গেছে, বুধবার বেলা ৩টায় সদরঘাট পাটুয়াটুলী এলাকায় এক চশমার দোকানের এক কর্মচারী ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হলে দোকান মালিকরা দোকানপাট বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অগ্রণী ব্যাংক ভাঙচুর করেন। এরপর সেখানে সংঘর্ষ বেধে যায়।
বাংলাদেশ চশমা বণিক শিল্প সমিতির সদস্য কাজী জানে আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ছাত্রলীগ নামধারী ৪ থেকে ৫ জন সন্ত্রাসী পাটুয়াটুলীর নূরুল হক টাওয়ারের নূর অপটিকসে ঢুকে কয়েকটি চশমা নিয়ে যায়।
দোকান কর্মচারী ইমরান চশমার দাম চাইলে তার সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে সন্ত্রীরা ওই কর্মচারীর পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় উত্তরা থেকে আসা চশমার ক্রেতা মিঠু এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
আহত অবস্থায় ইমরানকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার মৃত্যু ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন— শিক্ষার্থী শাহীন, জালাল ও রোহান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সোহেল ও ইলিয়াস, চশমা ব্যবসায়ী শহীদ, ফারুক, কুদ্দুস ও কাওসার এবং দোকান কর্মচারী জহির।
আহতদের মধ্যে কুদ্দুস ও কাওসারের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জনতা ব্যাংকের এক কর্মচারী পুলিশের ছোঁড়া টিয়ারশেলের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানান দোকান কর্মচারীরা।
আহতরা সবাই মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাংলাদেশ চশমা বণিক শিল্প সমিতির সদস্য কাজী জানে আলম দাবি করেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নামধারী এসব সন্ত্রাসীরা প্রায়ই টাকা-পয়সা এবং বিনামূল্যে চশমা নিয়ে যায়।
মালিক-শ্রমিকদের অভিযোগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম শ্রাবণ গ্রুপের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রাবণ বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র জড়িত নন।
তিনি আরো বলেন, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্ররা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করেন। এটি হয়তো তাদেরই কাজ। কিন্তু ব্যবসায়ীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দোষারোপ করছেন।
জবির প্রক্টর অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শুনেছি পাটুয়াটুলীর একটি চশমার দোকানে চশমা কেনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। ’
তথ্য সূত্র :
Click Here ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।