আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোহাম্মদপুরের পর এবার খিলগাঁওয়ে, মায়ের পরকীয়ায় শিশুকন্যার গলিত লাশ সানশেডে

সমাজকে বদলানোর জন্য নিজেকে আগে বদলানো প্রয়োজন। আসুন আমরা সবাই বদলে যাই সত্যের আলোয়।
মোহাম্মদপুরে সামিউল হত্যাকাণ্ডের পর এবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ে মায়ের পরকীয়ায় নৃশংসতার শিকার হয়েছে এক শিশুকন্যা। সাড়ে তিন বছর বয়সী হতভাগা ওই শিশুকন্যার নাম জেনিফার ইসলাম তানহা। গতকাল দুপুরে খিলগাঁও থানাধীন সিপাহীবাগ এলাকার একটি উঁচু ভবনের পঞ্চম তলার জানালার সানশেডের উপর থেকে শিশুটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তানহার গর্ভধারিণী মা হালিমা বেগম ওরফে তমাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানায়, হালিমাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার যোগসাজশেই প্রেমিক রেজাউল করিম শিশু তানহাকে হত্যা করতে পারে। তবে ঘটনার পর থেকে রেজাউল পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল দুপুর থেকে খিলগাঁও থানার সিপাহীবাগ এলাকার মদন গলির ২৬৯ নম্বর বাসা থেকে লাশের উৎকট গন্ধ বের হচ্ছিল। তখন ওই ভবনের বাসিন্দাদের মধ্যে মৃত মানুষের গন্ধ বলে সন্দেহ হয়। তখন অনেকে খোঁজাখুঁজিও করে। তবে পঞ্চম তলার তালাবদ্ধ ফ্ল্যাট থেকে গন্ধ ছড়াচ্ছে এমন অনুমাননির্ভর হয়ে লোকজন পুলিশকে বিষয়টি জানায়। দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ভবনের পঞ্চম তলার ভাড়াটিয়া রেজাউল করিম দম্পতির জানালার সানশেডের উপর থেকে পুলিশ অর্ধগলিত তানহার লাশ উদ্ধার করে।

এসআই এবিএম ফারুক আহমেদ জানান, লাশের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পচন ধরেছে। কালচে রক্তমাখা নাক ও কান ঘিরে পিঁপড়া ও মাছি ভনভন করছিল। ফারুক হোসেন বলেন, পাঁচ বছর আগে তমাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। সমপ্রতি স্ত্রী ও শিশুকন্যা তানহাকে নিয়ে রেজাউলের সঙ্গে সাবলেটে ভাড়া থাকতে শুরু করি। সেখান থেকেই তমার সঙ্গে রেজাউলের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।

পরে তাকে না জানিয়েই সন্তানকে নিয়ে রেজাউলের সঙ্গে নতুন করে ঘর বাঁধে। বিয়ের খবরও শুনতে পাই। একই এলাকার মদন গলির ওই বাসায় থাকতে শুরু করে। গতকাল ওই বাসা থেকেই পুলিশ শিশুকন্যাটির লাশ উদ্ধার করে। এদিকে গত দুই/তিন ধরে শিশুটির কোন খোঁজ না পেয়ে তার স্বজনরা ঘটনাটি পুলিশকে জানায়।

সুত্রঃ মানবজমিন।
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।