আমি কিছু জানি না......
২৩০টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচে অভিজ্ঞ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল, ৫৫টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ নেদারল্যান্ডস, আর ৫১টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ খেলা আয়ারল্যান্ডের কাছে হারের পর দেশজুড়েই সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। ইউরোপ থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে অধিনায়ক মাশরাফি ও প্রধান কোচ জেমি সিডন্স তাদের নিজস্ব বক্তব্য মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করেছেন।
কিন্তু দলের অন্য সদস্যদের বক্তব্য জানা যায়নি। কেন দ্বিতীয় সারির দল আয়ারল্যান্ড আর নেদারল্যান্ডসের কাছে বাংলাদেশ টেস্ট খেলুড়ে দেশ হয়েও হারের লজ্জা পাবে- এ প্রশ্ন রাখা হয় জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান ও বোলারদের কাছে। জবাবে ক্রিকেটাররা যা বললেন-
আবদুর রাজ্জাক (১০৩টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচে অভিজ্ঞ স্পিন বোলার): এই হারের কারণ আমার জানা নেই।
আমি মনে করি ওই দিনটা আমাদের খারাপ গেছে। একসঙ্গে অনেকেই আমরা সেদিন ভাল খেলতে পারিনি। ওদের মাঠে ওরা শত ভাগ সুবিধা কাজে লাগিয়েছে।
তামিম ইকবাল (৮৫টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান): হার তো হারই, হারের কারণ ব্যাখ্যা করে কি হবে। যা হয়ে গেছে তা কি ফেরত আসবে।
তাছাড়া ওরা ওদের কন্ডিশনে সব সুবিধা কাজে লাগিয়েছে। বৃষ্টি ছিল, তার ওপর টসে হেরে গেছি, ভাগ্য সবদিক দিয়েই আমাদের পক্ষে ছিল না।
মুশফিক রহীম (৭৬টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচে অভিজ্ঞ উইকেটকিপার কাম ব্যাটসম্যান): এই ম্যাচটিতে হেরে গেছি বলে আমারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করার কোন কারণ আছে বলে মনে করি না। আয়ারল্যান্ড আর নেদারল্যান্ডস তাদের ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়েছে। শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড আমাদের মাঠে এসে খেলেছে এবং হেরেছে।
তাতে কি তাদের যোগ্যতা নষ্ট হয়ে গেছে? আমরাও তো ইংল্যান্ডকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে এসেছি। আসলে একটি হার যোগ্যতার মাপকাঠি হতে পারে না।
সৈয়দ রাসেল (৫২টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচে অভিজ্ঞ মিডিয়াম পেস বোলার): আমার মনে হচ্ছে, নেদারল্যান্ডস আমাদের চেয়ে ভাল ব্যাট করছে। ৩০ ওভারে ২০০ রান কম নয়, আমাদের বোলিংটা ভাল হয়নি। আসলে ইংল্যান্ডকে আমরা যেভাবে হারিয়েছি বা অন্য বড় দলগুলোকে হারিয়েছি, সে রকমই ওরা ওদের তুলনায় একটি ভাল দলকে হারিয়েছে।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৫৬টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচে অভিজ্ঞ স্পিন অলরাউন্ডার): আমরা আমাদের খেলাটা খেলেছি। এখন হেরে গেছি, এর কারণ কি বলবো? এই হারের কোন কারণ আমার জানা নেই। এ নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করে বিতর্কে যেতে চাই না।
জুনায়েদ সিদ্দিকী (৩৮টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান): অতিথি দল হিসেবে আমরা আমাদের চেষ্টা করেছি। বৃষ্টি আর টস হার আমাদের অনেক কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দিয়েছিল।
ওরা ওদের মাঠে সফল হয়েছে, তাছাড়া আমরা তো আমাদের ঘরে স্বাভাবিক আবহাওয়াতেই অনেক বড় দলকেও হারিয়েছি। আসলে এটা কোন বিষয় নয়, সবাই তার ঘরের মাঠে সুবিধা নিয়ে কিছু করতে চায়। হারের কোন ব্যাখ্যা হয় না।
ইমরুল কায়েস (২২টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান): নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওই ম্যাচটা ছিল টি-২০ ম্যাচের মতোই। ওই ধরনের ম্যাচে যে কোন ফলাফল হতে পারে।
এই হার মেনে নিতে হবে। যে দু’টি ম্যাচে আমরা হেরেছি, ওই দু’টি ম্যাচেই উইকেট ছিল নরম আর টসে আমরা হেরেছি। ওই ম্যাচে যে কোন দলই হারবে। আমরা খেলেছি আমরা জানি, কিভাবে ব্যাট করেছি।
জহুরুল ইসলাম (৬টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান): আমি তো জাতীয় দলে এই সেদিন মাত্র যোগ দিয়েছি।
আমি হারের কি ব্যাখ্যা দেবো? ভাল খেলতে পারিনি, কারণ পরিবেশ ও পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে ছিল না। ক্রিকেটে একদিনের ম্যাচে টস একটি বিশাল ফ্যাক্টর, সেই টসে আমরা হেরে গেছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।