নেংটুপুটুকাল থেকে না হলেও ওর সাথে দোস্তি ক্লাস ৫ থেকে...৯২ সাল থেকে ২০১০ এর জানুয়ারী পর্যন্ত..তারপর কাট্টি। দোস্ত আমায় ছেড়ে চলে গেল।
অভিমান ছিলো খুব,তার সাথে রাগ আর জেদ। সুইসাইড করার চেষ্টা ছিলো তার হবি। বাবামা এর অশান্তির সংসারে খুব স্বাভাবিক।
ক্লাস ৭ থেকে আমার রুটিন কাজ ছিলো তাকে শান্ত রাখা আর তাকে রাশিরাশি আশা দেয়া যে সব ঠিক হয়ে যাবে।
ছাএ ছিলো ভালো। এতো সমস্যার মধ্যেই সরকারী মেডিক্যালে পড়ে খুব ভালো ডাক্তার। দুইজন দুই মেডিক্যালে,ঐ ছয় বছর দেখা হতো খুব কম। কারন সেতো ঢাকার বাইরে।
তখন মোবাইলে মিনিটে সাত টাকার যুগ। হলে বসে বাপের টাকা উড়াই। মেডিক্যাল এ চোথার সিস্টেম নাইরে ভাই। কিছু বই কেনাই লাগে। মনে পড়ে..হারামিটা সারা বছর ঐ খানের দোস্ত আর বড়ভাইদের নিয়ে মাস্তি করলেও বন্ধু দিবসে দোকান থেকে হলেও নামকাওয়াস্তে একটা ফোন ঠিকই করতো।
মাবাবার বেকার সন্তান হিসেবে সার্টিফিকেট অর্জনের পর মানে MBBS এর পর আরকি, ঢাকায় আসা ........আবার দোস্তির 2nd innings .
সব জানতাম আমি..দোস্তর কষ্ট..অশান্তি..আমার দোস্ত আমার সাথে যাবার দিনও বেঈমানি করে নাই। শেষ কথা আমার সাথেই বলছে...আমার মান রাখছে....কিন্তু আমাকে বুঝতে দেয় নাই। আর আমি শালা ভাবছি প্রতিদিনের মত আজকেও বুঝায় ফেলছি।
শেষটাতো বুঝতেই পারেন..কি পরিনতি। আমার দোস্ত আমার চেয়ে ভালো ডাক্তার।
আয়োজনের কোনো কমতি রাখে নাই। তার ডাক্তার হবার সার্থকতা বুঝি এটাই। আইসিইউ তে নিয়ে,তার প্রিয় স্যারদের ডেকে কোনো লাভই হয় নাই। শেষ হাসিটা সেই হাসলো...নাকি আমরাই হাসলাম তাকে দুনিয়া থেকে ভাগা্য় দিয়ে ?????
সব করলাম আমি,তাকে নিজের হাতে গোসল করালাম আতর লোবান দিয়ে...সাদা ইউনিফর্ম পরালাম..তারপর কাধে চড়িয়ে নিয়ে গেলাম...শুধু আসার সময় একটা চালাকি করলাম...ওকে ফাঁকি দিয়ে চলে আসলাম।
মাএ ছয়মাস হলো তার সাথে দেখা নাই।
এই প্রথম বন্ধুহীন বন্ধুদিবস মহাসমারোহে পালন করবো..সারাদিন নিশ্চিন্ত..বিরক্ত করার জন্য কোনো শালা নাই....
শুধু একটা ব্যাপার...কত বন্ধু চারিদিকে... কলিগ....পাতিবন্ধু,..অনলাইন বন্ধু,.. টাইমপাস বন্ধু....আর বান্ধবী তো আছেই। ঘুরেফিরে তবু ঐ শয়তানটার কথাই মনে পড়ে কেন??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।