আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৩দশ সংশোধনী, ৫ম সংশোধনী বাতিল, অত:পর.....যেই লাউ, সেই কদু?

এখনই, নয়তো কখনই নয়...।

হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনরকমে (জেনারেল মুস্তাফিজ ও রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের দন্দ্বের কারনে উদ্ভুত পরিস্হিতি) তার মেয়াদ পার করলেও শেষ রক্ষা হলো না। ইয়াজুদ্দিনের সময় সংবিধানের ১৩শ সংশোধনীর মাধ্যমে আসা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুরো কনসেপ্টটাই হোচট খেল। ফলশ্রুতিতে এলো ফখরুদ্দিনের তত্ত্বধায়ক সরকার। যদিও এ নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বাজারে চালু আছে।

কারো মতে এটা সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কারো মতে এটি শতভাগ সেনা শাসন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মোড়কে। সেনাশাসনের বিরূদ্ধে এত আন্দোলন, এত রক্তক্ষয়ের পরও কেন একই বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া? ঐ যে চরিত্র, সংবিধানের সংশোধন হলেও চরিত্র তো সংশোধন হয় না। ৫ম সংশোধনী বাতিলের পর কি সংবিধানের শিং গজাবে যে সংবিধান নিজেই নিজেকে রক্ষা করবে? নাকি আমাদের রাজনীতিবিদেরাও এর সাথে রাতারাতি তাদের চরিত্রও সংশোধন করে ফেলবেন? আসলে সংবিধানের প্রতি যদি কারও বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ থাকত তবে সংবিধানটা এত কাটাছেড়ার প্রশ্নই থাকত না। বরং চরম সত্য তো এটাই যে আমাদের সংবিধানের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে রাজনীতিবিদদের চরিত্র আর আমরা আম-জনতা তাদের ঐ চরিত্রপ্রসূত ক্রিয়াকলাপের পরিপ্রক্ষিতে নির্লজ্জের মত কতটুকু নতজানু প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করি তার ওপর। সুতরাং যারা ৫ম সংশোধনী বাতিলের পর বেশ পরিতৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন, তারা একটু আগেভাগেই ঢেকুরটা তুলে ফেললেন কিনা সেটাই চিন্তার বিষয়।

আল্লাহ্ না করুক, যদি ঢেকুরটা গিলে ফেলার মত পরিস্হতি তৈরি হয়, তাহলে? কারন তখন যারা ঢেকুরটা আবার গিলে ফেলার চেষ্টা করতে যাবেন কি হাস্যকর পরিস্হিতিই না হবে? তবে ঐরকম একটা পরিস্হিতিতে কোন পক্ষই হাসতে পারবে কি না সেটাও চিন্তার বিষয়। এটুকু নিশ্চিত যে সব পক্ষই হয় লাউ খাবে নয়ত কদু খাবে-আমাদের বাংলাদেশের ৩৮ বছরের ইতিহাস কিন্তু সেটার সাক্ষ্যই বহন করে আসছে, এখন পর্যন্ত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.