♠ ব্লগার ইমন জুবায়ের ♠ মেঘের আড়ালে থাকা একটি নক্ষত্রের নাম
আমি গত মে মাসে একাকী বাসা হইতে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়লাম। ইচ্ছে একটিবার বনলতাসেনের বাটী অভিমুখে যাবো। পকেট গড়ের মাঠ থাকিলেও আমার ইচ্ছা দমিলো না। তাই শেষে তুহিন পরিবহনে চাপিয়া বসিলেম এক সকালে সেটা মে মাসের ছয় তারিখ। সবই ঠিক ছিলো
কিন্তু আমার হতচ্ছাড়া ক্যামেরা মাঝপথে গিয়াই বিকল হইয়া গেল।
কি,যে করি । এই জায়গায় কেহ কি আর আমাকে ক্যামেরা ধার দেবে তাই মনে মনে মোবাইল তো আছে এই শান্তনা দিয়াই চলিয়া গেলাম নাটোর।
___
গুরুদাসপুর আসিতেই আমার মনে পড়িলো এ এলাকার লোকদ্বয় একটু বেখাপ্পা বটে, তাহাদের হাতটানের অভ্যাস রহিয়াছে তাই একটু সচেতন হইলেম............
সেখানে নামিলেম সন্ধ্যের আগে; কি বৃষ্টিরে বাবা .............রিকস তো পাইনে রাস্তাঘাট তো বাপের জন্মেও চিনিনে ................আহা বন লতা .........................
ভিজিয়াই রিকস নিলাম..............বড় সব এসি হোটেল ছাড়িয়া একখানা পুরোনো হোটেল নিলাম নাটোর বোডিং ৫তলা বিশিষ্ট ।
সেখানে চারদিন ছিলাম কারেন্ট যায়নাই মুহুর্তের জন্যও । আর শালা থাকি মুখপোড়া এলাকায় দিনে ৩৬বার কারেন্ট যায়।
পুরো এলাকাটা দেখবার মতো । খুব ভালো পরিবেশ। লোকগুলোও প্রচন্ড ভালো । বিস্তর বই আর মোবাইলের দোকান আছে। দুটো ভালো মানের কফিশপও আছে।
আর আছে বেশ কিছু মন্দির।
রেলষ্টেশন নোংরা................................................................................
সিনেমা হল গুলো দেখে হাসবার মতো ......................................পথে বেশ ক'জন বনলতা কে পাইছিলাম............................।
আসবার সময় যে দোকানে আমি প্রতিদিন খেতেম সে বললে বাবু চলি যাচ্ছেন কিছু মিষ্টি লিয়ে যান ? নিলাম চার কেজি।
আর সব ব্লগারদের জন্য তুলে আনলাম এইসব ছবি।
নেক্সট টার্গেট ফেনী যাবো.........
সবগুলো ছবিই নকিয়া ৬৩০০ সেটে তোলা .............................
তাই ছবিতে যথেষ্ট পরিমান সৌন্দর্য দেয়া গেল না।
নাটোর এন.এস কলেজের ভেতরের স্মৃতিসৌধ
চলতে পথে পেলাম এই রকম পুরোনো আমলের বাসস্থান...................
আশ্চর্যের বিষয় এই যে আমি যখন পুরোনো এই দরজার ছবি তুলছি ঠিক তখনি ভেতর থেকে বেড়িয়ে এলো একজন কি চাই ?
ভেতরে ঢুকতে পারিনি । এটা শিব মন্দিরের চূড়া।
রানী ভবানী সরকারী মহিলা কলেজ এর পুরোনো ফটক ; নতুনটার ছবি তুলতে পারিনি
শালা বৃষ্টি নেমে গেল।
রাজা দিঘাপতিয়ার রাজবাড়ীর একাংশ (বর্তমানে সরকারী গনপূর্ত ভবন)
রাজবাড়ীর একাংশ (এ জায়গাটা খুব নিরব) আর পরিস্কার
আমার মন চাইলো তাই ছবি তুললাম
রাজবাড়ীর অন্দরে ঢুকবার পথে এই রকম মুর্তি চোখে পড়বে (ইহা কিসের তৈরি বুঝিলেম না)
রাজবাড়ী অংশ বিষেশ
মনে হয় রাজাদের আমলের ছবি।
রাজবাড়ীর একপাশে.....
আহা এমন একটা বাড়ী পেলে চিন্তা আর থাকতো না ...........
খেলাঘর বাধতে যে গেছি ( ইহা কোন সে খেলাঘর)
রাজার এই খালে মছলিয়া ধরতে মন চাইছিলো কিন্তুক বড়শি নাই (আহা চন্ডিদাশ হইবার এমন মুক্খুম সুযোগ হাতছাড়া হইলো।
)
জলসাঘর এর এক অংশ
আহা নাচ রে কে আছিস ...........
আহা !!
নিচে গোপন রাস্তা যারা নাচতো তাদের জন্য.............
সুদৃশ্য উদ্যান
সুদৃশ্য উদ্যান ......
রাজার পুত্রের ঘরের একপাশ
এইখানে রাজা তার রানীদের নিয়ে গপ্প করতেন সাঝ ওর সুবা.............
রাজবাড়ীর তিনপাশে এমন পামগাছের সারি আছে । যাহা বড়ই মনোরম
রাজবাড়ীর ফটকের পেছনের এক অংশ
বনলতা সেন যে পুকুরে স্নান করতেন
প্রধান ফটক যাহা প্রবেশের শুরুতেই ..................এর মাথায় বিগবেন জাতীয় ঘড়ি আছে একটা
রাজকর্মচারীদের বাসস্থান
পুরোহিতের বাসস্থান।
রাজবাড়ীর প্রধান ফটক ভেতর থেকে তোলা
রাজবাড়ীর মুল অংশ
**
যারা পুরোটা পড়লেন দেখলেন আশা করি ক্যামেরা না থাকায় ছবির সমস্যা বুঝতে পারছেন।
** রিকস = রিকসা
## সাধু ও চলিত এন্ড আন্চলিক ভাষা মিশ্রনীয় এবং ঈষৎ বানান ভূলনীয়; তাই ক্ষেমা মার্জনীয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।