বাইরের দেশগুলোতে ব্যাংকগুলোর উদ্দেশ্য থাকে কিভাবে কাষ্টমারদের আরো বেশী বেশী ভালো সার্ভিস দেয়া যায় যাতে তারা সহজে ট্রানজেকশন করতে পারে এবং ব্যাংকের আরো কাছে আসতে পারে ও সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোর সেবার নমুনা দেখলে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে তাদের উদ্দেশ্য থাকে কিভাবে কাষ্টমারদের আরো বেশী বেশী কষ্ট দেয়া যায়।
এইবার আসেন আসল ঘটনায়।
ইদানিং DBBL তাদের কাষ্টমারদের সাথে অভিনব প্রতারনা শুরু করেছে। ২/৩ মাস আগে থেকেই ব্যালান্স জানতে এবং টাকা উঠানোর পর রশিদ নিলে ৩ টাকা করে কেটে রেখে দেয়।
বর্তমানে তারা কাষ্টমারদের বিরক্তি উৎপাদনের জন্য আরো কিছু সুন্দর উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। DBBL- এর বুথে গেলে গার্ড আগেই বলে দেয় হয় মেশিন নষ্ট, নাহয় মেশিনে টাকা নাই, নতুবা টেকনিক্যাল প্রমলেম, মোট কথা বেশীরভাগ সময়ই বুথ সচল থাকে না। আর সর্বোপরি বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ঝামেলা তো আছেই।
তেমনি গতকাল অফিস থেকে ফেরার পথে ভাবলাম, বিদ্যুৎ যেহেতু আছে যাই কিছু টাকা তুলে নিয়ে আসি। আমাদের এলাকায় দুটি বুথ আছে।
প্রথমে একটিতে গেলাম। বুথে ঢোকার আগেই গার্ড তার স্বভাব-সুলভ ভঙ্গিতে বলে উঠলো মেশিন নষ্ট। এমনিতেই ৩৫/৪০ মিনিটের পথ জ্যামে পড়ে আসতে দুই ঘন্টা লাগলো, তারপর গার্ডের মুখের মধুর বাণী শুনে মেজাজ উঠে গেল সপ্তমে। গার্ডকেই বললাম, মেশিন নষ্ট হইলে আপনি এখানে বসে বসে কি করতেছেন, মাছি মারতেছেন? বুথ বন্ধ করে বাড়ি যেয়ে ঘুমান গিয়ে। দ্বিতীয়টাতে যেয়ে শুনি কার্ড ঢুকতাছে মাগার টাকা বাইর হইতাছে না।
কি আর করুম, মনের দুঃখ মনে চাইপা বাসায় চলে আসলাম।
এই হলো আমাগো দেশের ব্যাংকগুলোর সেবার নমুনা। আইসেন আমরা সবাই মিলে DBBL- এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলি এবং বলি ------------------------------------------------------------
DBBL- এর পোন্দে দিয়ে বাঁশ বলো সাবাশ সাবাশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।