আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
কে জানি কইলো আইজ রাইতের থিকা নাকি উত্তর আর দক্ষিন কোরিয়া বাউটে নামতাছে মানে যুদ্ধ নামক ঠোকাঠোকিতে লিপ্ত হইছে। সে জন্য একজন মেইল করছে,"ভাইজান, আপনে মনে হয় কোরিয়া, যদি বিভিন্ন মতভেদে আপনে জার্মান, নরওয়ে সুইজারল্যান্ডে নাকি আছেন? তো ভাই যুদ্ধের ব্যাপারে কিছু জানেন নাকি? আপনের আবার মাথা গরম, দয়া কইরা মাথা গরম কইরা উদাম গায়ে যুদ্ধে ঝাপাইয়েন না!"
মেইলের বাহার দেইখা মনে হইলো, কুন জামানায় আছি, ইদানিং কি কেউ খালি গায়ে যুদ্ধে নামে? মানুষ এখন খালি গায়ে বডি বিল্ডিং করে।
যাই হোউক, আমার নতুন রুম মেট দেখতে বড়ই সোন্দর, চেহারাটা গোলগাল খালি লাল পানি দেখলে দেয় একটু ফাল। এলাকাবাসীর মতে উনি নাকি মদের উপর পিএইচডি করছেন, যেকোনো মদ নাকি গন্ধ শুইনা বইলা দিতে পারে ইহা কুন সালে কেমনে চোলাই করছে।
উনার সাথে পরথম যেদিন দেখা হইলো সেদিন একখান গল্প কইলো:
আর কইয়েন না, একদইন বাসায় পুরা একখান হুইস্কির বোতল নিয়া রাখছিলাম, ভাবছিলাম রাইতে বারের কাজ সাইড়া সকাল বেলা ঐডা খাইয়া রেস্ট লমু। মাগার কাম শেষ কইরা যখন বাসায় আসি তখন দেখি রুমে বোতল নাই। খুইজা আর পাই না। মেলা খুজতে খুজতে পাইলাম বাপের রুমে খালি বোতল, তয় তলায় একটু পইড়া রইছিলো, মনে হয় খাইতে খাইতে আমার কথা মনে পড়নে ঐটুক রাইখা দিছে।
আমি গল্প শুইনা হা হইয়া গেলাম।
বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিছে আর সেই কারনে একখান রুমের ভাড়া শেয়ার করনের লিগা কারে খুইজা পাইলাম হেইডাই ভাবতাছিলাম। ভাবতে ভাবতে তেনারে আবার জিগাইলাম,"আপনের বাপ কি অখন ঢাকায়?"
: আরে কিয়ের ঢাকায়। গতবছর বিয়া কইরা আমেরিকা গেছে গা। নতুন গার্ল ফ্রেন্ডও নাকি জুটাইছে।
এমন গুনধর রুম মেট পাইয়া বড়ই আশান্বিত হইলাম কারন ভাবিলাম এইবার মনে হয় পশ্চিমা হাওয়া আমার মধ্যে লাগিবে।
তবে এই রুম মেটের সবই ভালা তয় মাঝে মাঝে ঘুমাইলে একটু প্রকট গ্যাস ছাড়ে যার কারনে জানাল খোলা না রাখিয়া পুরা রুম ছাইড়া আমার পালাইতে হয়। কারন জানালা খুলিতে খুলিতে দম বন্ধ হইয়া মইরা যাওনের দশা।
এই রুম মেটরে জোগাড় কইরা দিছে আমাগো বারের ম্যানেজার। উনি আবার আমার বিশেষ যত্ন আত্তী রাখেন এবং আমাকে নিয়া শয়নে স্বপনে দুশ্চিন্তা করেন। তার দুইটা দুশ্চিন্তা:
১) আমি জীবনেও লাল পানি খাই নাই এবং খাইবো না!
২) আমার কুনো গার্ল ফ্রেন্ড নাই, তাই এই বয়সেও আমি ভার্জিন কিনা সেইটা নিয়াও দুর্ভাবনা!
গতকাল সকালে মাল টানিতে টানিতে
: ওহে রনি, ভাবিতেছি তোমার আপগ্রেড করাইবো!
: শুকুরআল হামদুলিল্লাহ, সাত সকালে মনে হয় কালা কাউয়ার চেহারা দেইখা উঠছিলাম মনে হয়।
: তোমাকে এখন থেকে গ্লাস টানাটানি করিতে হইবে না। তুমি এখন থিকা বার টেন্ডারের কাজ করিবা।
: মদ আমি খাই না, তার উপর আমারে বারটেন্ডার! কন কি?
: শুনো গ্লাস টানিয়া তুমার পারমিশন লওয়াইতে পারিবো না। তুমি বারটেন্ডারের কাজ শিখো, আর ভাষাটা শিখো, তাহলে তুমার পারমিশনের গতিক করিতে পারি। তোমার জন্য দেখো আমি মদ বীয়ার ফ্রি করিয়াছি তাহার উপর তুমার নামে কুনো মেয়ে মদ চাইলে সেইটাও ফ্রি।
কিন্তু তুমি তুমার কাজ ছাড়া অন্য কিছুতে মনোযোগ দাও না, এইটা নিয়া আমি ভাবনায় আছি তোমাকে আদৌ রাখা যাবে কিনা!
: হায়রে কালা কাউয়া, এর চেহারা দেইখা উঠনেই এই চাকরি যাওনের থেটারিং।
: ইহা থেটারিং মনে করিও না, ইহাই সত্য!
: ওস্তাদ, আমার রুম মেট আপনের কি হয়?
: ও তুমি মোস্তফার কথা বলছো? ও বড় ভালো লোক। ও আমার কাছে ৪০০০০ টাকা পায়। খুবই ভালো লোক, আমার সাথে দুদিনের পরিচয়েই টাকাটা দিয়ে বড় উপকার করিলো।
ঢোক গিলা চিন্তা করলাম, চাকরি বাচাইতে হইলে এই রুম মেট ব্যাটার পা টিপা জরুরী।
রুমে আসতেই দেখি রুম পুরা ফিট ফাট। পুরা ঝক ঝকা কইরা ফেলাইছে লগে লগে আমার গন্ধ যুক্ত দুই জোড়া মুজা রুম থিকা উধাও। মেজাজ চড়নের আগেই খপ কইরা ধইরা নিজেরে ঠান্ডা কইরা দিলাম ফোন,"ওস্তাদ, আপনে কই?"
: আমি মদ কিনতাছি, পরশু রাইতে পার্টি থ্রো করতাছি।
: ওস্তাদ, আমি তো মদ খাই না।
: এইটা আমি জানি, একখান কাজ করতে পারবেন পরশু রাইতে? অন্য কোথাও ম্যানেজ করতে পারবেন?
: এই পুরা ইউরোপে আপনেগো ছাড়া আর হোটেলের ম্যানেজার ছাড়া আর কারোই তো চিনি না।
: সমস্যা নাই, আমি আজিজ ভাইয়ের লগে কথা কইয়া তার রুমে ব্যাবস্হা কইরা দিতাছি।
কিছু কইলাম না, খালি মনে পড়ে দুই তিন দিন আগে এই পাইক্কা ঘোষনা দিছে ও নাকি গে। তার এই ঘোষনার সময় দেখলাম পুরা ব্লকের পুলাপান এতো খুশি হইলো যে সবাই মিল্লা কুলাকুলি শুরু করলো। এমনকি চাইনিজ, কোরিয়ান মাইয়াগুলাও কোলাকুলি। এই পোলার লগে এক রুমে থাকুম শুইনা ভাবতেই মনে হইলো যৌবনে মেলা পাপ করছিলাম, অখন কিছু কিছু পাপের ফল পাওন শুরু করছি!
এমুন সময় রুম মেটের আরেকখান ফোন,"শুনেন, আমার খাটের তলায় দেখেন একটা কার্টন আছে, পাকা আম, দেশ থিকা আইছে, পুরা রাজশাহীর পাকা আম।
ওর অর্ধেক আপনের!"
মনে মনে চিন্তা করলাম বাংলা দেশে কি আম কাঠালের মাস চলে নাকি? যাই হোউক, বাংলাদেশের কথা মনে কইরা লাভ নাই, আপাতত আম দিয়া দুধ ভাত খাই আর রাইতের সমস্যা নিয়া কুনো সল্যুশন করন যায় কিনা সেইটা নিয়া একটুস খানি ভাবি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।