আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাশরাফিরা কেন হারে??

অন্ধকার দেয়ালে তোমার আলো জন্ম দেয় মিথ্যে ছায়াকে.....

সম্প্রতি আয়্যারল্যান্ড আর নেদারল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের লজ্জাজনক পরাজয় ঘটেছে। নিঃসন্দেহে এর দায় ৭০% ই খেলোয়াড়দের, কিন্তু নির্বাচক ও নীতিনির্ধারকদের দায়ও কম নয়। আমার মতে এহেন লজ্জাস্কর পরাজয়ের পিছে নিচের সমস্যা গুলি কাজ করেছে... ১। নিন্মমানের উইকেট কীপারঃ উইকেট কিপিং একটি স্পেসালিস্ট জব। কাউকে গ্লাভস ধরিয়ে দিলেই সে কিপিং করতে পারবে না।

দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বও এটি। শ্রীলঙ্কাকে দেখুন,সাঙ্গাকারার মত অসাধারন কিপার থাকতেও তারা প্রসন্ন জয়াবর্ধনে কে দিয়ে কিপিং করায়। কারন প্রসন্ন আরও ভালো কিপার। আমাদের দলের অবস্থা দেখুন,মুশফিকুর রহীমকে বি গ্রেডের কিপার বললেও বেশি বলা হবে। সে ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিভার অধিকারী।

কিন্তু উইকেট কিপার হিসেবে যাচ্ছেতাই। উইকেট কীপিং কোনো ছেলে খেলার বিষয় নয়। প্রায়-ই দেখা যায় ক্লোজ সিচুয়েশনে মুশফিক ক্যাচ ছেড়ে বসে আছে। এভাবে আর যাই হোক,নিয়মিত ম্যাচ জিতা যায় না। ২।

স্লিপ ফিল্ডারঃ এতদিন হলো আমরা ক্রিকেট খেলছি,আমাদের স্লিপে নির্ভর করার মত ফিল্ডার নেই। অন্যান্য টিমে স্লিপ ফিল্ডাররা অসাধারন ক্যাচ-ট্যাচ ধরে ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেয়। আমাদের গুলো লোপ্পা ক্যাচও ধরতে ব্যর্থ হয় প্রায়ই। ৩। ব্যাক আপ স্পিনার নেইঃ কিছুদিন আগেও বাম হাতি স্পিন আমাদের প্রধান অস্ত্র ছিলো।

দুর্ভাগ্য,এখন অলরাউন্ডার সাকিব ছাড়া ভালো কোনো স্পিনার নেই। আবদুর রাজ্জাক রিপোর্টেড হওয়ার পর থেকে যাচ্ছে-তাই বোলিং করে যাচ্ছে। ওভার প্রতি ৬-৭ রান করে হার হামেশাই দিচ্ছে। প্রতিপক্ষের উপর থেকে সমস্ত চাপ হাউয়ায় মিশে যাচ্ছে তার কারনে। তবুও তাকে দলে সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

অথচ আমাদের ঘরোয়ায় অনেক কোয়ালিটি স্পিনার আছে। এভাবে আর কত?? ৪। ফয়সাল-নাঈমদের ভূমিকা কী??ঃ ঘরোয়ায় ভালো খেলেও ফয়সাল হোসেন দলে চান্স পায় না। এবার যদিও দলে চান্স পেলো,কিন্তু তাকে নিয়ে কি পরিকল্পনা করা মাঠে নামানো হলো বোঝা গেলো না। প্রথম ম্যাচে ৮ নাম্বারে পাঠানো হলো।

একজন ব্যাটস্ম্যান ৮ নাম্বারে নেমে কি করতে পারে জানি না। কিন্তু কারন ছাড়াই পরের ম্যাচে বাদ। হঠাৎ-ই আবার আয়্যারল্যান্ডের সাথে তাকে নামান হলো। এবার ব্যাট-ই পেলেন না। বোলিং করে ১ টি উইকেট পেলেন।

কিন্তু পরের ম্যাচেই আবার বাদ! এসবের মানে কি?? পরিকল্পনা ছাড়া খেলোয়াড় নামানো নতুন নয়। নাঈম ইসলাম-ও এরকম অগোছানো টিম ম্যানেজমেন্টের শিকার। ৫। আশরাফুল সমস্যাঃ তার বিষয়ে একটা কথাই বলতে হয়,যে ঘরোয়াতেই খেলতে পারে না ঠিক মত সে কিভানে জাতীয় দল কে সার্ভিস দেবে?? ইমোশন দিয়ে ক্রিকেট চলে না। ঘরোয়ায় ভালো খেলে দেখাক।

জাতীয় দলের দরজা তবেই তার জন্য উন্মুক্ত হওয়া উচিত। পরিশেষে অধিনায়কত্ব নিয়েও আমার আপত্তি আছে। মাশরাফি নিজেকে খুজে পেতেই ব্যস্ত। এই অবস্থায় তাকে ক্যাপ্টেন বানানোর মানে কী?? লজ্জা মাথায় নিয়ে তারা দেশে ফিরে সব ডিপ্লোমাটিক কথা বলা শুরু করবে...''ভাগ্য আমাদের সাথে ছিলো না'',''কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে পারি নি'',অঘটন ঘটতেই পারে'',''আমরা চেষ্টা করেছি'' ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আসল সমস্যা সমাধান না করলে ভবিষ্যতে আরও লজ্জা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।