আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুড়িগ্রামে বন্যা: পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ: ধরলার পানি বিপদ সীমার ওপর

বাংলাদেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। এ জেলা থেকে প্রথম প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকা `কুড়িগ্রাম নিউজ'
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষণে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে কুড়িগ্রামে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। নদী ভাঙনের মুখে সরিয়ে নেয়া হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলায় ২০ সেমি., ব্রহ্মপুত্রে ১৭ সেমি., তিস্তায় ৩৭ সেমি. ও দুধকুমোরে ১০ সেমি. পানি বেড়েছে।

অব্যাহতভাবে পানি বাড়তে থাকায় ধরলা অববাহিকার বেগমগঞ্জে, সাহেবের আলগা, যাত্রাপুর, মোঘলবাসা, ভোগডাঙ্গা, ঘোগাদহ, পাঁচগাছি ও হলোখানায় প্রায় ৪৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও চিলমারীর অষ্টমীর চর, চিলমারী সদর, নয়ারহাট এবং রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে আরো ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। অপরদিকে ভারত থেকে ভুরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশকৃত ফুলকুমোর, গঙ্গাধর ও দুধকুমোর নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চর ভুরুঙ্গামারী, সোনাহাট, আন্ধারির ঝাড়, পাইকের ছড়া, তিলাই শিলখুড়ি, বলদিয়া ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। পানিবন্দি মানুষ উঁচু রাস্তা, বাঁধ, স্কুল ও পার্শ্ববর্তী উঁচু ভিটায় আশ্রয় নিয়েছে। নৌকা ও কলাগাছের ভেলা ছাড়া যাতায়াতের আর কোনো উপায় নেই।

সূত্র আরো জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নদীভাঙনে পাঁচগাছির চৌধুরীপাড়া, কদমতলা, নওয়াবশ, বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগায় শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মোঘলগাছার সিতাইঝাড়সহ বেশ কয়েকটি চরগ্রামের বিভিন্ন সবজির ক্ষেত, পাট, ও আমনের বীজতলা ডুবে গেছে। সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. সাঈদ কুতুব জানান, ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.