আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কায়িনাতের সকল জীবের আগামী এক বছরের জন্য যাবতীয় বিষয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার রাতটিই পবিত্র শবে বরাত



পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “এটি (শবে বরাত) এমন এক রাত যে রাতে সমস্ত প্রজ্ঞাময় বিষয়ের ফায়ছালা করা হয়। ” (সূরা দুখান : আয়াত শরীফ ৪) বায়হাক্বী ও মিশকাত শরীফ-এর পবিত্র হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনি বর্ণনা করেন, আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, শবে বরাত-এর রাতে ফায়ছালা করা হয় কতজন সন্তান আগামী এক বছরে জন্মগ্রহণ করবে এবং কতজন সন্তান মৃত্যু বরণ করবে। এ রাত্রিতে বান্দাদের আমল (আল্লাহ পাক উনার নিকট) পেশ করা হয় এবং এ রাত্রিতে বান্দাদের রিযিকের ফায়ছালা করা হয়। ”) আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূ্‌র পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যখন অর্ধ শা’বানের রাত উপসি'ত হবে তখন তোমরা উক্ত রাতে ইবাদত করবে এবং দিনে রোযা রাখবে।

কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উক্ত রাতে সূর্যাস্তের পর পৃথিবীর আকাশে আসেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর ঘোষণা করেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো। কোন মুছিবতগ্রস্ত ব্যক্তি আছো কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দিবো। কোন রিযিক প্রার্থী আছো কি? যাকে আমি অপরিমিত রিযিক দান করবো। এভাবে ফজর অর্থাৎ ছুবহে ছাদিক পর্যন্ত ঘোষণা করতেই থাকেন।

” (সুবহানাল্লাহ) যে রাতকে ফারসী ভাষায় বলা হয় ‘শবে বরাত’ বা ভাগ্য রজনী । যেহেতু ১৮৩৬ ঈসায়ী সনে পর্যন্ত আমাদের উপমহাদেশে ফারসী ভাষা প্রচলিত ছিল তাই এ নামেই রাতটি প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। এ মুবারক বরকতময় রাতে মহান আল্লাহ পাক কায়িনাতের সকল জীবের আগামী এক বছরের জন্য যাবতীয় রিযিক বিষয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আর পবিত্র শবে ক্বদরের রাতে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বা কার্যকরী করার জন্য বাস্তবায়নকারী ফেরেশতাগণের নিকট তালিকা অর্পণ করেন। অতএব, সারা বিশ্বের প্রত্যেক জ্বিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের উচিত এ বিশেষ বরকতময় মুবারক রাতে সারা রাত সজাগ থেকে ইবাদত- বন্দিগী করা এবং দিনের বেলা রোযা রাখা।

কেননা স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ বরকতময় মুবারক রাতটি ইবাদত-বন্দিগী করে কাটিয়েছেন এবং দিনের বেলায় রোযা রেখেছেন এবং উম্মতকেও এ রাতে সজাগ থেকে ইবাদত-বন্দিগী করার জন্য এবং দিনের বেলায় রোযা রাখার জন্য আদেশ করেছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.