আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শফিক রেহমান নিজেই নিজেকে "নেড়ি কুত্তা" টাইটেল দিয়ে "ঘেউ ঘেউ" শুরু করেছেন..

বিবর্ণ জীবনে কয়েক ফোটা রং......
নিজেই নিজেকে "নেড়ি কুত্তা" বলে স্বীকার করেছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান!!!! শুধু তাই নয়, রীতিমত 'ঘেউ ঘেউ' করেও যাচ্ছেন তিনি। বিএনপি পন্থী এই বিতর্কিত সাংবাদিক নিউ ইয়র্ক থেকে বিডি নিউজ -এ একটি কলাম লিখেছেন সদ্য সমাপ্ত এবিসি সম্মেলনে তার অংশ নেয়া বিষয়ে। আর সেখানেই তিনি ঘেউ ঘেউ করেছেন নানা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে। কলামটি পড়তে এখানে.. আমার মতে, শফিক রেহমান সাহেব এতদিনে নিজেকে সঠিকভাবে যাচাই করতে পারলেন। তিনি যে সত্যি নেড়ি কুত্তা, এটা বুঝতে তার জীবন শেষ করতে হল!! নেড়ি কুত্তা বলেই তিনি ২০০৬ সালে সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা না দিয়ে পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

তার ঐ নেক্ক্যারজনক ঘটনার পর থেকেই দৈনিক হিসেবে যায়যায়দিন আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যায়। এরপর থেকে পত্রিকাটি আর মাথা তুলে দাড়াতে পারে নি। সে সময়ে আমিও কাজ (প্রদায়ক ছিলাম তখন) করতাম যায়যায়দিন এ। আমার হিসেবে আমি এখনও যায়যায়দিনের কাছে ২৩,৫০০ টাকা পাওনা আছি। শফিক রেহমানের পালানোর চেষ্টার ঘটনার পর এ টাকা আর উদ্ধার করতে পারি নি।

আমার মত, আরও অনেক সাংবাদিক-কর্মচারীর এখনও শফিক রেহমানের কাছে অনেক টাকা পাওনা আছে। অনেকে হয়ত বলবেন, টাকা পাওনা আছে পত্রিকার কাছে, শফিক রেহমানের সংগে কি??? আসলে ব্যাপারটা তা না। সে সময়ে পত্রকাটির মালিক,সম্পাদক এবং প্রকাশক একাই ছিলেন শফিক রেহমান। তাই সবার সব পাওনাই তার কাছে। এইচ আর সি গ্রুপ পরে যখন যায়যায়দিনের মালিকানা নেয়, তখন অবশ্য তারা কেবল তখনও কর্মরত সাংবাদিকদের পাওনা পরিশোঢ করেছিলেন।

কিন্তু শফিক রেহমান পালাতে ব্যর্থ হয়ে যাদের টার্মিনেট করেছিলেন তাদের পাওনা এখনও সবার মেটে নাই। কিন্তু সময় কাউকে ছাড় দেয় না। সেই শফিক রেহমান নিজেও টাকা না নিয়েই যায়যায়দিন ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। নিজের গড়া ব্রান্ড "যায়যায়দিন" এর সত্বও তার হাতছাড়া হয়ে যায়। এরচেয়ে বড় শাস্তি আর কি হতে পারে??
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।