ত্রিশোর্ধ্ব এক মুরিদানের শ্লীলতাহানির চেষ্টাকালে গোলাম নবী নামে এক ভণ্ড পীরের লিঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটেছে। ওই পীরের বাড়ি রাজবাড়ী জেলা সদরের রামকান্তপুর ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামে। রক্তাক্ত অবস্থায় পীরকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণের পরই সে পলায়ন করেছে। জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ফরিদপুরে মুরিদানদের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়
ভণ্ড পীর গোলাম নবী চিশতীয়া। রাতে ফরিদপুর সদরের পদ্মার পাড় ধলার মোড় এলাকার আব্দুল হালিম নামে এক মুরিদানের বাড়িতে অবস্থান করে।
সকালে পেয়ারা বেগম (৩১) নামে আরেক মুরিদানের বাড়িতে যায়। দুপুরে তাকে চিকিৎসার নামে নির্জন কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এসময় ওই মুরিদ হাতের কাছে থাকা ব্লেড দিয়ে পীরের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। পীর চিৎকার করতে থাকলে এলাকাবাসী রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দুপুর পৌনে ২টার দিকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। লিঙ্গ কর্তনকারী মুরিদান পেয়ারা বেগম পুষ্টি কার্যক্রমে নিয়োজিত স্থানীয় একটি এনজিওর সুপারভাইজার।
তার স্বামীর নাম জালাল উদ্দিন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজবাড়ী শহরের অদূরে রায়নগর গ্রামে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়। গোলাম নবীর বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ স্ত্রী ও পুত্রবধূর সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই সে বিভিন্ন ঝাঁড়ফোক ও পানি পড়া করে আসছে।
এলাকাবাসী জানান, ২০০৭ সালে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের এমএলএসএসর চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর সে নিজেকে পীর পরিচয়ে নানান ঝাঁড়ফোক ও রোগের চিকিৎসা শুরু করে। এর মাঝে বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু মুরিদানও যোগাড় করে।
তবে কর্মস্থলের সহকর্মী ও এলাকার অধিকাংশ লোক তাকে ভণ্ড পীর হিসেবেই চেনে।
কথিত পীর গোলাম নবীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (নং-০১৭২১-৩১২৩২৪) রিং করলে গোলাম নবীর পুত্র সেলিম আহমেদ ফোন রিসিভ করে 'সমস্যায় আছি' বলেন। এছাড়া কোন কথাই বলতে চাননি। মুরিদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা: ভণ্ড পীরের লিঙ্গ কর্তন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।