রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকায় আজ শনিবার মফিজুর রহমান খান (৩৮) নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। পুলিশ বলছে, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কোন্দলের জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিবারের অভিযোগ, মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বেলা দুইটার দিকে ১০-১২ জন স্থানীয় যুবক কদমতলীর দক্ষিণ দনিয়ার পাটেরবাগ এলাকায় মফিজুরকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করেন।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ছাত্রলীগের কদমতলী থানা শাখার সভাপতি রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার পক্ষের মধ্যে কোন্দলের সূত্রপাত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার সাধারণ সম্পাদকের লোকজন সভাপতির লোকজনের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে। প্রতিশোধ হিসেবে আজ এ ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মফিজুরের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মফিজুর পরিবার নিয়ে পাটেরবাগ এলাকায় থাকতেন। তাঁর বাসার সামনে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হন। তাঁরাই আজ মুঠোফোনে মফিজুরকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেছেন।
জানতে চাইলে কদমতলী থানা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো সাংগঠনিক ঝামেলা হয়নি। যে ঝামেলা হয়েছে তা আরেক থানায়।
তাই আজকের খুনের ঘটনার সঙ্গে আমার সংগঠনের কেউ জড়িত নয়। ’
যোগাযোগ করা হলে সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।