(............নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি বাগানে নিম। সে যেন ঠিক চড়–ই পাখির মত বাগানের এখান থেকে সেখানে উড়ে বেড়াচ্ছে। হঠাৎ বাতাস ছাড়াতে সে দাড়িয়ে পড়ল। তার মাথায় লম্বা চুল। ছোটরাও এখন লম্বা চুলের সৌন্দর্য বোঝে।
বাতাসে সে তার চুল ওড়াচ্ছে। মুখে মিষ্টি হাসি। আমি নিচে নেমে তার কাছে গিয়ে বললাম, ‘বাতাস তো তোমাকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে। ’
‘আমি নিজেই তো উড়ি। ’
‘তুমি উড়তে পার?’
‘হুঁম।
এই যে এই ভাবে...’
সে তার দুই হাত পাখির ডানার মত করে দেখাল যে কিভাবে ওড়ে..........)
গাজীপুরের একটা কোম্পানীতে দুই সপ্তাহ অডিট হবে। প্রতিদিন সকাল নয়টার মধ্যে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। যেটা আমার জন্য প্রায় অসম্ভব। নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে শনির আখড়া এবং যাত্রাবাড়িতে যে জ্যাম হয় তার কোন বাপ-মা নেই। এই জ্যাম কখন শুরু হবে কখন শেষ হবে তা কেউ বলতে পারবে না।
ভোর পাঁচটায় রওয়ানা হলে সম্ভব। তবে রাতে একটার দিকে বাসায় ফিরে ভোর পাঁচটায় রওয়ানা হওয়া সম্ভব? রোবট হলে সম্ভব। আমি রোবট তো না-ই, বরং খুবই আরাম প্রিয় মানুষ। পড়লাম বিরাট বিপদে।
বিপদ থেকে বাঁচালেন আমার অডিট কো-অর্ডিনেটর হারুন সাহেব।
তিনি বললেন,‘আপনি তো নারায়ণগঞ্জ থেকে এসে অডিট ধরতে পারবেন না.... এক কাজ করেন আমার বাসায় থেকে অডিটটা শেষ করে যান। ’ হারুন সাহেব আমার থেকে অনেক সিনিয়ার। তিনি যে ভদ্রতা করে ‘আপনি’ বলেন তা নয়। তার মধ্যে ভদ্রতার ছিটেফোটাও নেই। প্রায় সবাইকে তুই করে বলেন।
তার মত এমন বদ লোক বলতে গেলে হয় না। সবাই-ই তাকে আড়াল থেকে গালিগালাজ করে। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে তিনি আমাকে অনেক পছন্দ করেন। বলতে গেলে সম্মান দেন। কারণ কী সেটা বলতে পারব না।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছি তিনি আমাকে অপ্রত্যাশিত ফেভার করেছেন।
হারুন সাহেবের প্রস্তাবে না বলার কোন উপায় ছিল না।
উত্তরায় হারুন সাহেবের তিন তলা বাড়ি। তিন তলার পুরোটাই ফ্যামিলি নিয়ে থাকেন। ফ্যামিলি বলতে হারুন সাহেব, তার স্ত্রী এবং ছোট একটা মেয়ে।
আমাকে দেয়া হল তিনতলার গেস্ট রুমটি। খোলা মেলা চমৎকার বাড়ি। বাড়ির চারদিকে ছবির মত বাগান। এমন ‘ঘাগু’ একজন লোকের এমন সুন্দর বাড়ি ঠিক মেলানো যায় না। আমি তিনতলা থেকেই হাটাহাটি করে চারদিকটা দেখে গিয়ে ঢুকলাম শাওয়ারে।
আমি ‘জল প্রিয়’ মানুষ। একবার শাওয়ারে ঢুকলে পানি ছেড়ে আর সহজে বের হতে ইচ্ছা হয় না। মনে হয় অনন্তকাল জল ধারায় বসে থাকি। শাওয়ার নিতে নিতেই দরজায় শব্দ পেলাম। শাওয়ার বন্ধ করে বললাম,‘কে?’
ওপাশ থেকে চিকন কন্ঠে কেউ একজন কিছু বলল।
আমি কিছু না বুঝেই ‘ঠিক আছে’ বলে আবার শাওয়ার ছেড়ে জল ধারায় ঢুকে পড়লাম। কতক্ষণ ছিলাম বলতে পারব না। বের হয়ে দেখি বিছানায় এক পাশে ছোট একটা মেয়ে বসে আছে। তার হাতে একটা ফাইল। সে আমাকে দেখে উঠে দাড়িয়ে পড়ল।
বলল,‘ আব্বু এটা আপনাকে দিতে বলেছে। ’
‘তখন কি তুমিই বাথরুমের দরজা নক করেছিলে?’
‘হ্যাঁ। ’
‘ওহ্ হো...আমি কতক্ষণ তোমাকে বসিয়ে রাখলাম। ’
‘না, আমি সেজন্য বসে ছিলাম না। ইলেকট্রিসিটি নেই তো... সিড়িটা অন্ধকার।
’
‘ও আচ্ছা। চল তোমাকে এগিয়ে দিই। ’
সে সিড়ি দিয়ে আমার সাথে নামতে নামতে বলল, ‘সিড়িতে আইপিএসের কানেকশান দেয়া হয় নাই তো সেজন্য কারেন্ট গেলে অন্ধকার হয়ে থাকে। ’
‘তোমার নাম কী?’
‘নিম। ’
‘নিম?’
‘আনা ফারিয়া নিম।
’
‘বাহ্ খুব সুন্দর নাম তো। আগে কখনো কারও এই নাম শুনিনি। ’
‘আমার মা এই নাম রেখেছে। ’
‘খুব সুন্দর নাম। ’
‘তুমি কিসে পড়?’
‘স্ট্যান্ডার্ড থ্রি-তে।
জুলাইতে ফোরে উঠব। ’
‘তুমি অন্ধকার ভয় পাও?’
‘না। ’
‘তবে ভুতের পাও?.......’
নিম একটা চিৎকার দিয়ে আমার হাত চেপে ধরে বলল, ‘এগুলো বলবেন না। ঠিক আছে? প্লিজ। ’ আমি তার কান্ড দেখে অন্ধকার সিড়ি ঘরে নিজেই ভুতের মত হা হা করে হেসে উঠলাম।
হারুণ সাহেবের সঙ্গে সকালে একসাথে বের হই, ফিরতে ফিরতে রাত নয়টা। এটাই রুটিন। একদিন অডিট ব্রেক হয়ে যাওয়াতে বিকালে ফিরেছি। কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে বারান্দায় দাড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি বাগানে নিম। সে যেন ঠিক চড়–ই পাখির মত বাগানের এখান থেকে সেখানে উড়ে বেড়াচ্ছে।
হঠাৎ বাতাস ছাড়াতে সে দাড়িয়ে পড়ল। তার মাথায় লম্বা চুল। ছোটরাও এখন লম্বা চুলের সৌন্দর্য বোঝে। বাতাসে সে তার চুল ওড়াচ্ছে। মুখে মিষ্টি হাসি।
আমি নিচে নেমে তার কাছে গিয়ে বললাম, ‘বাতাস তো তোমাকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে। ’
‘আমি নিজেই তো উড়ি। ’
‘তুমি উড়তে পার?’
‘হুঁম। এই যে এই ভাবে...’
সে তার দুই হাত পাখির ডানার মত করে দেখাল যে কিভাবে ওড়ে। আমি বললাম, ‘তোমার বাবা যে এত চমৎকার বাগান করেছে ভাবাই যায় না।
’
‘বাবা করে নাই তো। এই বাগান আম্মুর। আম্মুর হবি হচ্ছে বাগান করা। ওইখানে একটা লজ্জাবতির বেড আছে। চল তোমাকে দেখাই।
’
সে আমাকে লজ্জাবতির বেডের কাছে নিয়ে গেল। কার্পেটের মত বিছানো লজ্জাবতি গাছের বেড। নিম লজ্জাবতির গায়ে হাত দিতেই তারা নুয়ে পড়ছে। নিম নিজেও কিছুটা কেঁপে উঠছে। সে আমাকে বলল, ‘হাত দাও না’।
আমরা দুজনের জন্য লজ্জবতিদের লজ্জার সীমা থাকছে না। নুয়ে নুয়ে পড়ছে।
রাতে দোতালায় একসাথে খেতে বসি। একসাথে বলতে আমি, হারুন সাহেব এবং নিম। আমরা না আসা পর্যন্ত নিমও খেতে বসে না।
হারুন সাহেবের স্ত্রী আমাদের সঙ্গে বসেন না। মাথায় স্কার্ফ জড়িয়ে পাশে দাড়িয়ে থাকেন, আমাদেরকে খাবার এগিয়ে দেন। একদিন তিনি বললেন, ‘তোমরা একটু আগে আসতে পার না? নিম সেই বিকাল থেকে অপেক্ষা করে। ’
হারুন সাহেব বললেন, ‘আমার জন্য অপেক্ষা করে?’
‘তোমার জন্য না। এই যে এই চাচ্চুর জন্য।
’
‘তাই না-কি?’
‘হুঁ। নিম অল্প দিনেই তার খুব বন্ধু হয়ে গেছে। বিকাল হলেই শুধু বলবে যে বাবা তাকে এত কাজ দেয় কেন? একটু আগে চলে আসতে দিতে পারে না। ’
নিম কথা শুনে চোখ ঘুরে ঘুরে তাকাচ্ছে আর পা নাড়াচ্ছে।
হারুন সাহেবের স্ত্রী বললেন, ‘তোমাকে ও খুব পছন্দ করেছে।
’
আমি পানি খেয়ে বললাম, ‘আসলে আমি ছোটবেলায় দেখতাম যে বড়রা আমার কথার গুরুত্ব দিচ্ছে না, সেজন্য মন খারাপ হত। তাই এখন আমি ছোটদের কথা খুব গুরুত্ব দিয়েই শুনি। সেটা ওরা বুঝতে পারে। ’
খাওয়ার পর নিম তিনতলায় আমার রুমে এসে উপস্থিত। সে তার হাতে চাবি দেখিয়ে বলল, ‘আব্বুকে বলে চাবিটা নিয়ে এসেছি।
চল, ছাদে যাই। ’
ছাদে তখন খুব বাতাস হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল দুজনকেই উড়িয়ে নিয়ে যাবে। নিম বলল, ‘ব্ল্যাক পাঞ্জাবীতে তোমাকে খুব হ্যান্ডসাম লাগছে। ’ আমি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়েই বললাম, ‘থ্যাংক ইউ ভ্যারি মাচ।
’ বাচ্চারা এখন কত স্মার্ট হয়!
নিম রেলিংয়ের কাছে চলে যেতে যায়, আমি তাকে ধরে রেখে বললাম, ‘তোমার কোন ফ্রেন্ড নাই, তাই না?’
‘আছে তো, স্কুলে আমার অনেক ফ্রেন্ডজ। তবে তারা কেউ বাসায় আসে না। বাসায় আমার বোরিং লাগে। ’
‘এখন তো আমি আছি। ’
‘হুম, তবে তুমি তো একটু বড়।
বিগ ফ্রেন্ড... হি-হি। ওকে, গিভ মি ফাইভ। ’
নিম তার ছোট হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। হাতে হাত মেলাতে হল।
ছাদে একটা দোলনা আছে।
দোলনার বসার সীট পরিষ্কার করে আমি বসেছি, নিম পিছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু বেশি দূর সরাতে পারছে না। সে ধাক্কা দিতে দিতেই বলল, ‘আমি সায়েন্স নিয়ে পড়তে চাই, বড় হয়ে মারস-এ যাব। আচ্ছা আমি কি পারব যেতে?’
‘অবশ্যই পারবে। ইন্ডিয়াতে একটা মেয়ে ছিল নাম কল্পনা চাওলা, সে ছিল এস্ট্রোনাট। মহাকাশে গিয়েছিল।
তুমিও পারবে। তবে যখন যাবে তখন সেখান থেকে আমাকে ফোন করবে,ঠিক আছে?’
‘মারস থেকে কি ফোন যায় না-কি? তুমি কী যে ফানি কথা বল। হিহি। ’
‘চল, অনেক হিহি হয়েছে। এবার নিচে নেমে যাই।
’
কাজ শেষে অফিস থেকে ফিরলেই নিম তিনতলায় আমার এখানে চলে আসবে। আমি হয়ত রিপোর্ট রিভিউ করছি আর সে চারদিকে ঘুরপাক খাচ্ছে আর হাত নেড়ে নেড়ে নানান কথা বলে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে বলছে, ‘তুমি কি বুঝতে পারছ ব্যপারটা?’
‘হুঁ। ’
‘বুঝতে পারছ?’
‘হুঁ। ’
‘শুধু তো হুঁ হুঁ করেই যাচ্ছ।
আমার কথাটা শোন মনযোগ দিয়ে। ’
একদিন অফিস থেকে ফেরার পর সে আসল। এসে দরজার সামনে কোমড়ে হাত দিয়ে দাড়াল। বড় বড় চোখ করে তাকাচ্ছে, মুখে অভিমানি ভাব। মাথার চুল ভেজা, চুল থেকে টপটপ করে পানি পড়ে তার ফ্রক ভিজে যাচ্ছে।
আমি বললাম,‘কী হয়েছে?’
সে অগ্নি মূর্তি হয়ে বলল, ‘আই হেইট হার। ’
‘কাকে?’
‘আম্মু আমাকে বকা দিয়েছে। ’
‘সেজন্য এত রাগ?’
‘আই ডোন্ট ওয়ানা সি হার এনি মোর। ’
‘বকা খেয়ে এসে রাগ দেখালে তো চলবে না। তোমাকে বকা দিয়েছে, তুমিও তাকে বকা দিয়ে দাও।
সে তোমাকে বকা দিয়ে অন্যায় করেছে, তাকে অবশ্যই বকা খেয়ে তার জন্য পানিশ্ড হতে হবে। ’
‘আমি তাকে বকা দিব? শুড আই...?’
নিম গট গট করে নিচে নেমে গেল। বুঝলাম ভালই ক্ষেপেছে। কিছুক্ষণ পর সে আবার এসে হাজির। মুখে হাসি, চেহারা টিউব লাইটের আলোর মত ঝলমল করছে।
বলল, ‘বকা দিয়ে এসে মনটা ভাল হয়ে গেছে। ’
‘কী বকা দিয়েছ?’
‘বলেছি, .....আর তুমি যে আমাকে প্রতিদিন স্কুলে স্ন্যাকস মেক করে দাও সেটা মুখে দেয়া যায় না। ইটস রাবিশ এন্ড ইউ আর অলসো। .........আচ্ছা, তুমি এত ভাল কেন?’
‘কেন আমি আবার কী করলাম?’
‘এই যে কত সহজে আমার মন ভাল করে দিলে। ’
নিম হঠাৎ করেই ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘আই লাইক ইউ ভেরি মাচ...মোর দ্যান এনি আদার এলস ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড।
’
আমি এই আকষ্মিক, নিখাদ ভালবাসায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলাম। আমার মত নিষ্ঠুর মানুষের চোখও কি ভিজে এসেছিল? আমি কথা ঘুরিয়ে বললাম, ‘ওহ্! তোমার চুল তো দেখি পানিতে জবজব করছে। দাড়াও টাওয়েল দিয়ে মুছে দিচ্ছি। ’
আমি তার চুল মুছে দিচ্ছি আর সে আমাকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। আমার মনে হল যে, কত বন্ধুহীন হয়েই না এরা বড় হচ্ছে।
কারও কোন মনযোগ নেই এই বন্ধুহীন শিশু গুলোর উপর।
আমি নিমকে বললাম, ‘চল, আইসক্রিম খেয়ে আসি...ওহ তোমার তো আবার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে...তাহলে বাদ। ’
‘আইসক্রিম খেলে ঠান্ডা লাগে না তো। ডাক্তার আংকেল সেটা বলেছে। ’
‘তাই নাকি? ঠান্ডার ভয়ে তো আমি আইসক্রিম খাওয়া বাদ দিয়েছিলাম।
তাহলে চল দুজনেই গিয়ে আইসক্রিম খেয়ে আসি। ’
নিচে নেমে গেটের পাশের কনফেকশনারি থেকে আইসক্রিম নিলাম। দুই জনে দুই হাতে দুইটা করে চারটা। রাস্তার পাশে দাড়িয়ে একসাথে দুই হাত থেকেই আইসক্রিম খাচ্ছি। সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার লোকজন অবাক হয়ে তাকাচ্ছে।
হয়ত ভাবছে, এদের কী হয়েছে?
যেদিন অডিট শেষ হয়েছে সেদিনই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। হারুন সাহেব এবং তার স্ত্রী অনেক রিকোয়েস্ট করেছে সেদিন থেকে পরদিন যাওয়ার জন্য। কিন্তু দুই সপ্তাহে বাড়িতে অনেক কাজ জমা পড়ে আছে, ফিরতেই হবে। আমি যখন ব্যাগ গোছাচ্ছি তখন নিম আসল। সে এসে বলল,‘আমি জানি তুমি আর কখনো আসবে না।
’
‘কেন এই কথা বলছ?’
‘আমি জানি। ’
‘না, না। আমি প্রতিদিন তোমাদের এখানে আসব, দেখো। ’
‘ইউ আর আ লায়ার। ’
সে বিছানার কাছে একটা প্যাকেট রেখে চলে গেল।
গায়ে কারসিভ ইংরেজীতে লেখা-‘ফর মাই বিগ ফ্রেন্ড। ’
নিমের কথা মত আমি ‘লায়ার’ কি না জানি না। তবে যাব যাব করেও তাদের বাড়িতে আর যাওয়া হয় নি। সপ্তাহিক ছুটিগুলোতে ব›ধবান্ধবরা ফোনের উপর ফোন দিতে থাকে। আর যাওয়া হয় না।
হারুন সাহেব জব সুইচ করে অন্য একটা কোম্পানিতে জয়েন করেছেন। তার সাথেও দেখা হয় না। হঠাৎ করে ড্রয়ারে চাবি খুজতে গিয়ে দেখি নিমের গিফট-টা। একটা পেন। পেনের মাথার উপর একটা ভালুক বসা।
চাপ দিয়ে লিখতে গেলেই ভালুকটা জ্বলে ওঠে।
আমি ‘লায়ার’ হতে পারি। কিন্তু তার নিখাদ ভালবাসা ভুলে যাই নি। তার ছোট ছোট ভালবাসাগুলো গভীর যতেœ সাজিয়ে রেখেছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।