আগামীর স্বপ্নে বিভোর...
‘এই বলটি যে ডিজাইন করেছে সে জীবনেও ফুটবল খেলেনি’, ‘আমার জীবনে দেখা সবচে বাজে বল এটি’; ইকার ক্যাসিয়াস, রবিনহো, ফ্যাবিও ক্যাপেলোর মতো খ্যাতনামা ফুটবলারদের এমন মন্তব্যের পর এবারে জাবুলানি বিতর্কের আগুনে নতুন করে ঘি ঢাললেন নাসার বিজ্ঞানীরা। জাবুলানির অ্যারোডাইনামিক ডিজাইনে বেশ বড়ো একটি খুঁত খুঁজে বের করে জাবুলানির বাজে পারফর্মেন্স-এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখা দিয়েছেন তারা। খবর ইয়াহু নিউজের।
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১০ শুরুর পর থেকেই যেন ফুটবলারদের পায়ের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে অ্যাডিডাসের বল জাবুলানি। এ বলটির বাজে পারফর্মেন্স নিয়ে ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটারের কাছে ১২ পৃষ্ঠার একটি চিঠিও লিখেছিলেন লিভারপুলের প্রাক্তন স্ট্রাইকার ক্রেইগ জনসন।
মাঠের খেলোয়াড় ও বিশ্বব্যাপী দর্শকদের দুয়োধ্বনির পরও টনক নড়ছিলো না ফিফার।
তবে এবার যেন ফিফা আর সেপ ব্লাটারের চোখে আঙ্গুল দিয়ে জাবুলানির ডিজাইনের খুঁতটিকে দেখিয়ে দিলেন নাসার অ্যামেস ইনভেস্টিগেশন সেন্টারের বিজ্ঞানীরা। এ বিজ্ঞানীদের কাজ হচ্ছে রকেটের অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। যাতে করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উচ্চগতিসম্পন্ন রকেট তৈরি করা যায়।
জানা গেছে. বেশ ক’জন মেজর লীগ ফুটবলারদের সাহায্য নিয়ে জাবুলানির পরীক্ষার কাজটি করেছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
সে পরীক্ষায় জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যতোটা উঁচুতে, সে উচ্চতার অপেক্ষাকৃত হালকা বায়ুমণ্ডলে জাবুলানিতে যদি ৪৪ মাইলের বেশি গতিতে কিক করা হয় তবে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় ঘুরতে থাকে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এর ফলে দূরপাল্লার শটে বলটি যে কোনদিকে যাবে তা বুঝতে পারা প্রায় অসম্ভব। এবারের বিশ্বকাপে লায়োনেল মেসি, রবিনহো, কাকা’র মতো বিশ্ব সেরা ষ্ট্রাইকারদের গোল বার বরাবর দীর্ঘ শটগুলো মিস হওয়ার পিছনের মূল কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে জাবুলানির ডিজাইনকেই।
প্রসঙ্গতঃ এর আগে অ্যাডিডাস এ বলটি সম্পর্কে বলেছিলো, এর সমস্যা একটাই, ‘বলটি অসম্ভবরকম নিখুঁত’!
অবশ্য নাসা’র নতুন বক্তব্যের পর এখন পর্যন্ত অ্যাডিডাসের পক্ষ থেকে এই বৈজ্ঞানিক সমালোচনার কোন উত্তর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে, জাবুলানির এই ভয়াভহ পাফফর্মেন্স নিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরেই জরুরী সভায় বসতে যাচ্ছেন সেপ ব্লাটার ও ফিফার কর্তা ব্যাক্তিরা।
খবরটা এখান থেকে প্রাপ্ত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।