হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে আজ ৭ই জুলাই ঘটে গেল এক কলঙ্কিত ঘটনা। প্রধান শিক্ষিকা অসুস্থ থাকার দরুন সিনিয়র শিক্ষিকা রোজলীন গমেজ( ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ) এই কলঙ্কিত ঘটনার জন্ম দেন। বিদ্যালয়টির ইতিহাসে এমন ঘটনা এই ১ম। সূত্র মতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা হবার পরপর বিদ্যালয়ে সবার সাথে তার দুব্যবহার চরমে উঠেছে। আজ ৭ই জুলাই প্রভাতী শাখার শেষ ক্লাশের পূর্বে( আনুমানিক বেলা ১১.২০ ) তিনি যা করলেন তা ব্লগে উল্লেখ না করে পারলাম না।
আজ ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে তুচ্ছ ঘটনার কারনে ৭ম শ্রেণীর “খ” শাখার ৫০ জন ছাত্রীর সামনে আনুমানিক ২৫ মিনিট অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও নির্মম ভাবে প্রহার করেন। ছাত্রীটি খুবই হালকা পাতলা গড়নের । ছাত্রীটি এখন মানুষিক ভাবে খুবই বিপর্যস্ত, হাত-পায়ে- গায়ে প্রহারের দাগ ও যতদূর জানি সে এখন প্রায় ১০৩ ডিগ্রি সে. জ্বরে ভুগতেছে।
ঘটনাঃ ছাত্রীটি তার বাংলা ২য় পত্রের ক্লাসের খাতায় তার নিজের নাম লিখেনি, খাতা পরীক্ষা কালে যখন এটা ধরা পড়ে তখন রোজলীন গমেজ খুবই বাজে ভাবে লাল কালিতে ছাত্রীটির নাম খাতায় লিখে দেয়। বাচ্চা মেয়েটি না বুঝে সেই লাল কালিতে লেখা তার নাম টি পরবর্তীতে কেটে সুন্দর করে পুনরায় লিখে।
এতে উক্ত শিক্ষিকা রাগান্তিত হয়ে বাচ্চা মেয়েটিকে পাশবিক ভাবে ৭ম শ্রেনীর খ শাখার ছাত্রীদের সম্মুখে বেদম প্রহার করেন। এতে ক্লাসের বাকী ছাত্রীরাও মানুষিক ভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত। উক্ত ঘটানার পরে তিনি ক্লাসের ছাত্রীদের এই বলে ধমকি দেন যে কেহ যদি উক্ত বিষয়ে কোন উচ্চবাচ্য করে তবে তাকে টিসি দেওয়া হবে।
ঘটনার জন্মদাত্রীঃ রোজলীন গমেজ( ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ) হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ফোনঃ ৮৩১৯৮০৯
বিদ্রঃ ছাত্রীটির নিরাপত্তার কারনে নাম উহ্য রাখা হল।
যদি প্রয়োজন হয় তবে ছাত্রীটির মাতার কাছে ফোন করে ঘটনার সত্যতা ও মূল্যবান পরামর্শ দিতে পারেন।
ফোন নংঃ ০১৭২৬৩৬৭৯৫৬
ব্লগে অনেক সাংবাদিক ভাইরা আছেন। দয়া করে আপনারা উক্ত বিষয় নিয়ে পত্রিকায় লেখুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।