সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য। আমার চলমান মেইল এড্রেস ঃ shimantodhk2010@gmail.com ,
ন্যায় বিচার ও মৃত্যু দন্ড নিয়ে ব্লগে লিখা এসেছে। মৃত্যুদন্ডের পক্ষে অনেকে অনেক যক্তি ও মতামত দিয়েছেন
Click This Link
তবে আমি সরাসরি মৃত্যুদন্ড সমর্থন করিনা। পাপকে ঘৃনা কর পাপী কে নয়। একজন পাপী রাগের মাথায় বা ঝোকের বশে অনেক বড় অপরাধ করে ফেলতে পারে।
যখন সম্বিত ফিরে পায় তখন দেখে তার উপরে মৃত্যু দন্ডের খড়্গ
আমি মনে করি একজন খুনীকে প্রাথমিক ভাবে সংশোধিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তাকে ভালো হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। অনেক উদাহরন আছে একজন খুনী, সংশোধিত হয়ে, সমাজ ও দেশের অনেক উপকারে এসেছে। একজন খুনী একজন মানুষ কে খুন করতে পারে কিন্তু সংশোধনের সুযোগ দিলে সে ১০০ জন মানুষের জীবন ও বাচাতে পারে।
মৃত্যুদন্ড তখনই দেয়া যেতে পারে, যখন একজন খুনীর সংশোধনের কোন সম্ভবনাই নাই।
একটি ঘটনা আপনাকে বলি, আমার বড় ভাইয়ের নিজের দেখা কাহিনী,
সৌদি আরবে মৃত্যু দন্ড হয় প্রকাশ্যে। ঘটনায় জানতে পারি, দুই দল তরুন ফুটবল খেলছিলো। তাদের মধ্যে ছিলো আনন্দ উল্লাস। খেলার এক পর্যায়ে দুই জন যুবকের মধ্যে ঝগড়া বেধে যায়। এক যুবক বিপরীত যুবক কে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বুকে ঘুষি মেরে বসে।
সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পরে মারা যায়। মামলা হয় , সঠিক বিচার হয়।
বিচারে সৌদি আদালত তাকে মৃত্যু দন্ড দেয়। নিয়ম আছে রক্ত মুল্য পরিশোধ করলে সে ছাড়া পাবে। কিন্তু, বাদীর পরিবার টাকার সাথে আপোষ করেনি।
হত্যার দিন খোলা মাঠে সবার সামনে যখন অপরাধী সুদর্শন যুবককে হাজির করা হয়। অনেকের বুকের ভেতরে হু হু করে কেদে উঠেছিলো। যুবকটির চোখের দিকে তাকালে বোঝা যাচ্ছিলো তার বেচে থাকার আকুতি । সামান্য কয়েক সেকেন্ডের মাথা গরমের জন্য তাকে প্রান দিতে হচ্ছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
সৌদি আদালত ন্যায় বিচার করেছে বাদীর সাথে, এটা ঠিক। কিন্তু আমি মনে করি এটা রাস্ট্রীয় সন্ত্রাস। যুবক টাকে বেচে থাকার জন্য সুযোগ দেয়া যেতে পারতো। আরো অনেক অনেক উদাহরন আছে এই পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। ন্যায় বিচার হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ঘটনাকে রাস্ট্রীয় সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।
হত্যা বা খুনের জন্য পৃথিবির অনেক দেশেই আদালত কতৃক মৃত্যু দন্ডের ব্যাবস্থা আছে। তাই বলে কি অপরাধ খুন কমে গিয়েছে?
মৃত্যুদন্ড তখনই দেয়া যেতে পারে, যখন একজন খুনীর সংশোধনের কোন সম্ভবনাই নাই। এটাকে আমি বলবো, ভয়ঙ্কর অপরাধীর হাত থেকে বাচার জন্য সমাজ বা দেশের জন্য আত্নরক্ষামুলক ব্যাবস্থা।
অহংকার পুন্য ধ্বংস করে,
অনুশোচনা পাপ ধ্বংস করে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও আমি সেই রকম মনে করি।
বাংলাদেশে একজন ছিচকে অপরাধী জেলে গেলে , জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে সে আরো বড় অপরাধী হয়ে যায়। কারন কি? জেল খানা কি অপরাধী তৈরির কারখানা?
আমি মনে করি তাই। বাংলাদেশের জেল খানা গুলোতে অপরাধীদের সংশোধনের সুযোগ কম। যেখানে করা নিরাপত্তার পরেও মাদক সহজ লভ্য সেখানে অপরাধী সংশোধনের আশা করা যায় না।
বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের মতন আমাদের দেশেও অপরাধী সংশোধন কেন্দ্র করা উচিত, সেটা যাতে জেল খানা না হয়।
মানুষের মতন বাসযোগ্য বাসস্থান হয়। তাদের ভিতরে মানবতা বোধ জাগিয়ে তোলার জন্য যা যা করনীয় তা করা হয়।
পৃথিবীর যেসব দেশে মৃত্যু দন্ড নাই, সে সব দেশে অপরাধের মাত্রা অনেক কম। বরং যেসব দেশে মৃত্যু দন্ড আছে সেসব দেশে অপরাধ মাত্রা অনেক বেশী।
বিঃ দৃঃ গালা গালী না করে বরং আপনাদের মুল্যবান মতামত আশা করি।
আমাকে আবার সুশীল ভাববেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।