আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত্যুদন্ডকে সমর্থন করি না

কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না, ইহাতে উহারা কষ্ট পায়

আমার সাথে অনেকেই একমত হবেন না। আমি অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ড সমর্থন করি না। মত্যুদন্ড দেয়ার বিধান মধ্যযুগীয় পদ্ধতি। অপরাধ দমনে মৃত্যুদন্ড কতটুকু কার্যকর তা ভেবে দেখার বিষয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই বিধান কার্যকর থাকলেও সেখানে অপরাধ দমন সঠিক ভাবে হচ্ছে তা বলা যায় না।

অথবা মৃত্যুদন্ডের ভয়ে কোন অপরাধী তার অপরাধী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকছে এমনটি জোর দিয়ে বলা যায় না। যদি তাই হতো তবে প্রতিদিন দেশে দেশে এতো অপরাধী কর্মকান্ড সংঘঠিত হতো না। অপরাধকে দমন করতে হলে দরকার নৈতিক শিক্ষা, আর এই শিক্ষা কেবল মাত্র ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিপালনের মাধ্যমেই সম্ভব। অন্য কোন পদ্ধতি কার্যকর হবে না। মানবিকতাবোধ, ধর্মীয়মূল্যবোধ যতদিন আমাদের মনে গ্রথিত না হবে ততদিন চোরপুলিশ খেলা চলতেই থাকবে।

একজন অপরাধী অপরাধ করার আগে তার বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতার কথা ভুলে যায়। একজন অপরাধীর শাস্তির ব্যবস্থা থাকার পরেও সে অপরাধ করে চলছে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা অপরাধীর জন্ম দেয়। এখানে সে অপরাধ করতে অনুকূল পরিবেশ পেয়ে থাকে। আর্থ-সামাজিক কারণেই বেশীরভাগ অপরাধ সংঘঠিত হয়ে থাকে।

ভেবে দেখুন, একজন মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী একটি পরিবারের সদস্য। তারও বাবা মা আত্নীয় পরিজন আছে। তাকে ফাঁসিতে না ঝুলিয়ে যদি আজীবন কারাদন্ড দেয়া হয় তবে সে মরণ যন্ত্রণা সারা জীবন ভোগ করবে। অন্যদিকে একবার মৃত্যুদন্ড দিলে সে পরপারে গিয়ে হয় শাস্তি ভোগ করবে নয়তো স্বর্গে বসবাস করবে। তাহলে এক্ষেত্রে আজীবন শাস্তিভোগ করাটাই তো যুক্তিযুক্ত।

অন্যদিকে, মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয় নিভৃতে কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে। সাধারণ মানুষ সেগুলো দেখতে পায় না। অপরাধীরা এতে সতর্ক হবেন এমনটি ভাবার কারণ নেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।