Someone become successful and someone not but man loves and will love
রাজধানীতে চলছে নোটারি পাবলিকের নামে প্রতারণা বাণিজ্য। কিছু অসাধু ব্যক্তি এই বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। এদের খপ্পরে পড়ে প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন নিরীহ মানুষ। দেশে প্রায় সাড়ে ৮শ’ নোটারি পাবলিক রয়েছেন। এরা সরকারের তালিকাভুক্ত।
এদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় নোটারি পাবলিকের সংখ্যা প্রায় ৩শ’।
তোপখানা রোড ও এর আশপাশের এলাকাতেই রয়েছে অর্ধশতাধিক নোটারি পাবলিকের দোকান। কিন্তু সরকারের তালিকাভুক্ত নোটারির সংখ্যা হাতে গোনা। নোটারি পাবলিক করার নামে অনেকেই এসব স্থানে ছোট ছোট টেবিল নিয়ে বসে থাকেন। এদের কেউ নোটারি করেন না।
কিছু অসাধু আইনজীবী সাইন বোর্ড দিয়ে দালালকে ফুটপাতে বসিয়ে রেখে এ ব্যবসা করছেন। দালালরা কাগজপত্র তৈরি করে নিয়ে গেলেই আইনজীবীরা তাতে স্বাক্ষর করে দেন। কাজের ধরন অনুযায়ী দালালরা টাকা পেয়ে থাকেন। কেউ মাসিক বেতনে, কেউ কমিশনে এই অর্থ পান।
ধানমন্ডির বাসিন্দা এনামুল হক উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ যাবেন।
এজন্য তিনি তার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নোটারি করিয়েছেন। কিন্তু নোটারিতে যে আইনজীবীর নাম-ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে, সেই নামে কোন আইনজীবী বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত নন। ফলে পুনরায় তাকে নোটারি করতে হয়েছে। বাংলাদেশ নোটারি পাবলিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, এই নোটারি পাবলিকের ব্যবসায় দালাল উচ্ছেদ করতে হবে। ইতিমধ্যে বিষয়টি জানিয়ে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে।
দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানায় মামলা করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। দালালরা আগের মতোই ব্যবসা করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই দালালরা শুধু নোটারি করে না, তারা সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সই ও সিলও জাল করে নানা অপরাধ করছে। কিন্তু এই অবৈধ কাজ দেখার কেউ নেই।
হলফনামা, জমিজমা সংক্রান্ত দলিল দস্তাবেজ, গাড়ি কেনাবেচা, বিয়ে বিচ্ছেদ, চারিত্রিক সনদপত্র, ইমিগ্রেশনের কাগজপত্র নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সত্যায়িত করা হয়। ১৯৬৪ সালে প্রণীত নোটারি অধ্যাদেশ মোতাবেক একমাত্র আইনজীবীরাই এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইংরেজি শব্দ নোটারির প্রচলন থাকায় বাংলাদেশে এই শব্দটির ব্যবহার হচ্ছে। তবে নোটারি শব্দের অর্থ হচ্ছে সত্যায়িত প্রমাণ বা দালিলিক প্রমাণ। অভিযোগ রয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া অনেকেই নোটারি পাবলিকের ব্যবসা করছেন।
বাংলাদেশ নোটারি পাবলিক এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা করা হয়। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
======================
সুত্র: ইত্তেফাক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।