অসুস্থ নগরে একটু সুস্থতার খোঁজে ...........
বিশ্বকাপ আস্তে আস্তে শেষের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। একে একে ঝরে যাচ্ছে দুই সপ্তাহ আগেও যারা বিগ বস ছিল তারা। প্রথমে ফরাসিরা, এরপর আজ্জুরিরা। মান বাঁচিয়ে শেষ ষোলতে জায়গা করে নেয় ইংল্যান্ড, জার্মানি আর স্পেন। কালকে সেকেন্ড রাউন্ডে বিদায় নিল ইংল্যান্ড।
আমার ফেভারিট আর্জেন্টিনা এখনো আছে, তবে কালকের খেলায় তাদের ম্রিয়মান মনে হয়েছে। শেষ দিকে তেভেজকে কেন তুলে নিলেন ম্যারাডোনা ? তবে কি আরেকটা ভুল হবে গতবারের কোয়ার্টার ফাইনালের মত ?
বাস্তবতা বড় নির্মম। যা বিশ্বাস করতে চাই না তাই ঘটে থাকে। এবার মনে প্রাণে চাই আলবিসেলিস্তিয়ানরা জিতুক। কিন্তু প্রতিপক্ষ যে জার্মানি।
মনে একটা শঙ্কা কাজ করছে, আবার ২০০৬ ফিরে আসবে নাতো ? মনে হয় আসবে না, কারন -
১। গত মার্চে জার্মানীর এই দলকে ১-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। গোল করেন হিগুয়েন।
২। ২০০২ সালে বাছাইপর্বে খারাপ অব্স্থা থেকে উঠে এসে শিরোপা জিতে নেয় ব্রাজিল, তখন লাতিন আমেরিকার শীর্ষ বাছাই ছিল আর্জেন্টিনা।
এবার দলের নাম পাল্টে গেছে। শীর্ষে ছিল ব্রাজিল আর শেষ মুহুর্তে বিশ্বকাপের টিকিট পায় আর্জেন্টিনা।
৩। এবার ফরোয়ার্ড বেশ শক্তিশালী। মেসি, তেভেজ, হিগুয়েন,আগুয়েরো যে কোন সময় গোল করতে সক্ষম।
৪। জার্মান দলটা তরুন, রেফারির করুনা না পেলে ইংল্যান্ডকে এতো গোল দিতে পারত না। ইংল্যান্ড টিমটা এবার বেশ উইক ছিল, ঘানা বা সার্বিয়াকে এত গোল দিতে পারেনি ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায়। মানে ওরাও ভূল করে।
আর ভয়ের কারন ডিফেন্স।
ডোবালে এই ডিফেন্সই আর্জেন্টিনাকে ডোবাবে।
তবুও আশায় বুক বাঁধি। ভালো কিছু দেখব বলে। ব্রাজিল- আর্জেন্টিনার ফাইনাল দেখব বলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।