মেহেরপুর, ২৬জুন (আরটিএনএন ডটনেট)-- প্রেমের কারণে প্রাণ দিতে হলো ১০ম শ্রেণীর ছাত্র পিন্টুকে। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার হুদুপাড়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম ছেলে সে।
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার তারানগর গ্রামের মেয়ে রেশমার বাবা রাজ্জাক ও ফুফা হায়াত মিলে পিন্টুকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে পাট ক্ষেতের মধ্যে ঘাড় মটকে এবং পেট ও বুকে লাথির পর লাথি মেরে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে যায়। পরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার রাতে সে মারা যায়।
জানা গেছে, পিন্টু ও রেশমা একই সঙ্গে প্রাইভেট পড়তো মুজিবনগর উপজেলার নাটুদা হাইস্কুলের এক শিক্ষকের কাছে।
সেখান থেকে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মেয়ের বাবা আমিরুল ইসলাম তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারে না। কোনো প্রকার বাধা-নিষেধ তাদের মাঝে ফাটল ধরাতে না পারায় মেয়ের বাবা পিন্টুকে শায়েস্তা করার পথ খুঁজতে থাকে। গত শুক্রবার বিকালে প্রাইভেট পড়তে আসার পথে পিন্টুকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায় রেশমার বাবা আমিরুল ও ফুফা হায়াত আলী।
তারানগর গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাঠের একটি পাট ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে পিন্টুর ঘাড় মটকে দেয় এবং পেট ও বুকে লাথির পর লাথি মেরে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে যায়।
পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে সে মারা যায়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ব্যাপারে মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।