কদুর তেল, নিদ্রাকুসুম তেল, লক্ষী বিলাস তেল এক সময় বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় ছিল। গরমের দেশ বাংলাদেশে মানুষের মাথাও সম্ভবত অতি অল্পতেই গরম হয়ে যায়। তাই ঐসব মাথা ঠান্ডার তেল ঘরে ঘরে পাওয়া যেত, জানি না এখন কি অবস্হা। তবে আজ স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর সভা সমাবেশ নিষিদ্ধের কথা শুনে আবার ওটার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। বোধকরি ওনাদের হ্যান্ড ব্যাগে কয়েক বোতল জরুরী মজুত থাকা দরকার।
১৯৭৫ সালে তৎকালীন সরকার মাত্র চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকি সংবাদপত্রগুলো বন্ধ করে দেয়। একটি নুতন দল গঠন করে বাকি সব দল বন্ধ ঘোষনা করেন। সভা সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরবর্তিতে আওয়ামী লীগের পুনর্জনমের পর এ বিষয়গুলোর কৈফিয়ত দিতে দিতে জান বের হয়ে গিয়েছে। তিন চতুর্থাংশ আসনে জয়লাভ করেও আজ আবার আওয়ামী লীগকে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে হচ্ছে।
বিরোধী মতের সংবাদপত্র, টিভি, সোসাল মিডিয়ার কণ্ঠ চেপে ধরতে হচ্ছ। পুলিশ, র্যাব, বিডিআর দিয়ে সমাবেশ ছত্রভংগ করতে হচ্ছে। কারন কিন্তু মূলত একটাই। যেন তেন প্রকারে আবার ক্ষমতায় আসা। ত্বত্তাবধায়ক সরকার না দেয়া।
গত বিএনপি তথা চারদলীয় সরকার যে কারনে ঠিক যে ভুলগুলো করেছিল, সে একই ভূলগুলো মহাজোট তথা আওয়ামী লীগ সরকার করছে, আরো দ্বিগুন গতিতে। জাতিতো দিচ্ছেই, কে জানে এর মাশুল তাদেরকে ভবিষ্যতে আবার কতদিন দিতে হবে! কারন একসময় আওয়ামী লীগই বলেছিল, 'আমার ভোট আমি দিব যাকে খুশী তাকে দিব' নিশ্চয়তা কোন দলীয় সরকার দিতে পারে না। তাহলে সে কথাটা এখন অন্যরা বললে ভুল কোথায়, মানতে বাধা কোথায়? একটা ভুলকে ঢাকতে আরো একটা ভুল করতে হচ্ছে। না কি করানো হচ্ছে? পর্দার আড়াল থেকে কেউ কি জেনে শুনে দায়িত্বশীল পদে অবস্হানকারী কাউকে দিয়ে 'সাবোটাজ' করাচ্ছন? হু নোজ! লেটস সি, টাইম উইল সে ওয়ান ডে! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।