স্বভাবতই আমি চেষ্টা করবো আমার ব্লগের আকার কিছুটা ছোট করতে। যেহেতু আমার কাছে মনে হয় টপিক্স গুলো বোরিং তাই বড় ব্লগ অনেকে রই এড়িয়ে যাবার প্রবণতা আছে। তাছাড়া আজকাল ব্লগে বসারও সময় খুব কম, পড়াশোনার ফাকেই লিখতে হয়। গত পর্বে আমি স্কাল এন্ড বোনস সোসাইটি সম্পর্কে ধারনা দিয়ে ছিলাম আজকে আরও একটু বলবো। বলবো কিভাবে তারা ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনায় (পৃথিবীর মানুষের জন্য খারাপ) অবদান রেখে চলেছে।
আজকে আমি আলোচনা করব আফিম যুদ্ধ নিয়ে।
আফিম যুদ্ধঃ
আফিম যুদ্ধ নিইয়ে ধারণা দেই প্রথমে। অংক্ষেপেই বলি। আফিম যুদ্ধ হয়েছিলো যুক্তরাজ্যের এবং চীনের কিং রাজবংশের সাথে। যুদ্ধটা প্রথমে আফিম নিয়ে হয় নি।
হয়েছিলো ব্যাবসা বানীজ্যের আধিপত্য নিয়ে। চীনের ক্যাংটন প্রদেশ যেটা বর্তমানে গুয়াংজু নামে পরিচিত। কিং ডিনেস্টি এর সময় এই প্রদেশ ব্যবিসা বানিজ্যের ক্ষেতেরে ছিলো উন্নত। ব্যাবসায় চীনাদের আধিপত্য ছিলো উল্লখেযগ্য। আর ব্রিটিশরা তখন সবেমাত্র বিভিন্ন দ্বীপ বা দেশ আবিষ্কার করে যাচ্ছে আর কুঠি স্থাপন করে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
তো এরা চীনের নাম শুনে সেখানেও আস্তানা গড়ার চিন্তা করতের লাগলো। চীনারাও তাদের অভিসন্ধি টের পেয়ে তাদেরকে গুয়াংজু প্রদেশ থেকে দূরের বাজার গুলোতে পণ্য বেচা কেনা করার অনুমতি দিলো।
ব্রিটিশরা চেয়েছিলো তারা গুয়াংজু প্রদেশের ভেতরে ঢুকে ব্যাবসা বানিজ্য করবে। কিন্তু অনুমতি মিলল না কিং রাজার। অনুমতি ত মিললো না বরং ব্যাবসা বা পন্য কেণাবেচার জন্য তাদের মধ্যসত্বভোগীদের আশ্রয় নিতে হলো।
এটা একরকম চীনা রাজার জোর করার কারনেই করতে হলো। ফলে গুয়াংজু প্রদেশ থেকে মিডল্ম্যানরেয়া আগে পন্য নিয়ে নিকটবর্তী স্থানে (যেখানে ব্রিটিশরা ঘাটি গারে) সেখানে আসরো সেখান থেকে নিয়ে যেত ব্রিটিশ ,রাশিয়ান বা ডাচ ব্যাবসায়ীরা। যে দ্বীপ টায় ব্রিটিশদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিলো তার নাম ছিলো শামিন আইল্যান্ড, সেই সাথে হং কং এর কিছু অংশেও তারা ঢুকতে পারতো। আজকে যে চা আমরা পান করি তা শিখিইয়েছিল প্রথমে চায়নিজরা। তো ব্রিটিশরা তখন সবেমাত্র চা খাওয়া শিখেছে।
চা ব্রিটেনে খুব জনপ্রিয়। কিন্তু সে চা কিনতে ব্রিটিশদের গুনতে হতো চড়া মূল্য। তখন অবশ্য কারেন্সী ছিল না কোন। বিনিময় প্রথা চালু ছিলো। সে চা কিনতে হত সিলভারের বদলে।
হ্যা, সিলভারের চাহিদা ছিলো তখন চীনে। চীনারা যে কোন কিছুর বিনিময়ে সিলভার চাইতো। তো ব্রিটেনের আরেক সমস্যা হচ্ছে সে সিলভার আনতে হতো মেক্সিকো থেকে। মেক্সিকো তে চাহিদা ছিল স্বর্ণের। তো কি আর করার, স্বর্ণের বিনিময়ে সিলভার এনে সে সিলভার এর বিনিময়ে আনতে হতো চা।
কর বড় লোকসান গুণতে হতো চিন্তা করেন। তবুও ব্রিটিশরা চাইছিলো এতোকিছুর বিনিময়ে তাদেরকে গুয়াংজুতে প্রবেশ করে ব্যাবসা করার অনুমতি দেয়া হোক। চায়নারা বাজার হারাবার ভয়ে তা মানতে নারাজ ছিল। এতো কাহিনী করে চা কিনে আনাটা ক্ষতিই হয়ে যাচ্ছিলো ব্রিটিশদের অর্থনীতিতে। এমন সময় একটা ব্যাপার ঘটলো।
ভারতের এবং মালোয়া রাজ্যের কিছু এলাকায় আফিম উৎপাদন শুরু হলো। চীনারা আফিমের ঔষধি গুণের কথা জানতো। সে কারণে আফিমের বিনিময়ে তারা চা দেয়া শুরু করলো। সিলভার পাওয়া বন্ধ হয়ে গেলো চীনের তারা তখন আফিমের দিকে ঝুকে পড়লো। কিং রাজাও তেমনে একটা আপত্তি জামালো না কারণ এই আফিম পোরক্ষ ভাবে চীনা মালামালের উপর ট্যাক্স হিসেবে কাজ করতে লাগলো।
এদিকে তুলা উৎপাদনে তখন একচ্ছত্র আধিপত্য ভারতের। তাদের তুলার কল্যানে কাপড় এর প্রতিষ্টান গুলো গড়ে উঠতে থাকে সেখানে । এদিক দিয়ে আফিম দখল করতে থাকে চায়না বাজার। আর লোকসান পুশিয়ে নিতে থাকে ভারতে আফিম চাষ করে। আর ভারতে তুলা শিল্প বাচাতে তুলা আমদানী হতে থাকে মিশর থেকে।
আফিমের কল্যানে ডাবল এক্সপোর্ট হতে থাকে চা এর! অর্থাৎ ১ কেজী আফিমের বদলে মিলতো ২ কেজী চা। এটার চিন্তার ভাজ ফেলে কিং রাজার কপালে। ভারতের তুলার
মনোপলি বিজনেসও বন্ধ হয়ে, চা শিল্পেরও অবস্থা খারাপ তখন। কিং রাজা গুয়াংজু প্রদেশে ভাইসরয় নিযুক্ত করলেন এবং আফিম ব্যাবসা পুরোপুরি বন্ধ না করলেও নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করলেন। লাভ হলোনা।
কারণ আফিমের নেশার গুণ আর প্রসাধনের ব্যাবহারটা ভালোই জানতেন ভাইসরয় সাহেব। ঘুষের কল্যানে তিনি ধনী হচ্ছেন। খারাপ কি! হোক না আফিম বেচা কেনা। এদিকে আফিমের ঘ্রানে পাগল হয়ে এক ব্যাগ কেনো পুরো এক জাহাজ চা দিতে প্রস্তুত চীনের অনেক ব্যাবসায়ীরা। রাজার মাথায় হাত।
তিনি তখন আফিম পুরোপুরি বেচাকেনা নিষিদ্ধ করে দিলেন। আফিম নিয়ে ধরা পড়লে মৃত্যুদন্ডের আইন চালু করে দিলেন। ঘটলো বিপত্তি। আফিম বেচার সময় ধরা পড়লো এক ব্রিটিশ ব্যাবসায়ী। মৃত্যুদন্ড হলো।
ব্যাস! আর কে পায়! এটাই তো চাচ্ছিলো তারা। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো। কিং ডিনেস্টী হেরে গেলো। গুয়াংজু বাজারের দখল নিয়ে নিলো ব্রিটিশ রা। আমি এখানে অনেক ব্যাপার বাদ দিয়ে গেছি।
কারণ আমার মূল আলোচনা এটা না। তারা চুক্তি তৈরী করলো। ন্যানকিং চুক্তি। এই চুক্তি অনুসারে অনেকদিন চললেও চীনারা লাভের আশায় পরে আবার চুক্তি ভংগ করলে ২য় আফিম যুদ্ধ সংগঠিত হয়। সেটাতেও তারা হারে।
আর ব্রিটিশরা জয় করে নেয় হংকং। উপনিবেশ শাসন শুরু হয় সেখানে। উল্লেখ্য ১ম আফিম যুদ্ধ হয় ১৮৩৯-১৮৪১ সাল, ২য় আফিম যুদ্ধ হয় ১৮৫০ সালে। এ যুদ্ধে সামুরাই বাহিনী বীর বিক্রমে যুদ্ধ করলেও হেরে গিয়ে লজ্জার পরাজয় বহন করে, ধ্বংস হয়ে যায় কিং ডিনেস্টি। এ যুদ্ধের উপকারীতা হচ্ছেঃ চীনের বাজার ব্যাবস্থাটা ছড়িয়ে যায় পুরো চীনে।
কিন্তু চীনাদের একচ্ছত্র আধিপত্যটা হারিয়ে যায়।
এবার আসি, আসল কথায়। চীনাদের উপরেই কেন তাদের এতো লোভ। আর হ্যা এখানে তো স্কাল এন্ড বোনস এর কন ইনভলভমেন্ট এর কথাও আসছে না। তাহলে আপনার ধৈর্য্যের সময় শেষ করেই বলছি।
১৮০০ সালে যুদ্ধের পর যে জাহাজটা বানিজ্যের জন্য সবচেয়ে আগে নোংগর করে তার নাম ছিলো ইয়াংকী ক্লিপার, ফ্রম কানেকটিকাট এন্দ মেসাচুসেটস।
হ্যা এই সেই কানকটিকাট যেকাহ্নে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। আর সে জাহাজের মালিক ছিল রাসেল এন্ড কোম্পানী। হ্যা সেই মিস্টার হান্টিংতন রাসেল, যিনি স্কাল এন্ড বোনস এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে সব কাজ করল ব্রিটিশরা আর ফল ভোগ করছে আমেরিকার বণিকেরা।
লাভটা কি হল ব্রিটেনের তাহলে?! এবার তাহলে বিস্তারিত বলি। চিনাদের দরকার ছিল সিলভারের যেতা আমী ঊপোড়ে আলচোণা করেছি। গোল্ড কয়েনের বিনিময়ে সে সিলভার আনতে হত মেক্সিকো থেকে। আর এই গোল্ড কয়েন এর বেশীরভাগই আসতো এই বোনস এন্ড স্কালসের ফান্ড থেকে। আশা করি এবার সব পানির মতো ক্লেয়ার আপনার সামনে।
আমেরিকা এই আফিম যুদ্ধের সময় চুপ ছিলো এ কারনে এ তারা জানে, ব্রিটিশদের করা এই চুক্তিতে তাদের লাভ সুনিশ্চিত। কারন ব্রিটেনের যুদ্ধের বেশীরভাগ খরচাই বহন করতো আমেরিকা। লাভ টা তাই এরা আগে খেতো। আফিম যুদ্ধের সময় ইউ এস এর সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে ফ্রান্স আর ব্রিটেনকে চিয়ার আপ করাই ছিলো মুখ্য কাজ। এর বেশি তাদের আর কোন কাজ ছিলোনা।
আর রাসেল এন্ড কোম্পানী ছিলো একমাত্র ট্রেডিং কোম্পানী যারা প্রথমে ক্যান্টন বাজারে প্রবেশের সুযোগ পায় এবং সবচেয়ে আগে মুনাফা উঠিয়ে বাজার ছেড়ে চলে যায়। এই আফিম যুদ্ধের পেছনে একটা জাতিগোষ্ঠীর ব্যাক্তিগত লালসাই কাজ করেছে যার ফলে মাদক চালান বা মাদক ব্যাবসা করাতে ব্যাবসায়ীরা বাধ্য হয়েছিলেন। সে সময় আমেরিকার সীল মাছ প্রজনন কেন্দ্র বন্ধের পথে যেটা থেকে তারা প্রধান আয় পেতো। শীল মাছের চাহিদা ছিলো আমেরিকার পার্শ্ববর্তী দেশ গুলোয়। কিন্তু সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে আমেরিকানরা চাচ্ছিলো ব্রিটিশদের মাধ্যমে তারা চায়নাকে কিছু হলেও দিক।
কিছু একটা দিয়ে হলেও চায়নাদের সাথে ব্যাবসায়ীক সম্পর্ক স্তাহপন করুক। সে সময় যদি চায়নারা আফিম না নিতো তাহলে হয়ত বা এত কিছু হতো না বা এভাবে লাভবান হতোনা তথাকথিত জাতিগোষ্ঠী। কথায় আছে fortune fevers the brave। ঠিক তাই হয়েছে এক্ষেত্রে। ।
১৮৪৩ সালে রাসেল এন্ড কোম্পানী এর জাহাজটাই প্রথম জাহাজ যারা সাঙ্ঘাই এর বৃহত্তম বাজারে নিজেদের প্রবেশ করাতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ভিয়েতনাম যুদ্ধেরত আগে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল নিয়ন্ত্রন হতো ফ্রেঞ্চ ইন্টলিজেন্স এবং স্থানীয় কোরসিয়ান মবস্টার (ভিয়েতনামের স্থানীয় চোরাচালানকারী গ্রুপ) দ্বারা। পরে ফ্রান্স দেউলিয়া হয়ে গেলে সেটা পরে পরিচালিত হত ইউ এস ইন্টেলিজেন্স এবং সিসিলিয়ান মবস্টারদের দ্বারা। বিখ্যাত লেখক আলফ্রেড ম্যাকয়ের বই
the politics of heroin in south east asia ,হেনরিক কুগারের গ্রেট হিরোইন ক্যুপ এবং স্যাম এন্ড চাক গিয়ান্সার ডাবল ক্রস বইয়ে এই বিষয়টা ভালভাবে হাইলাইট হয়।
ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ, প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের কেবিনেট লেভেল ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ন্যাশনাল ন্যারকোটিক্স ইন্টারডিকশন সিস্টেমের পরিচালক থাকাকালীন সবচেয়ে বেশী গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলে ইনভলভ হয় আমেরিকা।
এবং সে সময় এই মাদক নিয়ে সঙ্গঠিত হওয়া যুদ্ধেও তাদের অবদান উল্লেখযোগ্য।
ফ্রান্সীস মুলার জুনিয়র ড্রাগ ইনফরস্মেন্ট এজেন্সীর পরিচালক থাকাকালীন আমেরিকার ড্রাগ বাচানো এ যুদ্ধে অংশগ্রহন করার জন্যে বুশকে দায়ী করেন এবং এটাকে সফলতা না বলে একটা ধাপ্পাবাজী ব্যাবসা বলে আখ্যায়িত করা হয়। পরবর্তীতে ফ্রান্সিসকে এ পদ থেকে অপসারন করা হয়। আফটার অল, সেক্রেট সোসাইটি এর বিরুদ্ধ এমন কথা বলাটাও যে পাপ!!
সেই সাথে ফ্রান্সিসের স্ট্যাটমেন্টও গায়েব করে দেয়া হয় আর্কাইভস থেকে। এরা পারে বটে!
সিবি এস নিউজের তিন সাংবাদিক একবার এ গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলে আমেরিকার ইনভলভমেন্ট
নিয়ে একটা ডকুমেন্ট তৈরী করেছিলেন।
যদিও সেটা তার অন এয়ার করেননি কিন্তু তবুও চাকরী খোয়াতে হয় তাদের। তাদের নাম মনিকা জেসন, স্টিভেনিসন। মনিকা তার বই কিস দ্যা বয় গুড বাই এ লিখেছিলেন কিভাবে এম আই সিক্স, পি ও ডব্লিঊ সহ অন্যান্য দেশের সরকারী সংস্থাগুলো ড্রাগ ট্রাফিকিইং কিংবা গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল এ আফিম ব্যাবসার সাথে জড়িত। সেই সাথে অবৈধ অস্ত্র ব্যাবসায়ের কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। যেগুলোর সাথেও জরিত যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টালিজেন্স দল।
আমেরিকায় পাইকারী কোকেইন প্রবেশ এবং তার জন্য নিকারাগুয়ার
কন্ট্রা বিদ্রোহী অথবা ইরানের বিদ্রোহীদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখতেন মিস্টার বুশ।
এটা হত হোয়াইট হাউজে তার রুম থেকেই। অনেকেই সন্দেহ করে থাকে, বে অব পিগস (কিউবা),মেক্সিকান অয়েল রিগ এবং জাপটা উপকূল দিয়ে আফিম চালান করা হতো আমেরিকায়। তেল উত্তোলনের কাজ চলতো উপরে, নীচে দিয়ে চলতো আফিম ব্যাবসা। এই সব আফিম আর কোকেইন শিপমেন্ট করার জন্য ক্যারিয়ার
ম্যাটেরিয়ালস লাগে যেগুলো আফিমকে নষ্ট হতে দেয়না।
সেই ক্যামিক্যাল গুলো তৈরী হয় ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ইন্ডিয়ানাপলিস এলাকার একটা কারখানাতে যেগুলো তত্বাবধায়ন হয় কোয়েল ফ্যামিলির দ্বারা। কোয়েইল ফ্যামিলিও একটা সেক্রেট সোসাইটি। আমি পরে পর্যায়ক্রমে এটা নিয়েও আলোচনা করবো। শুধু এতোটুকুই জেনে রাখেন, সেই কোম্পানীর নাম ছিলো এল্ম লিলি এবং তারা ছিলো এই ক্যামিকেলের সবচেয়ে বড় স্টেক হোল্ডার আর বুশ ছিলেন সেই বোর্ডের চেয়ারম্যান। এই এল লিলি ই সেই কোম্পানী যারা সি আই এ এর জন্য এল এস ডি সাপ্লাই করতো।
এল এস ডী একটা ক্যামিক্যাল যেটা দিয়ে হিউম্যান বিহ্যাভিয়ার কন্ট্রোল করা যায় বা বোঝা যায়। এবং যা প্রয়োগে মানুষ হ্যালুসিনেশন এক্সপেরিয়েন্স করে। নানারকম কান্ড করে বসে। এটা নিয়ে আমি আরোও বিস্তারিত আলোচনা করবো প্রেসিডেন্ট কেনেডি হত্যা পর্বে। এই ক্যামিক্যাল সাপ্লাই করে এই এল লিলি কোম্পানী, যেটার প্রধান এবং একমাত্র ক্রেতা আমেরিকান ইন্টালিজেন্স এজেন্সী সি আই এ।
এটা দিয়েই সাধারণত মাইন্ড কন্ট্রোল করা হয়। এ প্রজেক্টের নাম প্রজেক্ট এম কে আলট্রা
আফিমের বিষয়টা ঘটা করে মিডীয়াতে আসে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বুশ এটাকে সি আই এ এর কভার আপ অপারেশন বা অপরাধী ধরার জন্য চালানো অপারেশন বলে আখ্যা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অভার আপ অপারেশন সম্পর্কে আপনারা জানেন, হ্যা বাংলাদেশী ছাত্র নাফিসের সাথে এফ বি আই যেটা করেছিলো, সেটাই কভার আপ অপারেশন। অর্থাৎ সি আই এ এর ইন্টালিজেন্স টীমের সদস্যরা ইরানের মাদক চোরাকারবারীদের সাথে থেকে তাদের ধরার চেষ্টা করবে।
সত্যিকারে তাই হলেই ভালো হতো কিন্তু তারা একসাথে মিলেই আফিম ব্যাবসা, বা মাদক ব্যাবসা করছে। মিডিয়াতে আসলেই তা হয়ে য্য কভার আপ অপারেশন। হ্যা প্রক্ক্রিত অপরাধী ধরা পড়ে ঠিকই, তখনই সে অপরাধী হয় যখন আমেরিকার সাথে ডীল অমান্য করে। (চলবে)
আগামী পর্বঃ কেনেডি হত্যা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।