আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টিকারী! বলল, তারা তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। বললেন, আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না! ১.প্রথমেই চোখ বন্ধ করুন। লম্বা করে শ্বাস নিয়ে দেখুন, আপনি একটা বাগান সাজিয়েছেন। হয়ত বিশ বছর ধরে, হয়ত পঁচিশ, এমনকি ত্রিশ। বাগানের কোথায় আপেল গাছ থাকবে, কোথায় যব গাছ, কোন্ কোণায় সাপের গর্ত আছে সবই আপনি জানেন।
প্রতিটার কাটছাঁট আপনার নিজস্ব। বাগানটা বড় যত্নে সাজিয়েছেন- আসলে তা সাজানো থাক বা না থাক। এরপর, আপনার সেই গার্ডেন অভ এডেন বা মরুদ্যানে উদিত হলেন একজন। তাঁকে নিয়ে এসেছেন খাতির করেই, অথচ তিনি বলছেন, আপেল গাছটার ডালগুলো ছাঁটা দরকার, বা যবের ফলন বেশি বেশি হচ্ছে... সাপের গর্তটা বুজে দেয়া দরকার, সেখানে সার্পেন্ট আছে, এধারা সার্পেন্টাইন আসার সুযোগ বাগানে রাখা যায় না, আর চারদিকে এত ময়লা কেন... ওই বালির ঢিবিটা আবার কেমনধারা ছিরিছাঁদ...
২. এই পরিবর্তনে যদি আপনি খুশি থাকেন, তাহলে কন্টিনিউ করেন। কল্পচোখে দেখুন, আপনার সাধের আপেল গাছের ডালপালা ছাঁটছেন, মই দিচ্ছেন পাকা যবে, কষ্ট হচ্ছে না...
৩. যদি কষ্ট হয়, বিশ বা ত্রিশ বছরের নিজের মত সাজানো একমাত্র সম্পদটাকে, বাগানটাকে তার ইচ্ছায় পরিবর্তিত করতে, তাহলে চোখ খুলুন, চোখেমুখে পানি দিয়ে এসে আবার বসুন।
আবার চোখ বন্ধ করে এক থেকে রিপিট করুন।
৪. ধরে নিই, তাও আপনি আপনার একান্ত নিজস্ব গার্ডেন অভ এডেনে কোন স্থায়ী অতিথি আনতে রাজি আছেন। শুধু রাজি না, ডেসপারেটলি রাজি। এবার পরের ধাপ।
৫. প্রথমেই, আপনার বয়সটা কতো? যদি ২০-২৫ হয়, তাহলে জেনে রাখুন, জনাব, মানুষ হল হরমোনতাড়িত।
মানুষের ভাবনা হরমোনতাড়িত, তার মস্তিষ্ক হরমোনতাড়িত, আর শরীরতো গঠনই হয় হরমোনের উপর ভিত্তি করে। তাই এখন এমন একটা সত্যকে আপনার আপটেক করতে হবে, যা কষ্টকর হলেও বাস্তবতা। শিশু মনে করে, সে যে কখনো অ্যাফেয়ার বা বিয়ে করতে চায় না, এটা তার ক্ষেত্রে ইউনিক। সারা দুনিয়ার মানুষ বিয়ে করে... ওয়াক থুহ্:...
কিন্তু বিষয়টা তার ক্ষেত্রে ইউনিক নয়। সে যে এই ভাবনা ভাবছে, এটা তার হরমোনতাড়ন।
পনের বছরের কিশোর ভাবে, সামবডি টু লাভ। জয় করতেই হবে, আর সেটা অ্যাভারেস্ট নয়, একজন কিশোরীকে। ভয়ানক এগিয়ে যাওয়া, ফ্যান্টাসি। তাড়ন। বিশ থেকে পঁচিশ বছরের তরুণের ভিতরে যে রিস্ক নেবার সবচে বড় প্রবণতাটা আসে, তাও কিন্তু সেই হরমোনতাড়ন থেকেই।
টেস্টাস্টেরনের কথাই ধরি না কেন? টেস্টাস্টেরন প্রথমে শুধু শারীরিক পরিশ্রম এবং হাড়-উচ্চতা গঠনে অবদান রাখে, রাফলি বারো বছর পর্যন্ত। প্রচুর অ্যানার্জি। এই হরমোনিক অ্যানার্জি পোড়ানোর জন্যই শিশু লাফায় ঝাঁপায়। বারো থেকে পনের বছর পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু তন্ত্র গঠন। তখন সুনির্দিষ্ট রাডিক্যাল চেইঞ্জ আসে মানসিকতায়।
আসলে মানসিকতার এই চেইঞ্জগুলো এই কিশোর আনছে না। আনছে তার শরীর। আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে, মোটাতাগে টেস্টাস্টেরন।
আবার পনের থেকে বিশের মধ্যে সেটা আরো একটু পরিবর্তিত হয়। মূল গতিটা উচ্চতার দিকে যায়।
একইভাবে বিশ থেকে পঁচিশেও টেস্টার বাড়তি আর্জ থাকে। এই বাড়তি সার্জটা কিন্তু শুধু এই বয়সের জন্যই প্রযোজ্য। শিশুকাল থেকে আপটু পঁচিশ। শেষের পাঁচটা বছর এই টেস্টা কাজে লাগে শরীরের চওড়া হওয়ার বিষয় গঠনের জন্য, হাড় মোটা হওয়া, পেশী গঠন।
কিন্তু টেস্টার অন্য যে কাজগুলো, সাহস দেয়া, শারীরিক শক্তি দেয়া, এক্সটেন্ডেড পরিশ্রমের সামর্থ্য, জেদ তৈরি করা এবং অবশ্যই, রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেমে অবদান- এগুলো কিন্তু রয়েই যাচ্ছে সব কালে।
পঁচিশের পর, একজন মানুষকে মানুষ হিসাবে দৈহিকভাবে গঠিত হবার সব প্রয়োজন পূর্ণ হয় টেস্টার। এজন্য টেস্টাস্টেরন নেমে আসে স্বাভাবিক মানবিক মাত্রায়। তাই, পঁচিশ বছর বয়সের পরই পুরুষ তার নিজের মত করে ভাবতে পারে, হিসাব করতে পারে, ছক কষতে পারে, সাজাতে পারে নিজেকে সেভাবে- যাকে বলা হয়, পরিণত। এই পরিণত ভাবনায় স্বাভাবিক মাত্রার টেস্টাস্টেরনের যেমন অবদান আছে, তেমনি আছে তুলনামূলক স্থিরতা। একটা ব্যালান্স।
৬. অনেক বেশি বিরক্তিকর কথা হয়ে গেছে। উহু, এইসব কথা দিয়ে আপনাকে আটকানো যাবে না। বিয়েটা আপনি করছেনই? তথাস্তু! শুধু যে আপনি সেটা চান তাই না, সৃষ্টিপ্রকৃতিও সেটা চায়। স্রষ্টাও তাই চান। এজন্যেই আমাদেরকে এভাবে তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেছেন,
নিশ্চই মানুষকে মানানসই গড়নে তৈরি করা হয়েছে।
অন্যত্র তিনি বলেছেন,
নিশ্চই মানুষকে নাজুক/ভঙ্গুর গড়নে তৈরি করা হয়েছে।
আর আসলে আমরা যে মনে করছি, আমরা চাই, তা যে নয়, বরং তিনি চান, তার প্রমাণ আমরা পাই, যুগল গঠনে আমাদের অপ্রতিরোধ্য এগিয়ে যাওয়াতে। এই যুগল গঠন এবং জেনেটিক ম্যাটেরিয়ালের ক্রসিঙের মধ্য দিয়ে মানবজাতির এগিয়ে যাওয়া হল মহান রাব্বুল আলামীনের একটা ইউনিফাইড গ্র্যান্ড প্ল্যান। এই গ্র্যান্ড প্ল্যানকে আমরা বলতে পারি মাওলানা রুমী আলাইহির রাহমার সুরে,
প্রভূ নিজেই নিজের সাথে প্রেমলীলায় মত্ত, নারী-পুরুষ তো বাহানামাত্র।
না, এই কথার মধ্যে কোন অশ্লীলতা নেই। নারী-পুরুষ এবং তাদের যুগলবন্দী হল প্রভুর সেই খেলার অংশ, যে খেলার মাধ্যমে প্রকৃতি টিকে থাকবে, এই প্ল্যানিং এবং এগিয়ে যাওয়াই হল প্রভুর নিজের সাথে নিজের খেলা- এতে জৈবিকতা প্রভুতে নেই, জৈবিকতা জীবে।
মোদ্দা কথা, করতেই যখন চাচ্ছি আমরা, সেটাকে গ্লোরিফাই করে নিই, বিয়ে হল একটা মহান বিষয়। স্রষ্টা-প্রকৃতি এবং মানবের এক আনব্রেকেবল চেইনের অংশ।
৭. মেনে নিন, বিয়ের পরদিন থেকে আপনার আলাদা কোন জীবন থাকবে না।
মেনে নিন, কল্যাণ। মেনে না নিন, অশান্তি। অশান্তি থাকবে, কিন্তু আলাদা জীবন? ওটা থাকবে না। বিয়ের পরদিন থেকেই আপনার অ্যাকাউন্ট হবে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট। কোন সিঙ্গেল সাইন ওতে আর চলবে না।
৮. বিড়াল মারার ব্যাপারে সাবধান। বিড়াল মারা, মানে হল, নিজ কর্তৃত্ব স্থাপন করা। বিয়ের রাতেই সিস্টেমেটিক ধমক ধামক দিয়ে নিজের বশে নিয়ে আসা সঙ্গিনীকে। এটা ওল্ড স্কুল। প্রকৃত মানবিকতা হল, প্রকৃত সুখ হল, আমাকে পুরুষ হিসাবে কিছু দায় দেয়া হয়, তোমাকে নারী হিসাবে, কিন্তু আমরা একটা যৌথ জীবন শুরু করছি, এখানে কোন প্রভুত্ব নেই- কোন আদেশ-নিষেধ নেই।
৯. বিকে যাবেন না। একটা কথা সব সময় মজা করে বলি, সবাইকেই, বাস্তব জীবনে। সেটা হল, বিয়ে একটা বন্ধন, ঠিক? যদি বন্ধন হয়, তাহলে সেখানে ইন বিটুইন একটা দড়ি আছে, তাও ঠিক? এখন, ইউ টু চুজ, কার হাতে থাকবে আর কার গলায় থাকবে।
কথাটা আমি মূলত নারী সম্প্রদায়কে বলি। কারণ, তারা গলায় পরিয়ে দিয়ে নিজের অংশটা হাতে রাখতে দক্ষ (মজা করছি, আমি শোভিনিস্ট নই।
)। আসল সত্য হল, খেয়াল রাখুন, দড়ি যেহেতু একটা আছে, সেটার দুই প্রান্ত যেহেতু দুজনের কাছে, কারো গলায়ই যেন না পড়ে, দুজনেরই যেন হাতে পড়ে।
১০. বিয়ে আপনি করেছেন, এখন আপনার কাউরে ইমপ্রেস করতে হবে না। সাবধান। ইমপ্রেশন ফেলতে চায় দুর্বলরা।
আর বিয়ে দুর্বলদের জন্য নয়। উত্তাল সাগরে নৌকা যে ভাসায়, জেনেশুনেই ভাসায়, যে, এক মুহূর্ত পর থেকে তাকে পরামর্শ দেয়ার জন্য কোন কাপিতান থাকবে না। নিজের বিয়ে বিষয়ে বাবা-মা-ভাই-বোন এবং বিশেষ করে বন্ধু সমাজকে ইমপ্রেস করতে যাবেন না। বিয়ে তারা করে নাই, আপনি করেছেন।
বিয়ের পরও আপনি কতটা আড্ডাবাজ, সেটা জোর করে প্রমাণ করার কিছু নেই।
জোর করে আড্ডায় যাবার কিছু নেই। আবার আড্ডা ত্যাগ করারও কিছু নেই। এই দুটাই হল কৃত্রিম ইমপ্রেশন। দুর্বল মানুষের লক্ষণ।
১১. হয়ত, বিয়ের আগের দিন পর্যন্ত আপনার নিজস্ব বলতে কিছু ছিল না।
বাগানটা হয়ত ছিল পাবলিক প্লেস। এখন আছে। বাংলা কথা হল, নিজের বিবাহিত জীবনের সমস্যা, জটিলতা, ফ্যান্টাসি, অমিল... এইসব ঘ্যানাপ্যাচাল আল্লার ওয়াস্তে কা-রো-ই সাথে করবেন না। খবরদার, নিজের মায়ের সাথেও না। একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই, একজন অতি বিখ্যাত লেখক ব্যক্তিগতভাবে আমার পরিচিত।
নাম বললেই চিনবেন। তাঁর সাংসারিক ঝামেলার কথা তুলেছেন, আড্ডাতে। সেখানে বিদেশ-ভ্রমা এক উস্তুম ফুস্তুম পুরুষ রুস্তুমও ছিলেন। তিনি কথা নাই বার্তা নাই বলে বসলেন, ডিভোর্স দিয়ে দেন!
মানে?
মানে আবার কী? মিলে না তো ডিভোর্স দিয়ে দেন! আফটার অল, আপনারা একটা কন্ট্রাক্ট করেছেন, কন্ট্রাক্টে ভাঙার কথাও আছে।
ওই উস্তুম রুস্তুম তিনটা ডিভোর্সের পর তখন ডেট করছিলেন।
বয়স পঁয়তাল্লিশ। তার জন্য ঠিক আছে, কিন্তু পরামর্শ যেহেতু নিতে গেছেন, নিশ্চই আপনি দুর্বলমনা- তার যে কোন কথা কিন্তু আপনার উপর প্রভাব ফেলবে। এবং তার কাছে যেটা সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট, আপনার কাছে সেটা কিন্তু আমরণ, এমনকি মরণের পরও বন্ধন। কারণ আপনার সন্তানকে আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না, আর তার মাকেও নয়।
১২. খিয়াল কৈরা।
বিয়ে মানে কিন্তু সুখ না। বিয়ে মানে হল, জীবনের একটা পর্যায়, ব্যস। সুখপাখি শ্বশুরবাড়ি থেকে আপনার বাড়িতে প্যাকেজ হয়ে আসেনি। সুখ প্যাকেট করে পাঠানো যায় না, সুখ সাইন করে আসে না।
আর যদি মনে করে থাকেন, আপনার আর আপনার উনি'র প্রতিটা পদক্ষেপ মিলবে, হিন্দি সিরিয়াল বা বাংলা সিনেমার মত- এই ভুল শুদ্ধ করতে নাকে পানি দিয়ে কুলি করে 'নাওয়াইতুয়ান গুসলা ওয়াউতুল জানাবা' পড়ে গোসল করে নিন।
কারণ, আপনি একটা ভয়ানক ভুল ধারণার বশবর্তী আছেন। এই ভুল ধারণা আপনার জীবনকে কেরোসিন ঢেলে অনন্ত অগ্নিতে নিক্ষেপ করবে।
জেনে রাখুন, দুইজন মানুষ কখনো এক খাপে খাপ বসতে পারে না। কখনো দুইজন মানুষের রুচিবোধ, ভাবধারা, শিক্ষা, সংস্কার, পারিবারিক আবহ এক হতে পারে না। এমনকি একশো বছর সংসার করার পরও না।
এই সত্য যে পর্যন্ত মেনে নিয়ে সুন্দরভাবে বাস করতে না পারবেন, স্যরি টু সে, দু:খ দরজায় দাঁড়ানো।
১৩. প্রেমিক আর হাসবেন্ডের পার্থক্য বুঝতে হবে। নারীর কাছে আদর্শ প্রেমিক হল চালচুলোহীন, দায়িত্ব ও কান্ডজ্ঞানহীন হিরো বিশেষ- যে পারতপক্ষে মেয়েটার দিকে তেমন ফিরেও তাকাবে না! অপরদিকে হাজবেন্ড মানে হলো, হিরো নয়, কাপিতান। তার চালচুলো একটু গোছানো থাকবে, রুচি পরিশীলিত থাকবে, বিশেষ করে কেয়ারলেস এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে তো চলবেই না।
১৪. অ্যাফেয়ারের সময় বলেন আর না বলেন, বিয়ের পর প্রতিদিন কিন্তু একবার আই লাভ ইউ মাস্ট!
১৫. চেষ্টা করেন, বিয়ের পর থেকেই বিশ্বাস-ভঙ্গ না করতে।
কারণ একবার বিশ্বাস ভঙ্গ হয়ে গেলে, জীবনে আর কোনদিন সে আপনাকে বিশ্বাস করবে না। সব সময় সন্দেহ, সব সময় নজরদারি, সব সময় ভাল কাজেও বাগড়া। জাহান্নাম স্বয়ং পায়ে হেঁটে আপনার বাসার সামনে হাজির। বাসা বদলাবেন? সমস্যা নাই, খুঁজে খুঁজে সেখানেই যাবে। তাই বরং বিয়ে করার আগেই চেষ্টা করুন, যেন সিগারেট নিয়ে, লুলামি নিয়ে বা মদগাঁজা খাওয়া নিয়ে কথা না বলতে পারে, আপনিও কথা ভঙ্গ করতে না পারেন- সেই ব্যবস্থা করতে।
১৬. সন্তান ছাড়া মানুষ কিন্তু মানুষ থাকে না! জানোয়ার হয়ে যায়। তাই সুইটেবল দেখে ২/৩ বছরের মধ্যে একটা সন্তান আসতে দিয়েই দেখুন, অবস্থা কী হয়! দয়াময় রাসূল দ. শুধুশুধু বলেননি, শিশু হলো দৃষ্টির প্রশান্তি।
আসলেই, জীবনকে অর্থবহ মনে হবে, সব হতাশা কেটে যাবে বাচ্চার একটা হাসি দেখলে।
আপনাকে মেনে নিতে হবে, সঙ্গীর জন্য আপনিই যথেষ্ট নন। মেয়েদের বিয়ের পর যে ট্রমা/স্ট্রেস/মেন্টাল ব্যালান্সে সমস্যা হয়, তার ৯০% কেটে যায় সন্তান নিলে।
আর সন্তান না নিলে সেগুলো আরো বাড়তে থাকে এবং স্থায়ী রূপ নেয়। তাই সভ্যতার কৃত্রিম বাণী, সন্তান মানেই বিপদ- এ থেকে দূরে থাকুন। একটা জন্মালে এমন মনে হবে, এক ডজন আসুক না, আর ভয় নাই।
বরং বারবার বলতে ইচ্ছা হবে, ইয়া বুশরা, হাযা গুলাম! (সুরা ইউসূফ)
মায়ামায়ী, এই হল তোমার সন্তান।
ধূরো, বোরিং লাগতাসে! আরো অনেক কিছু কওয়ার ছিল।
মন্তব্যে কমুনে ভাইরা। আর এই ঘ্যানা প্যাচাল পর্ব হবে না। এটাতেই বাকিটা খতম করার আশা রাখি। আর যদি ঝগড়া করার বা কোন বক্র-ভাবনা বা ছদ্ম-অর্থ ধরার ইন্টেনশন দেখা দেয়, নিজের পকেটে রেখে দিলে ভাল। কারণ... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।