আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসাধারণ সাধারণ মানুষের প্রচেষ্টা আর মুখে মুখে সরকারের সব সহযোগিতা??

লেখিতে এবং পড়িতে ভালবাসি। গত বুধবার সকাল ৯টার দিকে নয় তলা ভবন "রানা প্লাজা" ধসে পড়ার পর থেকে একের পর এক লাশের মিছিল। ম্বত্যুকূপে আটকা পড়া নিরীহ খেটে খাওয়া মানুষ গুলো যারা জীবিত অবস্থায় ম্বত্যুর সাথে বেঁচে থাকার লড়াই করে যাচ্ছেন, সেই সব ম্বত্য্যঞ্জয়ী মানুষ গুলোকে উদ্ধার করার জন্য দলমত নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ জীবন বাজি রেখে দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তখন আমাদের প্রাজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা কথার যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। তাদের ভারসাম্যহীন কথায় মানুষ যে হাসার সময়ও পাচ্ছে না, সেটাও ওনারা উপলব্দি করতে পারছেন না। কেউ কেউ টক শোতে অনেক অনেক বড় বড় কথা বলে কি করতে হব, কি করা উচিত এই সব নিয়ে কথার খৈ ফুটাচ্ছেন।

এই স্বাধীন বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের কান্ডজ্ঞানহীন কথা শোনে এবং দোষ চাপানোর নির্লজ্জ অভিলাষ দেখে আমাদে লজ্জা হয়। এই পর্যন্ত উদ্ধারকেত তিনশতাধিক ম্বত্যু মানুষের বিদেহী আত্বার শান্তি ও মার্জনা কামনা করে আল্লাহর দরবারে প্রার্থণা করছি- "হে আল্লাহ তুমি ম্বতদের বেহেসত দান করুন। " আমীন। যারা জীবিত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতে, মুমূর্ষ অবস্থায় ম্বত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, যারা হাত-পা বিসর্জন দিয়ে ব্যাথায় কাতরাচ্ছে, আল্লাহ তুমি তাদের সহায় হও, তাদের আশু আরোগ্য দান কর। তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারকে এই অপূরনীয় ক্ষতি এবং যন্ত্রণা সয্য করার শক্তই ঈমান দান কর।

আমীন। বুধবার সকাল থেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রদানের মাধ্যমে যারা সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এই উদ্ধার কাজে শরীক হবার সুযোগ করে দিয়েছেন তাদের প্রতি রইল সমগ্র দেশবাসির পক্ষ থেকে স্যালউট এবং অন্তরের গভীর থেকে ধন্যবাদ। সমবেদনা বা সমব্যাথিত হবার চেয়ে যে বিষয়টি জরুরী ছিলো সেই কাজটিই করেছে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির আশীর্বাদপুষ্ট যুব সমাজ। তারা সরকারের মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজেদের যার যা আছে এবং যতটুকু সমর্থ আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে এবং নিরলস ভাবে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমি সাভারে অবস্থিত এনাম মেডিকেল কলেজের সকলকে স্বশ্রদ্ধ সসালাম জানাই।

কতটা মানবতাবোধ এবং সেবার মন থাকলে বিশ্রামহীন ভাবে জনসেবা করা যায় তারা সেই দিকটির উজ্জল দ্বষ্টান্ত হয়ে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে। তারা পরবর্তী যে কোন দূর্ঘটায় (আল্লাহ না করুন আর) প্রেরণা হয়ে কাজ করবে নিশ্চিত। গত তিন ধরে ফেসবুকে যে সব স্ট্যাটাস বেশি লক্ষণীয় ছিল সেই গুলো হলো- ১। অক্সিজেন লাগবে জরুরী এগিয়ে আসুন ২। টর্চ লাগবে, ব্যাটারী দ্বারা চালিত টর্চ ৩।

মোম লাগবে ৪। এ্যাম্বুলেন্স লাগবে ৫। খাবার সরবরাহ করছে সাধারণ মানুষ ৬। পানি সরবরাহ করছে সাধারণ মানুষ ৭। রক্ত দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।

৮। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিত বা ম্বত মানুষ উদ্ধার করছে স্বেচ্চাসেবি সাধারণ জনগণ। এছাড়াও আমরা ফেবুকের কল্যানে, বাংলা ব্লগের মাধ্যমে জানতে পারছি কখন কোন জিনিসটা প্রয়োজন এবং মানুষ কিভাবে সেটা সংগ্রহ করতে পারবে। অসাধারণ সম্মিলিত প্রচেষ্টা। মানবতার ডাকে অক্বত্রিম একতাবদ্ধতা, নিঃস্বার্থতাতো একেই বলে, জনদরদী তো এসব সাধারণ মানুষেরা।

নির্বাচনে যে সব নেতারা জনদরদী নিঃস্বার্থ বিশেষন ব্যবহার করেন কোথায় আজ তারা?? দয়া করে দেখে যান নিঃস্বার্থ ও জনদরদীর উদাহরণ। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত খুবই সাধারণ মানুষ গুলোর অসাধারন কৃ্তি নিয়ে নিউজ কভার করছে দেশের অনেক দৈনিক পত্রিকা। এমন কি উদ্ধার কাজ সচল রাখার জন্য এবং আহত মানুষ গুলোকে দ্রত হাসপাতে নেবার জন্য রাস্তা ও ক্লিয়ার রাখছেন কিছু স্বপ্রণোদিত সাধারণ মানুষ। হাতে হাত রেখে জাতীয় বিপর্যয়ে মানুষ যে কতটা আন্তরিক ভাবে কাজ করতে আগ্রহী সাভার ঘটনা টার অসাধারণ দ্বষ্টান্ত! কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে, পরিতাপের সাথে দেখছি আমাদের রাজনীতিবিদরা গতচারদিনেও একতা বদ্ধ হতে পারলেন না। দোষারোপ আর কাঁদাছুড়াছুড়ি সংস্ক্বতি থেকে উঠে এসে সম্মিলিত ভাবে উদ্ধার কাজে মনোনিবেশ করতে পারছেনা।

জাতি হিসেবে এখানেই আমাদের ব্যর্থতা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও সাধারণ মানুষ ছিল একতাবদ্ধ এবং সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম আর লক্ষ লক্ষ মা- বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পেয়েছিলাম আজকের বাংলাদেশ, অথচ ৪২বছর পরও আমাদের রাজনীতিবিদরা সাধারণ মানুষের মত একতাবদ্ধ হতে পারল না। দুঃখ আমাদের একটাই রক্তে কেনা বাংলাদেশে আমরা এখনো দ্বিধাবিভক্ত। ভিন্ন মত থাকতে পারে, ভিন্ন আদর্শ থাকতে পারে, ভিন্ন রাজনৈতিক সূচি থাকতে পারে, তাই বলে দেশের প্রয়োজনে, দেশের ক্রান্তিকালে কেন এই দ্বিভাজন! কেন একজন পূর্ণ মন্ত্রীর এমন অবিবেচক, ভারসাম্যহীন, পাগলের প্রলাপ- "স্তম্ভ ধরে নাড়াচাড়া করার কারণ ও ভবন ধসের কারণ হতে পারে?" তাও আবার বিবিসির মত একটা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে!! শ্যাম, বা লজ্জা জানানোর মত ভাষাও জাতি হারিয়ে ফেলছে।

শোকাহত মানুষ তাঁকে ধিক্কার জানানোর অনুভুতি টুকুও প্রকাশ করতে পারছে না। আমাদের মাননীয়, শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা সেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে যে বক্তব্য দিলেন সেটা জাতী হিসেবে শুধু লজ্জার না অবমাননাকরও বটে। রানা প্লাজার কর্নধার স্থানীয় আওয়ামী যুব লীগের যুগ্ম আহব্বায়ক সোহেল রানা নাকি আওয়ামী লীগের কেউ না! ওনি নাকি সাভারের আওয়ামী লীগের সকল কমিটি নিয়ে সংসদে এসেছিলেন এবং সেখানে নাকি কোথাও সোহেল রানার নাম নেই!! তাহলে সাভার জুড়ে যে রানার নামে বড় বড় পোষ্টার, স্তানীয় সাংসদের ছবি সম্মিলিত প্রচারনা সবি কি মিথ্যা! নাকি ওনার প্রদত্ত তথ্য জাতির কাছে মিথ্যা প্রচারনা! আজও দেখলাম ফেসবুক জুড়ে তৌহিল মুরাদ জংয়ের সাথে সোহেল রানার অসংখ্য ছবি, এই গুলো কি ফটোশপের কাজ না বাস্তবতা! তৌহিদ মুরাদ জং রানার কপালে চরম আদরে চুমু খাচ্ছেন, বুকে জড়িয়ে ধরছেন সবি কি বানানো?? হরতাল বিরোধী মিছিলে সোহেল রানা গাড়ীর ভেতর থেকে মাথা তুলে সবার সামনে দাড়িয়ে সেটাও কি তাহলে ভুল! স্থানীয় সাংসদ তৌহিদ মুরাদ জং সকালে ভবনের নিচে আটকা পড়া সোহেল রানা কে উদ্ধারের খবরও কি বানানো! কি বলবেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। যে দেশের নির্বাহীর প্রধান অস্বচ্ছ এবং জানতিকে বিভ্রান্তমূলক তথ্য প্রদান করতে সিদ্ধ হস্ত সেই দেশে সেই নির্বাহীর অধীনের লোকজনতো মিথ্যাই বলবে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী যে বলেনি -"বিরোধী দলের নেত্রী এই ঘটনায় জড়িত" সেটাই আশ্চর্যজনক! ওনি যে বলেন নি বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা যড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, ওনাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে সেটাই এখন আমাদের কাছে আশ্চর্য লাগছে। এই লেখায় একটা ফেসবুকের স্ট্যাটাস শেয়ার না করে পারছি না- দেখুন একজন এসএসসি পরীক্ষার্থিনী দেশ নিয়ে হতাশ হয়ে কি লিখেছেন- এই পৃথিবীতে ছিলো খুব গরিব একটা রাষ্ট্র, তাদের সরকার গরিব, মন্ত্রীরা গরিব, রাজনীতিবিদরা গরিব ....তারা এতই গরিব ছিলো যে একটা বিমানবন্দর এর নাম পরিবর্তন করতে মাত্র ১২০০ কোটি টাকা খরচ করেছিলো, তাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিদিনকার, মেহমান আপ্যায়ন খরচ ছিলো মাত্র আড়াই লক্ষ টাকা, তাদের দেশের মন্ত্রী এমপিরা সরকারী টাকায় কোটি টাকা দামের ভাঙ্গাচুড়া গাড়ীতে চলাফেরা করতো, বিশালবহুল বাড়ীতে কষ্টে বসবাস করতো ......... সে দেশের সরকার সত্যিই গরিব ছিলো তাই, তারা সামান্য কিছু গরিব মানুষদের জন্য ৬০০ টাকা দামের অক্সিজেন সাপ্লাই দিতে পারেনি ,১০০ টাকা দামের টর্চ লাইট, কিনে দিতে পারেনি ,৩০ টাকা দামের পানির বোতল দিতে পারেনি .......সে দেশের জনগণ গরিব হলেও মন থেকে তারা ধনী ছিলো তাদের দেশের মানুষ যেন কষ্ট না পায় তাই তারা চাঁদা তুলে গরিব মানুষগুলোকে বাঁচানোর ব্যবস্হা করেছিলো .....তবে সরকারও ধনী ছি,লো তবে সেটা মুখের শুধুই পটপটানিতে..... একটু আগে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারলাম ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়কারী মেজর জিহাদ জানিয়েছেন -বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে পারলে পাইপ দিয়ে অক্সিজেন ভিতরে দেয়া যেত।

আটকা পড়া জীবিতদের সকাল পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখার জন্য খুব সহায়ক হতো। বড় হাসপাতালগুলোতে এধরনের সিলিন্ডার থাকে। আমাদের দেশে একটা দূর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আছেন, একজন মন্ত্রী বাহাদূরও আছেন, একজন সাধারণ মানউষ হিসেবে প্রশ্ন রাখছি ওনি কি করেন?? এই ফেসবুকের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি মন্ত্রী মহাদয় নিজ এলাকায় জনসেবায় নাকি ব্যস্ত!! হায়রে জনসেবা!!! উদ্ধার কাজের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কি সাধারণ মানুষের সরবরাহ করার দায়িত্ব! নাকি এই মন্ত্রনালয়ের! যদি আমাদেরকেই মোম, টর্চ, অক্সিজেন, খাবার, পানি, মাস্ক, এ্যাম্বুলেন্স, ঔষধ, স্যালাইন দিতে হয়, তাহলে এতো দামী গাড়ী, বাড়ি সরবরাহ করে মন্ত্রী, সচিব, মন্ত্রণালয়, লোকবল রেখে আমাদের ট্যাক্সের টাকা অপচয় করার মানে কি??? সরকার জনগণের কাছ থেকে ট্যাক্স নেয় কেন? আমিতো জানতাম রাষ্ট্রের উন্নয়ন এবং রাষ্ট্রের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে অনিশ্চিত এবং অনাকাংক্ষিত মুহূর্ত গুলো মোকাবেলায় এবং প্রয়োজনীয় নির্বাহী কার্যসম্পাদনের জন্যই এই ট্যাক্স প্রথা, তাহলে আজ কেন সাধারণ মানুষকে মোম থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে দৌড়াতে দেখচ্ছি! কেন একটু পরপর ফেসবুকে সাহায্য চেয়ে নিবেদিন কর্মীদের অসাহায়ত্বের আহবান! কেন চারদিন পরও সরকার একটা জেনেরেটরের ব্যবস্থা করে আলোর ব্যবস্থা করতে পারল না। কেন প্রয়োজনীয় ঔষধ থেকে শুরু করে খাবারের ব্যবস্থা করতে কোন উদ্যোগ নিলো না। সংসদে, মিডিয়াতে এবং সমাবেশে শোনতে পারি সরকার নাকি সব ব্যবস্থা করছে, তাহলে সাধারণ মানুষ কেন ফেসবুকে সাহায্য চেয়ে করুন আকুতি জানাচ্ছে? তাহলে বলতে হয় বা জানতে ইচ্ছে হয়, সাধারণ মানুষ কি মিথ্যা বলছে?? সরকারের বিরুদ্ধে বলছে, তাহলেতো সরকারের জন্য আরো মারাত্বক হুমকির ব্যাপার।

এই বছরের শেষে নির্বাচন, সেইখানেওতো এর প্রতিফলন ঘটবে! সরকারকে বলবো মানুষ মিথ্যাচার এখন আর পছন্দ করে না। আজ পত্রিকায় দেখলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জনদরদী, যিনি নিজের থেকেও দেশকে বেশি ভালবাসেন ওনি রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে গ্রেফতারের আদেশ বা নির্দেশ দিয়েছেন, হাস্যকর এবং বিভ্রান্তিকর আদেশ ছাড়া আর কিছু না। এই মালিক সোহেল রানাকেতো ওনার দলের সাংসদ তৌহিদ মুরাদ জং ভবনের নিচ থেকে উদ্ধার করে, জনরোষ থেকে মুক্ত করে নিরাপদে সরিয়ে দিয়েছেন, তাহলে ওনাকেইতো জিজ্ঞেস করা উচিত রানা কোথায় আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাংসদকে গ্রেফতার করেন,, রিমান্ডে নিন, রানার খোঁজ পেয়ে যাবার সম্ভাবনা খুবই বেশি। ঐ ভবনে যে সব গার্মেন্টেরস কারখানা ছিলো ঐসব মালিকদের গ্রেফতার করুন।

বিচার করুন, তানাহলে এর মাশুল আগামী নির্বাচনে আপনাকেই দিতে হবে। তথাকথিত হেফাজতের ১৩ দফা দাবী যখন বৃহত নারী সমাজের বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রতীয়মান তখন এক শ্রেণীর নারী নেত্রীরা সভাসমাবেশ থেকে শুরু করে টক শো এবং এমনি কি হেফাজতকে ঠেকানোর উদ্দেশ্যে মহাসমাবেশেরও ডাক দিয়েছিলেন। যাদের নিয়ে সমাবেশ করবেন সেই অবলা নারী শ্রমিকদের জন্য আজ মহা বিপদের দিন, তাদেরকে জনসমাবেশে আনতে না পারার আশংকায় সমাবেশ স্থগিত করেছেন সম্মানিয়া নারী নেত্রীরা। কিন্তু কোথায় আজ তারা? কি করতে পারছে তারা আজ এই নারীদের জন্য। কি করবে তারা যারা হাত-পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন? তাদের জন্য কি কর্মসুচি নিবেন সেটা এখন দেখার বিষয়।

কি বলেছেন তারা উদ্ধার কাজে সরকারের সম্পূর্ণ ব্যর্থতার করুন চিত্র দেখে? কি কর্মসূচি পালন করবেন আমাদের নতুন প্রজন্মের আলোর দিশরী "শাহাবাগ গণজাগরণ" মঞ্চের মহারথীরা? অপেক্ষা করছি তাদের কর্মকান্ড দেখার জন্য। ইতিমধ্যে তারা যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা প্রশংসনীয় এবং আমাদের জন্য গর্বের। কিন্তু সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধের তাদের কি অবস্থান। মন্ত্রীর কান্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যের তাদের কি প্রতিক্রিয়া?? দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। যদি তারা নীরব থাকে তাহলে ধরে নেব এই সব তরুন প্রজন্মের মহারথীরা সরকারের আজ্ঞাবাহ এবং সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত।

সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিকল্প পন্থা, সাধারণ মানুষকে অকা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়া হাসিলের কুটকৌশল! সব শেষে কালকের একটা লেখা যার জন্য আমার ব্লগ আমাকে ব্লক করেছে সেটার শেষ অংশ দিয়ে শেষ করছি- আমার শেষ প্রশ্ন দুর্যোগে এবং দূর্ভোগের সময় যদি আমাদেরকেই অক্সিজেন, টর্চ, এ্যাম্বুলেন্স, খাবার, পানি, রক্ত, মোমবাতি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে হয় তাহলে প্রতিমাসে বেতন পেয়ে ট্যাক্স দিচ্ছি কেন??? মানুষ কেন বছর শেষে ট্যাক্স দিচ্ছে??? এক কাজ করলে কেমন হয় ট্যাক্সের টাকা নিজের কাছেই জমা রাখি বিপদে সাহায্য নিয়ে ঝাপিয়ে পরবো। আপনারা কি বলেন?????? একজন করদাতা হিসেবে কি আমি এই প্রশ্নটা করতে পারি না???? ধন্যবাদ (২৭-০৪-২০১৩) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৮ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।