আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক সকল রাজনৈতিক সমাবেশ ১ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা ও সরকার বিরুধী আন্দোলনকে স্তব্দ করার নতুন কৌশল

(لا اله الا الله محمد رسول الله) মানুষের বাকস্বাধীনতা হলো একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রীক দেশের প্রধান ও মূখ্য উপদান, গণতান্ত্রিক দেশে বিরুধী দল থাকবে এটা স্বাভাবিক আর বিরুধী দল সহ সব দলের রাজনৈতিক অন্যতম অধিকার হলো সভা সমাবেশ, হরতাল, শোভা যাত্র ইথ্যাদি, যে দেশে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা, হরতাল, সভাসমাবেশ হয়না সে দেশকে কোন অবস্থায় একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে গণ্য করা যাবেনা। তেমনি একটি দেশের সরকারেরও কিছু গুরুত্বপূর্ন দায়ীত্ব রয়েছে যেমন দেশের নাগরিকের জীবণ, অর্থনৈতিক, সম্পদের সহ যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অনেক সময় সরকার তার দেশের সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর সিদ্ভান্ত নিতে বাধ্য হন, যা রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য অনেক সময় অমাণবিক, ক্ষতিকর, অনৈতিক ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসাবে বিবেচনা হতে পারে, আসুন দেখাযাক, বর্তমানে স্বরাষ্ট মন্ত্রাণালয় কর্তৃক আগামী ১ মাসের জন্য সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞ আরোপ কতটুকু টুকু যুক্তিগত। এই ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম বিবেচনা করতে হবে স্বারাষ্ট মন্ত্রাণালয় কিরুপ সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, স্বরাষ্ট মন্ত্রাণায় সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ্য করেছে যে সব সমাবেশ হতে বা যাদের সমাবেশ হতে দেশের আইনশৃঙ্কলার হুমকি, জননিরাপত্তার হুমকি, সম্পদের ক্ষয় ক্ষতি হতে পারে সে সব দল বা গোষ্টীর দ্বারা আয়োজিত সমাবেশের ফলে আইন শৃঙ্কলা অবণতি হতে পারে তাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা শুধু মাত্র আগামী এক মাসের জন্য আরোপ করা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা শুধূ মাত্র ঢাকা শহরের জন্য আরোপ করা হয়েছে। এটি একটি ক্ষণস্থায়ী সিদ্ধান্ত, এই সিদ্ধান্ত বিশেষ করে সাম্রতিক দক্ষিণ উপকুলীয় আঞ্চলে ঘুণিঝরের ক্ষতি কাঠিয়ে উঠতে ও র্দুগত এলাকায় সুষ্ট ভাবে ত্রাণ বিতরণ জন্য সাময়িক এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সরকারী দল সহ সব দলের জন্য প্রযোজ্য। কেউ সমাবেশ হতে কোন বিশৃঙ্কলা ও আইনশৃঙ্কলাল অবণতি করবেনা এই রকম নিশ্চয়তা দিতে পারে , সেই ক্ষেত্রে সামাবেশ করার অনুমতি সরকার দিতে পারে। এবার দেখাযাক স্বারাষ্ট মন্ত্রণালয় কেন এবং কোন যৌক্তিক কারণে এই রকম সিদ্ধান্ত নিল। আমরা দেখেছি ও সবাই জানি সাম্রতিক আমাদের দেশের দক্ষিণাঅঞ্চলে আঘাত এনেছে ঘুণিঝর মহাসেন, যার ফরে উপকুলী অঞ্চলের পুর্ণবাস ও সঠিক ভাবে ত্রাণ বিতরণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের মানুষের আর্থিক চাঙ্গা করতে বিশেষ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গত ৫ ই মে আমরা দেখেছি একটি উগ্রমৌলবাধী র্ধম আন্ধ গোষ্টী সমাবেশের নামে দেশে ও ঢাকা শহরের কি রকম ভয়ানক তান্ডব চালিয়েছে, আর তাদের সমর্তন দিয়েছেন আমাদের একটি রাজনৈতিক দল, অথচ সেই সময় সাভারের র্দুগটনার আহত চিকিৎসার জন্য এদিক ও দিক আনা নেওয়ার জন্য সবাই ব্যাস্ত ছিল, সেই দুর্যোগ সময়ে ঢাকা অবরোধ করেছে একটি হীন মানুষের দল, সুতরাং এই দুর্যোগ মুর্হুতে আমি মনে করি দেশের সমগ্রীক স্থিতিশীলতা বজার রাখতে এই সিদ্ধান্ত যর্থাত ও ১০০% যুক্তি যুক্ত হয়েছে, সবার উচিত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো ও এই নির্দেশ সঠিক পাবে পালন করা, আসুন আমরা সবাই সব কিছু বিষয় রাজনৈতিক দৃষ্টিতে না দেখে মাণবিক দিক বিবেচনা করি, দেশ ও দেশের উন্নতির কথা চিন্তা করি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।