আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।
সাবেক জ্বালানী উপদেষ্টা ও বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান একের পর এক অঘটনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের ভিলেন হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন । জোট সরকারের আমলে নানা বৈধ-অবৈধ সুবিধাভোগকারী এ ব্যক্তিটি তার বেফাঁস কথা এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে দেশে নানা বিতর্কের সৃষ্টি করেন । বিনিয়োগ বোর্ড থাকাকালে বিদেশী বিনিয়োগ আনার ব্যাপারে তেমন কোন সাফল্য দেখাতে না পারলেও পুরো মেয়াদ জুড়েই অর্থহীন বাগাড়ম্বর করে গেছেন । দেশের স্বার্থবিরোধী টাটার বিনিয়োগ প্রস্তাবের পক্ষে করেছেন নির্লজ্জ দালালি ।
দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় অর্থনীতিবিদ,বুদ্ধিজীবি, রাজনীতিবিদদের প্রতি অবমাননাকর উক্তি, এমনকি ফৌজদারি মামলা দয়েরের মতো দুঃসাহস দেখিয়ে দেশবাসীকে স্তম্ভিত করে দিয়েছেন । শুধু জোট সরকার নয় আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্র্যাষ্টি বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে তার দায়ের করা মামলা আমলনা আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, দাতা সংস্থা এবং কূটনীতিকদের কাছে দেশকে অনেক হেয় করেছে । চারদলীয় জোট নেত্রীর আর্শীবাদপুষ্ট মাহমুদুর রহমান এবার ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভয়াবহ খেলায় মেতে উঠেছে । চারদলীয় জোটকে ক্ষমতায় এনে রুটি-হালুয়ার ভাগ প্রাপ্তি অব্যাহত রাখতে এবং অতীতে নিজের নানা দুষ্কর্মেও শাস্তি এড়াতে যেনতেনভাবে চারদলীয় জোটকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে তিনি এবং তার সহচররা মরিয়া হয়ে উঠেছেন । পাঁচ বছরের শাসনামলে সীমাহীন ব্যর্থতা, লুটপাট, জনগণের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন ইত্যাদি কারণে ভোটের মাধ্যমে জোটের ক্ষমতায় ফিরে আসা অসম্ভব জেনে তারা নির্বাচনকে ম্যানিপুলেট করে ক্ষমতায় ফিরে আসতে চাচ্ছেন।
আর এ লক্ষ্যেই সরকারের স্পর্শকাতর অবস্থানগুলোতে থাকা চারদলীয় জোটের অনুগত আমলাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক বসে নির্বাচনের সম্ভাব্য রায় বদলে দেয়ার নীলনকশা চূড়ান্ত করেছেন । শুক্রবার অনুষ্ঠিত এমন একটি বৈঠকের খবর ফাঁস হয়ে গেলে মাহমুদুর রহমান এবং তার দুস্কর্মের সঙ্গীরা হাতেনাতে ধরা পড়ে যান । তাদের এই ষড়যন্ত্রের খবর সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে ।
জোট সরকার ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পরই মাহমুদুর রহমানকে বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে ২ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। বেসরকারি খাতের কোন বাক্তিকে বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবাই চমকে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তার বাস্তব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করা এবং বিনিয়োগ বোর্ডকে আরও সক্রিয় দক্ষ করার জন্যই তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তখন সবাই আশা করেছিলেন, মাহমুদুর রহমানের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে বিনিয়োগ বোর্ডের গভরন্যােেন্সর মান বাড়বে, বিনিয়োগকারীদের দুর্ভোগ কমবে এবং দেশে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়বে। কিন্ত দায়িত্ব পালনকালে বড় বড় কথা ছাড়া তিনি কোন সাফল্যই দেখাতে পারেননি । বিনিয়োগকারীদের দুর্ভোগও কমেনি। তার মেয়াদের পুরো সময় জুড়েই বিনিয়োগ বোর্ড ছিল দুর্নীতিবাজদের আখড়া।
নিবন্ধন সনদ প্রদান, বিদেশীদের ওয়ার্ক পারমিট প্রদান ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই চলেছে টাকার খেলা । টাকা ছাড়া সেখানে কিছুই হয়নি। বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর কথা বলা হলেও সেখান থেকে কোন সেবাই পাননি বিনিয়োগকারীরা । দেশী-বিদেশী বিভিন্ন রিপোর্টেও এসব প্রকাশ পেয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পর থেকেই মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
একের পর এক গোমর ফাঁস হতে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পরও মাহমুদুর রহমান দীর্ঘদিন অনৈতিক ও আইন বর্হিভূতভাবে তার পূর্বতন প্রতিষ্ঠিান থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি বিনিয়োগ বোর্র্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে ২ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। পরে চুক্তির মেয়াদ বাড়নো হয়। বিনিয়োগ বোর্র্ডের দায়িত্ব নেয়ার আগে তিনি শাইনপুকুর সিরামিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন।
বিনিয়োগ বোর্র্ডের চাকরির শর্ত ছিল, মেয়াদকালে তিনি অন্য কোন লাভজনক দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। কিন্ত দায়িত্ব নেয়ার ২ বছর পরও তিনি শাইনপুকুরের ফাইলপত্র দেখেছেন বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং মাঝেসাঝেই কারখানা পরিদর্শন করেছেন। এর বিনিময়ে শাইনপুকুর থেকে বাড়ি-গাড়িসহ নানা সুবিধা পেেেয়ছেন। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে ছিল গাড়ির জ্বালানি এবং ড্রাইভার। ২০০৩ সালের ১০ অক্টোবর দৈনিক প্রথম আলো এবং ১৩ অক্টোবর যুগান্তর এ সংক্রান্ত খবর ফাঁস করে দিলে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আইএফআইসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখায় তার ০০০৬৩৪০৪১৪৪ নম্বর সঞ্চয় হিসাবে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা জমা হয়েছে । ২০০৩ সালের বিভিন্ন মাসে এ হিসাবে সর্বনিমè ১০ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪২ লাখ টাকা জমা হয়েছে। সে বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে মোট ২ কোটি ৮৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬ টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে জমা হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ ২৭ হাজার টাকা, একাউন্ট থেকে তোলা হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮৬ টাকা। তিনি শাইনপুকুর সিরামিক্স থেকে সার্বক্ষণিক দুটি গাড়ির (ঢাকা-মেট্রো-গ-১১-১৯০৯ এবং ঢাকা-মেট্টো-০২-২৯০৪) সুবিধা নিয়েছেন।
তখন মাহমুদুর রহমান বারিধারা, ৪১, সোহরাওয়ার্দী এভিনিউর যে বাড়িটিতে বাস করতেন তার ভাড়া পরিশোধ করত শাইনপুকুর; মাসিক ভাড়া ছিল ৭০ হাজার টাকা। সে বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি নিজের কেনা যে ফ্ল্যাটে ওঠেন তাতে ৫ লাখ টাকা মুল্যের সাতটি এয়ারকন্ডিশনার সরবরাহ করে শাইনপুকুর। এসব গোপন খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর তিনি ১৪ অক্টোবর একটি সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, শাইনপুকুরের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে না থাকলেও কারিগরি পরামর্শ দেয়ার শর্ত ছিল । তিনি শুধু ততটুকুই করছেন, প্রত্যক্ষ কোন দায়িত্ব পালন করছেন না । অথচ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সে বছরের ১ জুলাইও তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ফ্যক্টরি চত্বর থেকে পণ্য বিক্রি সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে অফিস মেমো জারি করেছেন।
তখন এমন আরও অনেক অফিস আদেশের খবর বেরিয়ে আসে যাতে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন।
সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯ এর ১৭(২) নম্বর বিধিতে স্পষ্ট বলা আছে, কোন ব্যাংক বা কোম্পানির প্রসার, নিবন্ধন বা ব্যবস্থাপনায় কোন সরকারি কর্মচারি অংশ নিতে পারবেন না। অথচ মাহমুদুর রহমান, এ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সে কাজ করে গেছেন । এমন অনৈতিক এবং আইনবহির্ভূত কর্মকান্ডের খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরও জোট সরকার তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি, বরং তার চুক্তির মেয়াদ আরও ৩ বছরের জন্য বৃদ্ধি করে। ব¯তুত জোট সরকারের প্রতি অন্ধ আনুগত্য এবং বিশেষ ভবনের সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই তার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এ আনুগত্যের কারণে পরে তাকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাও নিয়োগ করা হয়।
বিনিয়োগ সম্পর্েেক মাহমুদুর রহমান বরাবর বাগাড়ম্বর করে গেছেন । নিজের সাফল্য জাহির করার লক্ষ্যে তথ্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে উপস্থাপন করেছেন। বিনিয়োগকারীদেি ইচ্ছাপত্র এবং নিবন্ধনকে তুলে ধরে বলার চেষ্টা করেছেন, বিদেশী বিনিয়োগে দেশ ভেসে যাচ্ছে। অথচ প্রকৃত চিত্র ছিল একেবারেই ভিন্ন।
যেসব বিনিয়োগ প্রস্তাবের কথা তিনি বলেছেন, তার ২০ শতাংশও বাস্তবায়ন হয়নি। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০২-০৩, ২০০৩-০৪ এবং ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ২৪৫টি বিনিয়োগ প্রস্তাবের বিপরীতে মাত্র ৭৭ টি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। টাটার প্রস্তাবের বাইরে এ সময়ে ২৪১৫ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাবের বিপরীতে বিনিয়োগ হয়েছে ৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। ২০০৫ সালের ফেব্র“য়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইকোনমি এন্ড বিজনেস অ্যাফেয়ার ব্যুরো থেকে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিনিয়োগ বোর্ডের কথিত ওয়ান স্টপ সার্ভিস দ্বারা বিনিয়োগকারীরা প্রায়শ প্রতারিত হয়। বিনিয়োগ নিবন্ধন, কর সংক্রান্ত তথ্যাদি, জমি সংগ্রহ এবং অন্যান্য সেবা পাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটির কাজ করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা পাওয়া যায় না।
নিজের এবং জোট সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করে মেকি সাফল্য জাহির করার জন্য তিনি বিনিয়োগ সংক্রান্ত অনেক প্রকৃত তথ্য আড়াল না হয় বিকৃত করতেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিনিয়োগ বোর্র্ডের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিদেশী বিনিয়োগের প্রকৃত অবস্থা খারাপ বলে তিনি বিনিয়োগ জরিপ প্রতিবেদন ২০০৫ প্রকাশকে নানাভাবে বিলম্বিত করেন, শুধু তার কারণে সে বছর রিপোর্ট প্রকাশে সাড়ে ৪ মাস বিলম্ব হয়েছে।
মাহমুদুর রহমান কোন সমালোচনা সহ্য করেন না। কোনভাবেই নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করতে রাজি নন তিনি। এমনকি নিজের তথ্য বিকৃত ও আড়াল করার বিষয় ধরা পড়ার পরও তা নিয়ে বিতন্ডা করেন।
নিজের এবং তার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সমালোচনাকে তিনি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, ভাবমূ র্তি নষ্ট করার চেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করতেন। দেশের সবচেয়ে সমাদৃত গবেষণা প্রতিঠান সেন্টার পর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করায় তিনি তার ওপর প্রচন্ড নাখোশ ছিলেন। চলতি বছরের ৬ আগস্ট ইআরএফ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি তার এ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটান । অনুষ্ঠানে তিনি অনেকটা অপ্রাসঙ্গিকভাবে সিপিডিকে টেনে এনে তার সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন, সিপিডি প্রচন্ড মিথ্যাবাদী, ষড়যন্ত্রকারী এবং নির্লজ্জ।
সিপিডি তার এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানায়। দেশের দু’একটি পত্রিকা এ সংবাদ সম্মেলনের কিছু বক্তব্যকে ভিন্নভাবে প্রকাশ করায় তিনি এর সুত্র ধরে সিপিডির ট্টাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যন অধ্যাপক রেহমান সোবহান, এম সাইুজ্জামান, সৈয়দ মঞ্জুর ইলাহী, লায়লা রহমান কবীর এবং নির্বাহী পরিচালক ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনা দেশ-বিদেশে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে। তার এ দুঃসাহস এবং অন্যায় বাড়াবাড়িতে ক্ষমতাসীন বিএনপির অনেক শীর্ষ নেতা পর্যন্ত বিব্রতবোধ করতে থাকেন। পরে অবশ্য বিদেশী কূটনীতিকদের তৎপরতায় তিনি এ মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন।
তিনি সিপিডির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বাম দলের নেতৃবৃন্দ এবং অনেক গবেষক-বুদ্ধিজীবীও কঠোর সমালোচনা করতেন। টাটার প্রস্তাব এবং ফুলবাড়ী কয়লাখনির উম্মুক্ত খনন পদ্ধতির সমালোচনা করায় বিভিন্ন সময়ে দেশের এসব স্বনামধন্য ব্যক্তির প্রতি প্রকাশ্যে বিষোদগার করে এদের দেশের স্বার্থবিরোধী, ’কথিত পন্ডিত’ ইত্যাদি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি করেই থেমে থাকেননি মাহমুদুর রহমান। নিজের প্রভূদের ক্ষমতায় আনতে এবার যুক্ত হয়েছেন ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নীলনকশা প্রণয়নে। তার সঙ্গে এ ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়েছে জোট সরকারের আমলে নানাভাবে সুবিধাভোগকারী, যোগ্য ব্যক্তিদের ডিঙিয়ে প্রমোশন লাভকারী নানা পদের আমলারা।
শুক্রবার উত্তরায় অবস্থিত তার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আর্টিজান সিরামক্সেও অফিসে এমনই একটি গোপন বৈঠক ও ষড়যন্ত্রের খবর ফাঁস হয়ে গেঁলে গণমাধ্যমের কর্মীরা সেখানে ভিড় জমান। বৈঠকের এ খবরে এখনও দেশজুড়ে চলছে তোলপাড় , বইছে নিন্দার ঝড়।
সুত্র যুগান্তর।
পুরান গুলাতো জানলাম, কিন্তু নয়া আমল?
কিছুটা এইখানে পাবেন Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
http://bdtoday24.com/?p=5847
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।