গুণীজন
১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝিতে স্কুলপড়ুয়া এক বালক হাতে পেল আমেরিকার নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত মাসিক রম্য-ম্যাগাজিন 'ম্যাড'৷ ম্যাগাজিনের কার্টুনগুলি বালকের নজর কাড়ে৷ একই সময়ে কিছু ভারতীয় পত্রিকার চিত্রাঙ্কন দেখেও সে মুগ্ধ হয়৷ মাসিক ম্যাগাজিন আর পত্রিকা-এই দুই-এর মাধ্যমেই কার্টুনের সাথে প্রথম পরিচয় হয় তাঁর৷ সেগুলি সম্পর্কে জানার আগ্রহটা বেড়ে চলল দিনে দিনে৷ শুরু হল সেগুলি সংগ্রহ করা৷ নিতান্তই শখ মেটাতে সে ভর্তি হল ঢাকার আর্ট কলেজে৷ এবার শুরু নিজের আঁকা৷ শখ করে ছবি আঁকতে শুরু করা সেদিনের সেই বালকটিই আজকের স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী৷ দশম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় জীবনের প্রথম কার্টুনটি আঁকেন তিনি৷ কার্টুনটি ছিল ভিক্ষুকদের উপরে৷ বিষয় দারিদ্র্য৷ লক্ষ্য ছিল ভিক্ষুকদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের অবস্থানটা তুলে ধরা৷ জীবনের প্রথম আঁকা সে কার্টুনটি কোথাও প্রকাশিত না হলেও আগ্রহ কমেনি এতটুকু৷
কার্টুনের প্রতি আগ্রহটা আরও বেশি জোরাল হয় ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে, বিভিন্ন যুব সংগঠন, বিশেষ করে ছাত্র ইউনিয়নের কার্টুন পোস্টার আঁকার আহ্বানে৷ তত্কালীন সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে পোস্টার আঁকার অনুরোধ করত তারা৷ তখন সদ্য পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষকতা শুরু করেছেন রফিকুন নবী৷ ২১শে ফেব্রুয়ারি উদ্যাপনে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিশাল আকারের ব্যানারে কার্টুন আঁকেন৷ গণজমায়েতে ব্যবহৃত হত তাঁর আঁকা এইসব অসংখ্য কার্টুন ব্যানার৷ কিন্তু সরকারি চাকুরে হওয়ায় ঐসব কার্টুনে নিজের প্রকৃত নাম স্বাক্ষর করা ছিল অসম্ভব৷ আবার একেবারে আলাদা কোন নামও নিজের কাছেই কেমন অস্বস্তি লাগছিল৷ তাই সেই পোস্টারগুলিতে নিজের প্রকৃত নামটিকেই সংক্ষিপ্ত করে তিনি লিখলেন রনবী৷ এই রনবীই পরে তৈরি করেন সর্বাপেক্ষা বেশি আলোচিত ও জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র টোকাই৷ রনবী পৌঁছে যান সব মানুষের হৃদয়ের কাছে৷
বাকী অংশ দেখুন-- http://www.gunijan.org.bd
বিপ্লবীদের জীবনী জানতে দেখুন http://www.biplobiderkotha.com
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।