শিল্পী রফিকুন নবীর সত্তরতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বেঙ্গল গ্যালারিতে শুরু হয়েছে 'বাস্তবতার অনুষঙ্গ' শীর্ষক শিল্পীর একক চিত্রকলা প্রদর্শনী।
গতকাল সন্ধ্যায় বেঙ্গল শিল্পালয়ে ১৩ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সহধর্মিণী বেগম জাহানারা আবেদিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং শিল্পকর্ম সংগ্রাহক দুর্জয় রহমান জয়। বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত, শিল্পী রফিকুন নবী এবং বেঙ্গল গ্যালারি অব্ ফাইন আর্টসের পরিচালক সুবীর চৌধুরী। শিল্পীর বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।প্রদর্শনীতে মোট চিত্রকর্মের সংখ্যা ১২০টি। ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে।
১৩ ডিসেম্বর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিজয় উৎসব শুরু 'জয় সর্বকালের বাংলা, জয় সর্বধর্মের বাংলা, জয় সর্বমানবের বাংলা'- এ স্লোগান নিয়ে ১৩ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ৫ দিনব্যাপী বিজয় উৎসব, ২০১৩। ওই দিন বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হবে এ আয়োজন। রাজধানীর ১৩টি মঞ্চ থেকে এ উৎসবের কার্যক্রম চলবে। এ আয়োজনে ৫০টি শিশু সংগঠনসহ দুই শতাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের ৩ হাজার শিল্পীর অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে পথনাটক, কবিতা পাঠ, সংগীতানুষ্ঠানসহ নানা ধরনের আয়োজন রয়েছে ৫ দিনের এ উৎসব।
১৩টি স্থানে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শহীদ মিনার থেকে বের হবে বৃহৎ পরিসরে বিজয় শোভাযাত্রা। উৎসবের মঞ্চগুলো হলো- রায়ের বাজার স্মৃতিসৌধ, ধানমন্ডি রবীন্দ্রসরোবরের ভাষাসংগ্রামী আমানুল হক মঞ্চ, দনিয়ার ভাষাসংগ্রামী জিল্লুর রহমান মঞ্চ ও অভিনেতা আনোয়ার হোসেন চলচ্চিত্র মঞ্চ, তিন নেতার সমাধিস্থলে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক বেলাল মোহাম্মদ শিশু-কিশোর মঞ্চ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রস্তাবক রফিকুল ইসলাম চলচ্চিত্র মঞ্চ, মিরপুরে সংগীতশিল্পী সোহরাব হোসেন মঞ্চ, আবদুর রহমান বয়াতি মঞ্চ, শব্দসৈনিক বিপুল ভট্টাচার্য মঞ্চ, নাট্যকার আতিকুল হক চৌধুরী মঞ্চ এবং উত্তরা মঞ্চ। ১৭ ডিসেম্বর শেষ হবে এ উৎসব। গতকাল সকালে টিএসসি ক্যাফেটরিয়ায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিজয় উৎসব, ২০১৩-এর বিস্তারিত তথ্যসহ চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন গোলাম কুদ্দুছ ও ঝুনা চৌধুরী।
শিল্পকলা একাডেমির নবান্ন উৎসব : নাচ, গান, আবৃত্তি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে নবান্নকে বরণ করেছে শিল্পকলা একাডেমি। গতকাল বিকালে একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব ড. রণজিৎকুমার বিশ্বাস। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সংগীত ও নৃত্য বিভাগের পরিচালক সোহরাব উদ্দীন, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।
আলোচনা পর্ব শেষে প্রধান অতিথি অন্য অতিথিদের নিয়ে পিঠা খেয়ে নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন করেন।
আলোচনার পর সাংস্কৃতিক আয়োজনে সমবেত সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, শিল্পকলা একাডেমির রেপার্টরি সংগীত দল, বহ্নিশিখা, পঞ্চভাস্কর, ভাওয়াইয়া গানের দল, ঢাকা সাংস্কৃতিক দল ও সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী। একক সংগীত পরিবেশন করেন মোখলেসুর রহমান মিন্টু, দীপ্তি রাজবংশী, পলি রহমান, আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন নাসিমা খান বকুল, জালাল উদ্দিন হীরা, তামান্না তিথি, রবি শংকর মৈত্রী প্রমুখ। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন নৃত্যালোক, দিব্য, নন্দন কলা কেন্দ্র, রেওয়াজ পারফরমার্স স্কুল, নৃত্যাক্ষ, বাংলাদেশ একাডেমি অব্ ফাইন আর্টস্, স্পন্দন।
তথ্যচিত্র 'ফেরা'র ডিভিডি প্রকাশনা, প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী ও 'তারেক মাসুদ ইয়াং ফিল্ম মেকারস' অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মধ্য দিয়ে গতকাল শিল্পকলার চিত্রশালায় শেষ হয় দুই দিনের তারেক মাসুদ উৎসব।
সমাপনী আয়োজনে এনিমেশন ফিল্ম 'অবলিয়াস মোমেনটস' নির্মাণের শৈল্পিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ তরুণ নির্মাতা গাজী কামরুল ইসলাম ইমনকে প্রদান করা হয় 'তারেক মাসুদ ইয়াং ফিল্ম মেকারস অ্যাওয়ার্ড'। অনুষ্ঠানে বিশেষ বিবেচনায় ডকুমেন্টারি ফিল্ম 'গন্তব্য' ও 'স্মৃতিময় বাড়ির মৃত্যু' নামের দুটি চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।