আন্তর্জাতিক লেভেলে ভালো যোগাযোগ থাকলে গুনীরা নোবেল প্রাইজ পান। দেশে উপরতলার মানুষদের সাথে ভালো লিয়াজো রক্ষা করে দেশীয় গুণীরা বিভিন্ন জাতীয় পদকে ভূষিত হন। কিন্তু লবিং ভালো থাকলেই এভারেষ্ট জয় করা হয় যায়না। প্রকৃতির এই জায়গাটা বড় নির্মম। মেধা, শক্তি, সাহস আর অপরিসীম ধৈর্য্য ছাড়া হিমালয়ের চূড়ায় ওঠা সম্ভব না।
এখানে ফাঁকিবাজির কোনও সুযোগ নেই।
হিমালয় অভিযানটি ভীষণ ব্যয়বহুল। মুসা এভারেস্টে উঠে পড়েছে বলে, আজ ওকে আমরা সহজেই দেখতে পাচ্ছি। ওর সাথে ব্যক্তিগত ঘনিষ্টতা ছিল বলেই আমি জানি পেছনের রক্তক্ষরণের ইতিহাস। হিমালয়ের দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবার আগে, খরচ জোগাড়ের জন্য মুসা আরও সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে বাংলাদেশের কর্পোরেট পাড়ায়।
সেই অভিজ্ঞতা ওর জন্য খুব সুখকর ছিল না। সরকারি কোনও পৃষ্টপোষকতা মুসার জোটেনি, বেসরকারী খাতে পৃষ্টপোষকতাও ছিল যৎসামান্য।
আমরা খুব ক্ষুদ্র গন্ডির একটা জীবনযাপন করি। রোজ অফিসে যাওয়া,বাড়ি ফিরে টিভিতে টক শো দেখা। মুসা এভারেস্ট উঠিয়া প্রমাণ করিল আমাদের বাঙালি জীবনেও এভারেস্ট আছে।
আমরা সবাই সেখানে পৌঁছাতে পারিনা।
আমাদের মুসা পেরেছে। আসুন আমরা একটু আনন্দে মাতি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।