আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফারুকী-তিশার বিয়ে



দেশটা উচ্ছনে গেল। শালার সব যায়গায় একই কেস। আগামী মাসের ১৬ তারিখ মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী ও তিশার বিয়ে। আমি অবশ্য আগেই টের পেয়েছিলাম যে, এমন একটা কিছু হবে। ঠিক তাই হল।

প্রেম না করলে ওনার সব নাটকে তিশারে নেয়া লাগবে কেন? মাগনা খাইতে পারলে আর সম্মানি কম দেওয়া গেলে তো করাবেই। আজ পর্যন্ত ফারুকীর এমন কোন নাটক দেখি নাই যেখানে তিশা নেই। আরে এই শব শালারা হচ্ছে চরিত্রহীন। দুই একটা ভাল নাটক বানায়, বাকি সব গাজাখুরি। বাংলাদেশের বোগদা পাবলিকও যা পায়, অমৃত মনে করে গিলে ফেলে।

আমেরিকা বলে তাদের দেশের মানুষের মেধা বাংলাদেশের চেয়েও কম। কারণ ওরা ভাবতে ভাবতে সব খুইয়েছে। আর সেখানে বাংলাদেশ ভাবেই না! আমি যদিও কোন জ্ঞানী বা বোদ্ধা নয়। তবে ওদের মত চাপাবাজের চেয়ে ভাল জ্ঞান আছে। যারা একটা নাম খুজতে গিয়ে প্রাচীন আমলের বাংলা অভিধান ঘেটে দাতভাঙ্গা দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার করে নিজের পান্ডিত্য জাহির করতে চায়, তারা হচ্ছে আসল চাপাবাজ।

বাংলার exclusive বোধাইদের এরা ধোকা দিয়ে গুবরে পোকা বানিয়ে দেয়। public business এরা ভাল বোঝে। যারা ফারুকীর ৪২০ নাটক দেখেছেন, তারা নিশ্চয়ই জানেন নাটকের শেষ পর্বের পরে "মধুরেণ সমাপয়েত" নামে একটা আলোচনা অনুষ্ঠান হয়েছিল যেখানে কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ছিলেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। এই রকম দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার করে সে নিজের অগাধ পান্ডিত্য জাহির করতে চেয়েছে মাত্র। এসব লোক ফাও খাওয়ার জন্য সর্বদা ব্যকুল থাকে।

উত্তম পুরুষ একবচন (3rd person Singular number) চলচ্চিত্রটার দিকে একবার ফিরে তাকান,দেখবেন সে যে কনডম ব্যবহার কিংবা তার প্রচারণা প্রকাশ্যে চালিয়েছেন, তার কোন উপযুক্ত যৌক্তিকতা আমি খুজে পাই নি। আমাদের দেশ সামাজিকভাবে পশ্চিমাদের মত খোলামেলা না। ধর্মীয় রক্ষণশীলতার একটা ব্যপারও আছে। অথচ সকলের সামনে সে কনডম এর একটা ঝাপসা প্রচারণা চালালেন। যা মোটেও ঠিক হয় নি।

কেননা, বাবা-মা'র সাথে যদি ছেলে-মেয়ে, ভাইয়ের সাথে বোন, খালার সাথে যদি ভাগ্নে/ভাগ্নি সিনেমা হলে ভাল একটা সিনেমা দেখতে গিয়ে এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে ব্যপারটা কেমন হয়? প্রেম-ভালবাসা লজ্জার কোন বিষয় নয়, তবে স্বামী যদি তার স্ত্রীর হক পথে-ঘাটে বা লোক চক্ষুর সম্মুখে আদায় করতে চায়, তা কি রকম হবে? মিডিয়া জগতে অর্থ আয়ের সুগম ব্যবস্থার লক্ষ্যেই এক তারকা অন্য তারকাকে এক বিছানায় শোয়াতে প্রয়াস পায়। Real matter is media spare, is the most characterless area where one goes. তাই আসুন, দেশের যত লুইচ্চা-বদমাশ আছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। এরাই সমাজের অবকাঠামো উন্মুক্ততার জোয়ারে ভাসিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।