আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অশ্রুজলের অভিষেক গীতি

যে বেসেছে ঝর্ণা ভালো, যে বেসেছে ঝিনুক। তার হাতে আয়ু রেখায় ভীষন রকম অসুখ। ।

জলসন্ধ্যায় শ্যাওলা মেয়ে মুখ ছুঁয়েছো বৃষ্টিকণার। জলে তখন শব্দ মিছিল... ...তুমি এসে দাঁড়ালে পদ্মপাতায়।

বৃষ্টিভেজা নুপূর নিয়ে জলের তখন উন্মনা কাল। রোদরঙা আলতা ধুয়ে নিয়ে বাদলধারা গড়িয়ে গেল নলখাগড়া বনমূলে। কুনোব্যাঙের ঘরে আজ রঙউৎসব। তুমি থমকে শুনলে এক পলক সমুদ্র তান। হরিয়াল পালকে চোখ মুছে নিয়ে বললে, সমুদ্রে যাব।

সে বার্তা মেঘদূতের কানে যেতেই দূর দ্বীপকান্না ছড়িয়ে শ্রাবণটোপরে ঝড় এলো, সমুদ্রচিলের উদাস আঁখি ঝকঝকে তরুর রঙে রাঙিয়ে গেল। বৃষ্টি এলো। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি এলো... জলে ছিলো শব্দ মিছিল। ধ্বনি হাজার। জলে ছিলো ময়ূর রঙের সা রে গা মা।

মেঘমল্লার গাইলো উলট মেঘ, তুলোট মেঘ। কাশঝোপ ঘিরে, শিরীষ শাখা বেয়ে, কদমকেশর ছুঁয়ে তানসেনগীতি বয়ে চললো মনপবনের পাল্কি চড়ে। ঘাসফড়িংয়ের ঘরে জলের ছিটা। মুনিয়াসংসারে থমকে গেলো সন্ধ্যাপূজা। হায়! বাকি রয়ে গেলে যেন কোন আকাশে পাখা মেলা।

অনেক পরাগ শ্রাবণ পেলো, নীড়ে ফিরলো অনেক পলি... কবি ছিলো গোপন সুখে আপনা মনে ইচ্ছেরাজা। হঠাৎ এমন বৃষ্টি এলো। কলকলিয়ে উঠলো বহুযুগের বিরহীসাঁঝ। দীপ নেভালে ধীরে, কন্ঠে পরলে ঝোনাক মালা। জোৎস্না জ্বেলে নিয়ে বললে, গল্প বলো।

তখন এলো গল্পপালা। কবির পৃষ্ঠা জুড়ে কালিদাস বসলেন সাতমহলায়। যক্ষ পাহারায় রেখে বানীদেব এলেন, ময়ূরপঙ্খী উড়িয়ে নিয়ে বীণাপাণি মৃদু টংকার তুললেন মাত্রাবৃত্তে... কবি কাঁদলেন লক্ষযুগের একা থাকার প্রহর মনে করে.. ১৬ মে ২০১০ (ছবিটি ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত Paranoiac Visage, 1935 by Salvador Dali)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।