বয়সের ভারে নুব্জ আমি ক্ষুব্ধ সদাই/বহুকাল ধরে ব্যাস্ত, এখন শূণ্য সরাই/লড়াই লেগেছে নতুন পুরোন যত আছে অভিজ্ঞতা/বদলে যাওয়ার বহর এত যে ভুলছে স্বয়ং সখা।
কোন এক ঈদের ঘটনা এটা। লিখে রেখেছিলাম অনেক আগে কলেজে থাকতে। আজকে খুঁজে পেলাম অন্য অনেক কাগজের ভিতরে।
"আম্মাকে এগিয়ে দিতে লঞ্চঘাটে গিয়েছিলাম।
সকাল সাতটা। লঞ্চ তখনো আসেনি। সদরঘাটে দাড়িয়ে বুড়িগঙ্গার বদলে যাওয়া রূপ দেখছিলাম। সে উৎকট গন্ধটা অনেক কম মনে হচ্ছিল। মনে হলো এই বর্ষায় ধুয়ে গেছে বুড়িগঙ্গার কালো জল।
টিকিট কেটে আম্মাকে কেবিনে তুলে দিয়ে এলাম। লঞ্চ ছাড়তে তখনো ঘন্টাখানেক দেরি। সামনে দাড়িয়ে মানুষের আনাগোনা দেখছিলাম। ঈদের এই সপ্তাদেড়েক পূর্বেও ভিড়টা তেমন জমেনি। শুধুই এত ভোরে কষ্ট করে আসা হল।
ফিরছি এমন সময় দেখলাম এক লোক নৌকায় করে আনারস নিয়ে এলো। বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখছিল সে। বেশ পছন্দ হওয়ায় জোড়া মুলিয়ে পঞ্চাশ টাকায় নিলাম। আনারস গুলো দেখতে এত চমৎকার ছিল যে পরখ করে দেখতে খেয়াল হল না। রাতে ইফতারের পর মামা ভাগ্নে মিলে কেটে খাবো বলে ইরাদা করলাম।
দুদিন হয়ে গেলেও আর খেয়াল হল না। তৃতীয় দিন রাতে অনারসগুলো হাতে নিয়ে দেখি একটু নরম হয়ে গিয়েছে। বিন্দুমাত্র ঘ্রান নেই। কেটে মুখে দিয়ে দেখি না মিষ্টি না টক। মনে হল যেন রাবার চিবুচ্ছি।
দুটো আনারসেরই এক অবস্থা। নিজের বোকামিতে বিরক্ত হচ্ছি আর ভাবছি সদরঘাট সম্পর্কে সেই বিখ্যাত উক্তিটা। উপর দিয়া ফিটফাট, ভিতর দিয়া সদরঘাট!"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।