জাপান এবার তার বিস্তীর্ণ সমুদ্রসীমার তলদেশ থেকে বিরল ধাতবসম্পদ সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে। উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্র উৎপাদনে এ জাতীয় ধাতবের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত সমুদ্রের নিচে ধাতব সন্ধানে জাপানের এ অভিযান চীনের চক্ষুঃশূলের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এশিয়ার উচ্চ প্রযুক্তির বিভিন্ন সামগ্রী উৎপাদনে চীন এখন জাপানের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।
জাপানের কিয়োদো বার্তাসংস্থা গত সোমবার জানায়, আগামী জুনে প্রধানমন্ত্রী ইউকিয়ো হাতোয়ামার মন্ত্রিসভা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে এর অনুমোদন করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন অনুয়ায়ী, সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে কোনো দেশ তার তীর থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সমুদ্রসীমা কিংবা প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সমুদ্রের অর্ধেক পথবিন্দু পর্যন্ত বিশেষ অধিকার বজায় রাখে।
প্রাকৃতিকভাবে স্বল্প সম্পদের দেশ হিসেবে জাপান এবার নতুন কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে এ সম্পদ আহরণকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। পূর্ব চীন সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের তিন লাখ ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জাপান এ অনুসন্ধানের কাজ চালাবে। সমুদ্রতলে যেসব এলাকায় আগ্নেয়গিরি রয়েছে, সেখানে গবেষণার জন্য গত বছর জাপান রোবোটসহ সাবমেরিন পাঠানোর কথা ঘোষণা দেয়। সে দেশের ভূ-সমুদ্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এজেন্সি এসব আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে উদগীরিত হওয়া খনিজ পদার্থের গবেষণা করবে।
জ্বালানি সাশ্রয়ী হাইব্রিড গাড়ি, বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যাটারি, সেলফোন সেট ও এলসিডি টেলিভিশনের সাশ্রয়ী এবং উন্নত নির্মাণের জন্য জাপানের মতো তার প্রতিদ্বন্দ্ব্বী দেশগুলিরও এসব বিরল ধাতব পদার্থের সন্ধানের প্রয়োজনীতা স্বীকার করছে।
টোকিওর দক্ষিণে প্রশান্ত মহাসাগরের আইজু-ওগাসাওয়ারা দ্বীপের পাশাপাশি শিকোকু দ্বীপে জাপান মিথেন হাইড্রেট অনুসন্ধানে নামতে চায়। এই রাসায়নিক পদার্থটি নতুন শক্তির উৎস হিসেবে জাপানের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ২০২০ সালের মধ্যে এ নতুন শক্তির ব্যবহার শুরু করতে পারবে বলে জাপান যথেষ্ট আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। এছাড়াও কোবাল্টের জন্য পূর্বপ্রান্তের মিনামিতোরিশিমা দ্বীপে জাপানের গভীর নজর রয়েছে।
এসব প্রকল্পের জন্য অর্থনীতির অতিবৃহৎ উদীয়মান শক্তি হিসেবে এ ধরনের খনিজের মূল প্রতিযোগী চীনের সঙ্গে জাপানের দ্বন্দ্বযুদ্ধ দেখা দিতে পারে। সূত্র : এএফপি। ( কালের কন্ঠ )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।